২৫ জানুয়ারি ২০১৭ বুধবার বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন’র সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ এক বিবৃতিতে, ফুটপাত দখলমুক্ত করতে হকার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে জাসদ একাংশের সংসদ মইনুদ্দিন খান বাদলের জাতীয় সংসদে দেয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি অবিলম্বে তার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশর রাজধানী ঢাকায় বর্তমানে প্রায় ২ কোটি জনগণ বসবাস করেন। এর মধ্যে প্রায় ৩০-৩৫ লক্ষ লোক প্রতিদিন কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রাস্তা যাতায়াত করেন। আর এসকল জনগণ প্রতিদিন যাতায়াতের পথে প্রায় ২ ঘন্টা কর্মসময় নষ্ট করেন শুধু যানজটের কারণে। আর এ যানজটের অন্যতম কারণ দখল করে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করা। অনেক সময় অনেক হকার ফুটপাত দখলের সাথে সাথে রাস্তাও দখল করে থাকে। আর দখলবাজির সাথে শুধু হকাররাই জড়িত নয়, এর নেপথ্যে ফুটপাত সংলগ্ন ভবনের মালিক, এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি, প্রশাসনের অসৎ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত। এই যানজটের ফলে মোট জিডিপির ৬.৫ ভাগ ক্ষতি হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের মতামত রয়েছে।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় গতকাল জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে সংসদ সদস্য মইনুদ্দিন খান বাদল এক অনির্ধারিত বক্তব্যে ফুটপাত দখল উচ্ছেদের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন এবং যানজটের ফলে নাকি দেশের উন্নয়ন হচ্ছে বলে দাবি করেন। তার এই বক্তব্যে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মনের করি ফুটপাত দখলের ফলে চাঁদাবাজি করা কিংবা অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তিনি এই বক্তব্য প্রদান করেছেন। ফুটপাতে ব্যবসার ফলে ভোক্তা সাধারণ সবসময় প্রতারিত হয়। ফুটপাতের খাবার স্বাস্থ্য সম্মত নয়। ইলেকট্রনিক্স পণ্য, কাপড় সহ অন্যান্য পণ্য গুণগত মানসম্পন্ন নয়। ফলে এসকল পণ্য ক্রয় করে দেশে যেসকল সাধারণ ব্যক্তিদের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন তাদেরকেও তিনি ক্ষতির সম্মুখীন করছেন বলে আমরা মনে করি। অন্যদিকে কর্মঘন্টা নষ্টের ফলে দৈনিক প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় ক্ষতি হচ্ছে। তাই মাননীয় স্পিকার আমাদের আহ্বান থাকবে সংসদ সদস্য মইনুদ্দিন খান বাদলের এই বক্তব্য সিটি মেয়রদের নগরীকে বসবাস উপযোগী করার চেষ্টার পরিপন্থী বিধায় তা প্রত্যাহার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ঢাকা সিটির দুইজন মেয়রই পূর্ণ মন্ত্রীর পদমর্যাদার অধিকারী। তাই এই দুই মেয়রের সিদ্ধান্ত অবশ্যই সরকারের সিদ্ধান্ত বলে আমরা মনে করি এবং জনস্বার্থে সরকারের ফুটপাত দখলমুক্ত করার যে সিদ্ধান্ত তাতে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তবে সেই সাথে এই সকল হকারদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে আমরা মনে করি।
