নাঙ্গলকোটে ভয়ে আমিন প্রফেসর রাতে সভা ডাক দিলেন!

0
1108

জামাল উদ্দিন স্বপন:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের মঘুয়া গ্রামে ৭৮ পরিবার থেকে ১০২টি মিটার বাবত ৪ লাখ ২২হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের ঘটনায় বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশের পর তোলপাড় হওয়ার ঘটনায় উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে তদন্ত করে আসে।
বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে- তদন্ত করার ৫ দিন আগে আমিন প্রফেসরের ডাকা মিটিংই তদন্তকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ক্ষতি হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি আমাদের প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
তদন্ত ও ঘটনার শেষ খবর জানতে চাইলে আদর্শ আমিন জানান- আসলে গ্রামে আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভূয়া। আমি আওয়ামীলীগ করি ঠিকই বাট কলেজে অধ্যাপনা করি।’
এদিকে গ্রামের মাস্টার রুহুল আমিন আমিন প্রফেসরের পক্ষ হয়ে গ্রামের সবার কাছে ক্ষমা চান। তবে রুহুল আমিনকে কল করলে তিনি জানান- আমরা গ্রামের স্বার্থে তদন্ত কমিটি তদন্ত করতে যাওয়ার ৫দিন আগেই আমিনসহ যারা এলাকায় টাকা নিয়েছি তাদের কে ডেকে ২৪ এপ্রিল রাতে মঘুয়া সাইনবোর্ড সংলগ্ন বাশার ফার্ণিচারে মিটিং করেছি। মাফ চেয়েছি। ভুলের খেসারত অনুযায়ী এখন আপনাদের কলের বকবকানি শুনছি। আর এ ঘটনার পর আমরা নিজেরাই নাঙ্গলকোটের ১টি অনলাইনে প্রতিবাদও জানিয়েছি।”
ডিজিএম জানান- আমরা তদন্ত করে এসেছি। কোনো ক্লু পাইনি। এলাকায় কেউ অভিযোগ ও করেনি। তাই বেশি কিছু বলতে পারছি না।
এদিকে কুমিল্লা ও ঢাকার পত্রিকা অফিসে মঘুয়া গ্রাম ও ঢালুয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন মিটারের গ্রাহক কল করে জানান- তদন্ত এমন সময়ে হলো যখন ৭৮ জনের প্রায় ৬০ জনই ছিলাম না। তবে উপস্থিত একজন আক্ষেপ করে জানান-তদন্তের সময় অন্য গ্রামের মানুষই বক্তব্য দিয়েছে। আবার নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটি ২৪ এপ্রিল ঘটনাস্থলে রওয়ান হয়ে আদর্শ আমিনের বাড়িতে গিয়ে ফিরে এসেছে, আবার ২৯তারিখ গিয়ে তদন্ত করেছে। ঘটনাস্থল সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মূল তদন্তের ৫দিন আগেই আমিন প্রফেসর গ্রামের ৭৮ জনের সবার সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। এতে ৩০/৩৫জন লোক স্বাক্ষর দিলেও বাকী স্বাক্ষর গুলো ডান ও বাম হাতে দিয়েছেন জাফর আহমেদের ছেলে সুমন মিয়া একাই।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

thirteen − 12 =