চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে আলাদা দুটি অভিযানে ৩০ লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট ধরা পড়ার পরের দিন গতকাল সোমবার আরো সাড়ে ছয় লাখ ইয়াবা আটক করা হয়েছে।
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের আলাদা অভিযানে এসব ইয়াবা আটক করা হয়। এর মধ্যে একটি অভিযানে ইয়াবা পাচারকারীদের সঙ্গে বিজিবি সদস্যদের গোলাগুলি হয়েছে। এ ঘটনায় বিজিবির তিন সদস্য আহত হয়েছেন। ধরা পড়েছে তিন পাচারকারী।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের জৈল্যারদ্বীপ এলাকায় নাফ নদ হয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে পাচারের পর বিজিবি সদস্যদের হাতে ধরা পড়ে। টেকনাফের বিজিবি ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আবুজার আল জাহিদ জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান পাচারের খবর পেয়ে বিজিবির টহল দল ওত পেতে থাকে। গতকাল ভোরের দিকে পাচারকারীরা ইয়াবা নিয়ে আসার সময় বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পায়। এ সময় তারা ইয়াবাভর্তি বস্তা ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পরিত্যক্ত অবস্থায় তিনটি বস্তায় পাঁচ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসব ইয়াবার দাম অন্তত ১৫ কোটি টাকা।
অন্যদিকে টেকনাফের নাফ নদের তীরের নেটংপাড়া এলাকায় গতকাল সকালে আরো এক লাখ ৫০ হাজার ইয়াবার একটি চালান আটক করা হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে ইয়াবা বোঝাই একটি নৌকা তীরে ভিড়লে বিজিবি সদস্যরা চ্যালেঞ্জ করেন। এ সময় ইয়াবা পাচারকারীরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করে। বিজিবি সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে পাল্টা ১০ রাউন্ড গুলি ছোড়েন।
বিজিবি সদস্যরা ধাওয়া করে তিন পাচারকারীকে আটক করেন। এ সময় পাচারকারীদের বৈঠার আঘাতে তিন বিজিবি সদস্য আহত হন। এক পাচারকারী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। বিজিবি সদস্যরা পরে নৌকা থেকে এক লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা আটক করেন।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, আটক পাচারকারীরা মিয়ানমারের মংডু এলাকার বাসিন্দা। তারা হলো মোহাম্মদ ইউনুস, নুরুল হক ও মোহাম্মদ আনোয়ার। পালিয়ে যাওয়া পাচারকারীর নাম মোহাম্মদ মাহাতাজ।
উল্লেখ্য, গত রবিবার ভোরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা এলাকায় সাগরে অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ ইয়াবা আটক করে র্যাব। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় ওই এলাকার শীর্ষ ইয়াবা পাচারকারী মোজাহারসহ ৯ জনকে। এ ছাড়া একই দিন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং এলাকায় সাগরে অভিযান চালিয়ে ১০ লাখ ইয়াবা আটক করে বিজিবি। এ অভিযানে কেউ আটক হয়নি।