জামাল উদ্দিন স্বপন,কুমিল্লা প্রতিনিধি-
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট ইউনিয়নের মাতৃত্বভাতাভোগী ৮জনের প্রথম কিস্তির তিন হাজার টাকা করে ২৪হাজার টাকা সোনালী ব্যাংক থেকে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে ভুক্তভোগীরা গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার মাধ্যমে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত হন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রায়কোট ইউনিয়নের রায়কোট গ্রামের মাতৃত্বভাতাভোগী হোসনেয়ারা বেগম, রিনা বেগম, ফাতেমা আক্তার, ঝর্ণা আক্তার, যজ্ঞশাল গ্রামের গাজি তাছলিমা, আছমা আক্তার, শরীফপুর গ্রামের পেয়ারা বেগম, শিল্পি বেগম তাদের মাতৃত্ব ভাতার প্রথম কিস্তির ৩হাজার টাকা করে ২৪হাজার টাকা না পেয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাথে দেখা করেন। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাদেরকে স্থানীয় সোনালী ব্যাংকে যোগাযোগ করতে বলেন। তারা ব্যাংকে যোগাযোগ করলে তাদের হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন হয়ে গেছে বলে ব্যাংক থেকে জানানো হয়। পরে ভাতাভোগীরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইদুল আরীফকে জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ব্যাংকে প্রেরণ করেন। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত হন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ব্যাংক ব্যবস্থাপকের সাথে যোগাযোগ করে ভাতাভোগীদের টাকা কোথায় গেছে বিষয়টি সঠিকভাবে জানানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। অন্যথায় তিনি এর সাথে ব্যাংকের যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থ্যা গ্রহণ করবে বলে জানান।
জানা যায়, ভাতা বিতরণের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যাংকের কর্মচারী ফিল্ড অফিসার নুরুল ইসলাম ভাতাভোগীদের স্বাক্ষর জাল করে প্রায় এক মাস পূর্বে টাকা উত্তোলন করেন। নুরুল ইসলামের বিরুুদ্ধে বিভিন্ন ভাতাভোগীদের নিকট থেকে নির্দিষ্ট হারে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইসহাক মিয়াকে জেলে পর্যন্ত যেতে হয়েছে। নুরুল ইসলাম স্থানীয় হওয়ায় বছরের পর বছর নাঙ্গলকোট সোনালী ব্যাংকে কর্মরত রয়েছেন। এব্যাপারে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা লায়লা আরজুমান বানু বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।