নাঙ্গলকোটে ডিজিটাল ইনকিউবেটর মেশিন আবিষ্কার

0
1333

জামাল উদ্দিন স্বপন:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে এক বেকারত্ব যুবক ডিজিটাল ইনকিউবেটর মেশিন আবিষ্কার করেছেন। এই প্রথম কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার হরিপুর গ্রামের মো: মোখলেছুর রহমানের বড় ছেলে মো: জহিরুল ইসলাম (বিপ্লব) এর প্রচেষ্টায় ৬ মাস পরে সম্পূর্ন আধুনিক ডিজিটাল ইনকিউবেটর (বৈদ্যুতিক ভাবে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর) মেশিন তৈরী করতে সফল হয়েছে।
এ বিষয়ে গতকাল সোমবার আবিষ্কারক মো: জহিরুল ইসলাম জানান, তার এই মেশিনটি বিদেশ হতে আমদানি করা ইনকিউবেটর মেশিন গুলোর মতন সম্পূর্ন ডিজিটাল সেনসর ব্যবহার করে ডিজিটাল অবকাঠামোয় তৈরী। মাইক্রোকম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং মেশিনের চলমান অবস্থা দেখার জন্য রয়েছে এল.সি.ডি ডিসপ্লে। মেশিনটি তৈরী করতে সময় লেগেছে ৬ মাস। এতে ব্যায় হয়েছে প্রায় ৯ হাজার টাকা। ৮৫-৯০% বাচ্চা উৎপাদন হার সম্পন্ন। মেশিনে একসাথে ৫৫০টি কোয়েল পাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো যায়। সময় লাগে ১৬ দিন। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী মেশিনটিতে ৬৫ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়। কোয়েল পাখি ছাড়াও হাঁস,মুরগি,টার্কির ডিম থেকেও বাচ্ছা ফোটানো যায়। জাতীয় দৈনিক, আঞ্চলিক ও বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় নাঙ্গলকোটের কোয়েল পাখির খামার বিষয়ে একটি সংবাদ দেখে নিজে উদ্যেগ নিই। অল্প খরচে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি ডিজিটাল মেশিন তৈরী। তারপর দীর্ঘ চেষ্টা করে মেশিনটি তৈরী করতে সফল হয়েছি। কুমিল্লা যুব উন্নয়ন অফিস থেকে আড়াই মাস ব্যাপী পোল্ট্রি খামারের উপর একটি প্রশিক্ষন গ্রহন করি। বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক খাতে অপেক্ষাকৃত স্বল্প মূল্যের এই মেশিনটি পোল্ট্রি শিল্প প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরো জানান, বানিজ্যিক ভাবে এ মেশিন সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার স্বপ্ন আছে। প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। ব্যাংক,এন.জি.ও যদি অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করে তাহলে মেশিনটি সারা দেশে ছড়িয়ে দিব।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × 1 =