প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে দেশের মানুষের ‘আশা পুরণ হয়নি প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যেই ফুটে উঠেছে ভারত সফরে দেশ কিছু পায়নি: মির্জা ফখরুল

0
1437

রিপোর্টার নানা:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে সফরে দেশের মানুষের ‘আশা পুরণ হয়নি’ বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যেই ফুটে উঠেছে ভারত সফর থেকে বাংলাদেশ কিছুই পায়নি। প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরের শেষ দিকে বলেছেন, ‘পানি মাঙ্গা, লেকিন ইলেক্ট্রিসিটি মিলা। কোই বাত নেহি কুছ তো মিলা।’ তার এই কথাতেই পরিষ্কার হয়ে গেছে বাংলাদেশ কিছুই পায়নি। শুধুমাত্র পয়সার বিনিময়ে বিদ্যুৎ পাবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে রাষ্ট্রীয় জুলুমের শিকার ‘আমার দেশ’ পত্রিকাটি বন্ধের চার বছরপূর্তি উপলক্ষে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ২০১২ সালের এদিনে পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ করে দেয় সরকার।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যা চেয়েছিলো, নূন্যতম আমার পানি বাঁচার জন্যে, আমার বেঁচে থাকার জন্যে, প্রায় তিনভাগের এক ভাগ মানুষ যে নদীর ওপর নির্ভর করে, কোটির উপরের বেশি মানুষে জীবন চলে, সেই নদীর পানির একটা হিৎসা হবে, চুক্তি হবে। দূঃখজনক হলো সেটা হয়নি। হয়নি শুধু নয়, প্রধানমন্ত্রী নিজেই তার সফরের ফলাফল সম্পর্কে বলেছেন, ম্যায় পানি পাঙ্গা, মুচকো বিদ্যু মিলা গা। কুচ তো মিলা। অর্থাৎ উনি নিজেই বলেছেন, মেলেনি, কোনোটাই মেলেনি, শুধু কুচ মিলেছে। সেটা বিদ্যুতের কথা বলেছেন তাও আবার পয়সা দিয়ে কিনতে হবে। উনি নিজেই বলে দিয়েছেন, আমাদের আর কিছু বলার আছে বলে আমি মনে করি না।
তিনি বলেন, উনারা(সরকার) চিৎকার করে বলছেন, দুই দেশের সম্পর্ক উচ্চতর পর্যায়ে। একবারে স্পিরিচ্যুয়াল লেভেলে চলে গেছে। তো ভালো কথা। আমরা তো মাটির মানুষ আমাদের মাটিতে ফসল ফলাতে হয়, আমাদের নদীতে মাছ তুলতে হয়, জীবন-জীবিকা চালাতে হয়। আমাদের সরকার নতজানু। তারা নতজানু পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে চলছে, তারা আদায় করতে পারবে না। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামলে গঙ্গা ব্যারেজ নিয়ে পানি সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনাদের মনে আছে- ফারাক্কা ব্যারেজ নিয়ে এই একই অবস্থা চলছিলো। জিয়াউর রহমান সাহেব সেটা জাতিসংঘে তুলেছিলেন, পরে বাধ্য হয়ে ভারত যেভাবে হোক একটা চুক্তি করতে সক্ষম হয়েছিলো।
সরকার দেশকে একদলীয় শাসনে নিয়ে গেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা ২০০৯ সাল থেকে একথা বলে এসছি- আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র এই দুইটা একসঙ্গে চলে না। তাদের চরিত্র এতটুকু বদলায়নি। ৭৫ সালে যে কাজটি করেছিলো, সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়ে চারটি পত্রিকা রেখেছে, সব রাজণৈতিক দল নিষিদ্ধ করে দিয়ে একদলীয় শাসনের মতো ‘বাকশাল’ প্রতিষ্ঠা করেছিলো, সেই জায়গা থেকে তারা(আওয়ামী লীগ) তো সরেনি, শুধু তার কৌশলটা পাল্টিয়েছে। তখন ছিলো সংসদে পাস করিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল করেছে। এখন দেখেছেন, পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। সুতরাং ভিন্ন কৌশলে, ভিন্ন আঙিকে নতুন পোষাক পরিয়ে সেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থাই এখানে করার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করে চলেছে। তারই ফলোশ্রুতিতে আমাদের দেখেছি, একটা একটা করে পত্রিকা-চ্যানেল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, যেগুলোই তাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট সত্য কথা বলতে পেরেছে।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাহমুদুর রহমানের বলিষ্ট ভুমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, বর্তমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অন্যতম একজন প্রধান ব্যক্তি যিনি সরকারের ষড়যন্ত্রের কাছে আপোষ করেননি। যিনি প্রতিবাদ করেছেন, রুখে দাঁড়িয়েছেন এবং তিনি সেই ব্যক্তি যিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েও নতি স্বীকার করেননি, মাফ চাননি আদালতের কাছে। এখানেই তিনি অন্যন্য। দলের নেতা-কর্মীদের গুম-মিথ্যা মামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরে ফখরুল বলেন, আমাদের নেতা-কর্মীরা নিজের এলাকায় থাকতে পারেনা, অন্য এলাকায় থাকে। পুলিশ প্রতিদিন হয়রানি করছে, হয় টাকা নিচ্ছে নতুবা কারাগারে পাচ্ছে। এখন নতুন অস্ত্র বের করেছে জঙ্গি। এখন যার কাছ থেকে টাকা পাবে না, তাকে জঙ্গির কথা বলে গ্রেপ্তার করে আটকিয়ে রাখবে। বাংলাদেশে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি শুরু হয়েছে। এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। যে নীল নকশা তৈরি হয়েছিলো ১৯৭১ সালের পরে বাংলাদেশকে একটা নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্র হিসেবে রেখে দেয়ার, সেই নীল নকশাই বাস্তবায়িত করতে তারা আজকে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবারও জানান বিএনপি মহাসচিব।
গণমাধ্যমের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ করে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শুনেছি, দেশের সংবাদ-মিডিয়া নিয়ন্ত্রনে ১৮টি কমিটি আছে। প্রতিদিন, প্রতিঘন্টা প্রতি সাপ্তাহ তারা নিয়ন্ত্রণ করছে গণমাধ্যমকে। প্রতিদিন মিডিয়ার কর্মীদের সাথে আমাদের কথা হয়, তারা বলেন, বিশ্বাস করেন খসরু ভাই, আমরা আর সংবাদ কর্মী নাই, আমরা ম্যানেজার হয়ে গেছি। এখন আমাদের নিউজ ম্যানেজ করতে হয়। অনেক সাংবাদিক দেশ ছেড়ে চলে গেছেন, দেশের মধ্যে যারা আছেন, তারা অনেকে দেশে ছাড়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন। অনেকে সাংবাদিকতা ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চাকুরির খুঁজে আছেন। কারণ তারা ক্যারিয়ারের জন্য সাংবাদিকতা করতে এসেছেন, তারা বুঝতে পারছেন বাংলাদেশে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।
ঢাকা বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ছিল সীমান্তে মৃত্যুর যে কাহিনি আমরা প্রত্যক্ষ করছি, আর এমন কোনো হত্যাপ্রন্ড ঘটবে না- সেই বিষয়ে আলাম হবে। কিন্তু তা হয়নি। আবার তিস্তার পানি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। কিন্তু তিনি তা না করে কথা বলেছেন একটি অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। তাহলে আমাদের প্রত্যাশাটা পূরণ হলো কোথায়? তিনি বলেন, ভারত ৫০ কোটি ডলার ঋণ দেবে। এই টাকায় অস্ত্র কিনতে হবে ভারত থেকে। কিন্তু তারাই আবার যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন থেকে অস্ত্র কেনে। এই অবস্থায় ভারত থেকে অস্ত্র কিনলে সেটার মান কেমন হবে তা নিয়ে তো প্রশ্ন থেকেই যায়।
গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিএনপি ৬ষ্ঠা কাউন্সিল করেছে এক বছর পার হয়ে গেছে। কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত ছিলো ‘এক নেতার এক পদ’ কার্যকর করা হবে। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এত বড় নেত্রী হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ছোট্ট একটি কাজ এক নেতার এক পদ কার্যকর করতে সফল হয়েছেন বলে মনে হচ্ছে না। তাহলে  আমরা কি করে আশা করতে পারি যে ক্ষমতায় গিয়ে আপনি আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দেশপ্রেমিক মাহমুদুর রহমানের উপর ক্ষমতাসীন সরকার যে নির্যাতন নিপীড়িন চালিয়েছে এর কি প্রতিদান হবে। হ্যা এটা টিক, আপনার (খালেদা জিয়ার) উপর দেশের প্রায় ৬ কোটি মানুষের অগাধ আস্থা আছে। তবে সেই আস্থা মাহমুদুর রহমানের উপরও ছিল। আমরা কী করতে পেরেছি? বলে প্রশ্ন রাখেন মুক্তিযোদ্ধা জাফরুল্লাহ।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে প্রবীণএই চিকিৎসক বলেন, ভারতে গিয়ে শেখ হাসিনা পরাজিত হয়েছেন। তিনি দেশের পক্ষে কোনো কিছু নিয়ে আসতে পারেননি। শুধু তাই নয়, সেই দেশে (ভারত) মুসলমানরা যে বিভিন্ন প্রদেশে নানান সমস্যায় জর্জরিত হচ্ছে সে ব্যাপারে প্রতিবাদ করে একটি কথাও বলেনি। নিজেদের ন্যায্য দাবি বাদ দিয়ে ভারতকে ব্যবসা বাণ্যিজ্যের জন্য সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। আর ভারত আমাদের কি দেবে অস্ত্র?। যে অস্ত্র এখন জঙ্গিদের হাতে দিচ্ছে তারা। এখানে (বাংলাদেশে) জঙ্গিদের যে সমস্যা এটা মূলত ভারতের প্রেম।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কোথাও কারো কাছে আত্মা বিক্রি করেন নাই। তিনি স্বৈরাচারী সরকারের কাছেও মাথা নত করেন নাই। এ কারনেই তিনি নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, ভোটার বিহীন সরকার গোটা দেশকে ভারতের কাছে সমার্পন করেছেন।  লেন্দুক র্দজিকেও লাল গালিচা সর্ম্বধনা দিয়েছিল। তেমনি শেখ হাসিনাকেও লেডি লেন্দুক র্দজি হিসেবে লাল গালিচা সর্ম্বধনা দিয়েছে। এখন চারদিকে যা দেখছি তা ভয়ংকর ফ্যাসীবাদের থাবা। ভারত থেকে এসে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লেিগর নেতারা যেভাবে গলাবাজি করছে তাতে মনে হয় সার্বভৌমত্ব দুর্বল হয়ে পড়ছে।
সরকারের নতজানু নীতির প্রতি ইংগিত করে সভাপতির বক্তব্যে আমার পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, ৪৫ বছরে আমরা স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছি, বাংলাদেশ আর স্বাধীন দেশ নয়- এই বিষয়টি আজকে এখানে যারা উপস্থিত আছেন, সবাইকে বুঝবার জন্য আমি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। আমি শুধু গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের স্বপ্নই নয়, স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের স্বপ্নও দেখি। আমাদের যে লড়াই সেটি ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, বর্তমান ফ্যাসীবাদের বিরুদ্ধে লড়াই-এই দুই লড়াইকে আমাদের এক করতে হবে, রাস্তায় নামতে হবে। যে হিন্দুত্ববাদের প্রেত্মাতা সরকার বাংলাদেশে ক্ষমতায় আছে, তাদেরকে উৎখাত করার জন্য আমাদের জীবনমরণ পণ করতে হবে। বুঝতে হবে বাংলাদেশে হিন্দুবাদ ও শিবসেনার ভারত শাসন করছে, সেই সরকারের প্রতিনিধিরা আজকে বাংলাদেশ শাসন করছে। এদের সরিয়ে দেশে একটি দেশপ্রেমিক সরকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সকলকে অংশ নেয়ার আমি আহবান জানাচ্ছি।
আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল হাই শিকদারের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কবি ফরহাদ মজহার, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী, আবদুস শহীদ, ইলিয়াস খান, কাদের গনি চৌধুরী, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাদারণ সম্পাদক সুলতানা সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।
এছাড়াও প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিন্নাতুন নেসা তাহমিদা বেগম, অধ্যাপক সিরাজউদ্দিন আহমেদ, প্রকৌশলী আ ন হ আখতার হোসেন, সাংবাদিক নেতা এম আবদুল্লাহ, বাকের হোসাইন, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হোসেন ডোনার, সহ স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আক্তার, নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন জসিম, আবদুল লতিফ জনি, আমিনুল ইসলাম, যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পদক নূরুল ইসলাম নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম মিল্টন, সিনিয়র সহ সভাপতি মোস্তফা কামাল রিয়াদ, যুবদল দক্ষিনের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন, ছাত্রদলের সহ সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, আরিফুর রহমান সোহান, আবু আতিক আল হাসান মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

thirteen + eighteen =