পোষ্টিং ডাম্পিং প্রতিষ্ঠান জনস্বাস্থ্য প্রাতষ্ঠানের জিহবা টেষ্ট,নাক টেষ্ট এবং হাত টেষ্টের পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরী

0
1458

প্রায়শই বিভিন্ন পত্রিকার পাতায় খাদ্য, খাদ্য-দ্রব্য এর ভেজাল নিয়ে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে ভয়ংকর সব ভেজালের খবর হেডলাইনে দেখা যায় । যা সাধারণ ভোক্তাদের মনে ভীতিকর অবস্থার সৃস্টি করলে ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন বোধদোয় হওয়ার লক্ষন বা কর্মকান্ড দেখা যায় না। ভেজাল নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রণে স্বাস্খ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট আইন এ বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে খাবার স্যালাইন তৈরীর ল্যাবরেটরী  ও বিতরন সেল, মাইক্রো বায়োলজী ক্যাল ল্যাবরেটরী, পোলিও মিজেল্স ল্যাবরেটরী যা সারা দেশ থেকে পোরিও নির্মূলে  গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা পাললন করেছ , আধুনিক খাদ্য পরীক্ষাগার সহ চালু আছে বিএসসি ইন ল্যাবরেটরী কোর্স । রয়েছে আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসজি মেসিনসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি যা চালু হয়নি । সূত্রমতে এ সমস্থ গুরুত্বপূর্ণ ল্যাবরেটরীতে পদায়ন করা হয় যাদের চাকুরীর  মেয়াদ ২/৩  মাস থাকে অধিকাংশই ল্যাবেরটেরীর কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট নয় । অপরদিকে মনির,মাহাবুবসহ ৪/৫ জন থাকে স্থায়ীভােব ফলে বদলী না হওয়ার সুযোগে গড়ে তুলেছে একটি চক্র যারা পরিচালক সহ যারা ভিভিন্ন ল্যাবরেটরীর দায়িত্বে নিয়োজিত হন তাদেও সাথে হাত মিলিয়ে বছরের পর বছর সরকারী অর্থেও কোটি কোটি টাকা লোপাট করছে । অতি সম্প্রতি ওরস্যালাাইন, পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরী . মাইক্রো বায়েলজীক্যাল ল্যাবরেটরী, ল্যাবরেটরীতে ৩ জন কে পদায়ন করা হয় যারা একদিন ও অফিস করেন নি । আর এ সুযোগে রোটপাটের পথ যেমন খোলা হয়েছে তেমনি ল্যাবরটেরীতে কাজ হচ্ছেনা । সরেজমিনে জানা যায় , পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরীতে কর্মরত রানাক, জিহ্বা ও হাতের মাধ্যমে বিভিন্ন খাদ্য, খাদ্য-দ্রব্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বছরের পর বছর রিপোর্ট দিয়ে বাহাবা নিচ্ছে এবং এ  সুযোগে মনির, মাহাবুব, মান্নান গংরা রিয়ে জেন্টস কেমিকেল না কিনে প্রতি বছর প্রায় ২ কোটি টাকার শুধু ভাউচার  দাখিল করে টাকা আত্মসাত করছে । ইদুরঁ না থাকলে ও এবছরও খাবার কেনা হয়েছে । ধারাবাহিক ভাবে  এ কাজে যে পরিচালক আসেন তাকেই এ চক্র ম্যানেজ করে নেয় জীবনের ভয় দেখিয়ে, টাকা দিয়ে । ল্যাবরেটরীতে কর্মরত রাখা তা পত্রে সকল কেমিকেলস, রিয়েজেন্টস এর হিসেব মিলিয়ে দেয় শুধু মাত্র কাজ না করার সুবিধা নেয়ার জন্য ্। পাবলিক এনালিষ্ট পদে চলতি দায়িত্বে নিয়োজিত একজন এসএসসিপাস, আ.স.ম. রব(০১৯২৩৬৭২৭৪২), শেখর চন্দ্র শাহা (০১৭১১২৪৮৪৬৫), আইয়ূব খান, সাবিত্রি রানী, সেলিনা বেগম, আমেনা বেগম নামে ৬ জন এসিসটেন্ট এনালিষ্টসকলেই ৩য় শ্রেনীর পদ ধারী হয়ে ও চলতি দায়িত্বে নিয়োজিত হয়েছেন,কারো আত্মীয় হয়ে বা কোন দলের নেতার পরিচয়ে । খোজ নিয়ে জানা যায় এরা কেহই কোনদিন কোন খাদ্য দ্রব্র পরীক্ষায় নিয়োজিত ছিল না বা এখনো করে না । এদের কাছে নাক, জিহ্বাবা হাত কচলিয়ে পরীক্ষা পদ্ধতি এতটাই প্রিয় যে, খাদ্য পরীক্ষায় ৩ জন অভিজ্ঞ কমৃকর্তাকে জনস্বাস্থ্য পুস্টি প্রতিষ্ঠান থেকে পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরীতে পদায়ন করে ছিল ডিজি অফিস , তারা যখন নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া কোন রিপোর্ট না দেয়ায় অনড় থাকেন তখন দল বদ্ধভাবে এই ৩ জন (সুরাইয়া পারভিন, মাহাবুব আবদুল্লাহ)  কে পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরী থেকে বিতারিত হতে বাধ্য করে ।  অর্ধশতকের পুরাতন এ ল্যাবরেটরীটি প্রায় ধ্বংসের পথে তখন বর্তমান পরিচালক জাতি সংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহায়তায় প্রাক্তন ডিজি শাহমনির হোসেনের উদ্যেগে গত ২০১৪-২০১৫ দুই বৎসরে আধুনিকয়ান কাজ হয়েছে । আগে বলা হতো যন্ত্রপাতি খারাপ আর ২০১৫ এর জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর পুরা ল্যাব যখন প্রায় বন্ধ সে সময় ও প্রায় ৭০০০ নমুনা পরীক্ষা করে প্রায় সব খাবার ভেজাল বলে রিপোর্ট দাখিল করেছে এ পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরীটি । প্রশ্ন করা হলে ল্যাবের পাবলিক এনালিষ্ট বলেন যে কোন একটি প্যারামিটার পরীক্ষা করে ফলাফল খারাপ পেলেই উক্ত খাবার ভেজাল বলে সনদ দেয়া যায় । অথচ বিশুদ্ধ খাদ্য আইনে প্রতিটি খাবারে অন্ততঃ ৪-৫ টিকরে প্যারামিটার পরীক্ষা করার বিসয়টি মাত্রা সহ সুস্পস্ট করে বলা আছে, তদুপরি ভেজাল না বলে মিশ্রিত ও বলার বিধান আছে । আধুনিকায়নের ধারাবাহিকতায় সরকারী অর্থে প্রায় ৬-৭ গুন বেশী দামে কয়েকটি যন্ত্রপাতি জুন ফাইনালে কে না হলে ও তা চালু করা করতে পারেনি কর্মরত রা । কেননা চালু করলেই কাজ করতে হবে । ইতোপূর্বেও এ প্রতিষ্ঠানের জন্য অতি প্রয়োজনীয় গ্যাস জেনারেটর এর জন্য ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে প্রায় ৯ কোটি টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছে এক টি ঠিকাদার কোম্পানীকে  অথচ মেশিনটি আজে চালু হয়নি । কিন্তু বিল পরিশোধ করার আগে সরকারী নিয়মানুযায়ী সামিউল নামক একজনে লিখে দিয়েছে গ্যাস জেনারেটর কার্যকরী হয়েছে । পাবিলিক হেলথ ল্যাবরেটরী কে কার্যকর করার জন্য হার্টেও, শিশু বিষেষজ্ঞ ডাক্তার, ২ জন ফুড এনালিষ্টকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে যারা কোন দিন ফুড টেষ্ট করে নিবা কোন আগ্রহই  না ৪ ইবলে ল্যাব সংশ্লিষ্ট রাজা নিয়েছেন । উক্ত ল্যাবরেটরীতে একটি এসিসটেন্ট ব্যকটেরিওলজিষ্ট এবং একটি এসিসটেন্ট এনালিস্ট পদ খালি যাতে পূর্বের ধারাবাহিকতায় খাদ্য পরীক্ষা কোন রকম অভিজ্ঞতা না থাকা সত্বেও বাহির থেকে পদোন্নতি দেয়ার কার্যক্রম চলছে । ফলে এসব দারাল চক্র এবং কাজ না করার  চক্রে ও অপকর্মের ফলে ল্যাবরেটরীর কর্মকান্ডের উপর ভিত্তি করে গড়ে ঊঠা জনস্বসাস্থ্য ইনস্টিটিউটটি আবারো মুখ থুবরে পড়বে বলে কর্মমূখী কর্মচারী/েকর্মকর্তাদের আশংকা করছেন ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

11 + six =