পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবসের অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করেই সবকিছু করা হবে

0
1224

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করেই সবকিছু করা হবে। জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে মেহনতি মানুষের স্বার্থ সুরক্ষা করেছেন। ১৯৭২ সালের ২২ জুন বাংলাদেশ আইএলও-এর সদস্য হযেছে। আজ তারই সুযোগ্যা কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করেই দেশ পরিচালনা করছেন। ২০০৯ সালে শ্রমিকদের নুনঃতম মজুরি ছিল মাত্র ১৬০০ টাকা। তাঁর হস্তক্ষেপে ২০১৩ সালে শ্রমিকদের বেতন ২২৩ ভাগ বৃদ্ধি করে নুনঃতম ৫,৩০০ টাকা করা হয়েছে। শ্রমিকরা সরকারি চাকুরিজীবীদের মতো প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধির সুবধা পাচ্ছেন। মন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের মেহনতের কারনেই আজ আমাদের দেশের অর্থনীতির এ উন্নতি হয়েছে। গতবছর আমাদের রপ্তানি ছিল ৩৪.২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর ৮১ ভাগই এসেছে তৈরী পোশাক খাত থেকে। তৈরী পোশাক খাতে দেশের ৪৫ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করছে। অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর শিল্প কারখানার শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। শ্রমিকরা এখন উপযুক্ত বেতনে, নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কারখানায় কাজ করছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় কৃষিবীদ ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০১৭ উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো “শোভন কর্ম পরিবেশ, এগিয়ে যাচ্ছে বাংরাদেশ”।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার সময় হতাহতের দৃশ্য দীর্ঘদিন প্রচারমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। ফলে এর বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরী পোশাক ক্রেতাদের মধ্যে পরেছে। আমাদের সবাইকে দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করতে হবে। দেশের তৈরী পোশাক কারখানাগুলো ইতোমধ্যে কম্পলায়েন্স করা হয়েছে। পুরাতন কারখানার বদলে নতুন আধুনিক গ্রীন ফ্যাক্টরি তৈরী করা হযেছে। শ্রমিকরা এখন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছে। কারখানার মালিকরা এজন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করেছেন। কিন্তু ক্রেতাগোষ্টি তৈরী পোশাকের মূল্য বৃদ্ধি করছে না, উপরন্ত ইউরোর দরপতনের ফলে দাম আরো কমেছে। শ্রমিকদের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করতে তৈরী পোশাকের মূল্য বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
শ্রম সচিব মিকাইল শিপারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান, কারখানা ও প্রতিষ্ঠানআধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সামসুজ্জামান ভূঁইয়া, ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনোইট পিয়ারি লারামি, ঢাকায় নিযুক্ত আইএলও এর কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিভাস বি রিডি, শ্রমিক লীগের প্রেসিডেন্ট সুকুর মাহমুদ।
পরে মন্ত্রী ঢাকার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত সদস্যভুক্ত প্রয়াত সাংবাদিকদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। ১৭টি পরিবারকে মাসে দুই হাজার করে ২৪ হাজার টাকা করে বৃত্তি প্রদান করা হয়। বাণিজ্যমন্ত্রীর অনুরোধে আগামী বছর থেকে প্রতি পরিবারকে তিন হাজার টাকা করে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করার ঘোষণা করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাধারণ সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক মানিক মুন্তাসির, যুগ্ম সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন এবং অনুষ্ঠানের সহযোগি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিলবোর্ড ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

13 − one =