বরগুনার পায়রা নদীর বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে

0
771

তালুকদার মোঃ কামাল ঃ
বরগুনার পায়রা নদীর বেড়িবাঁধের দু পাড় ব্যাপক ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যে ওই সব বাঁধের একাধিক অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী আতনেকর মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। যে কোন মূহূর্তে বাঁধগুলো ভেঙ্গে ৩ উপজেলা প্লাবিত হয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হতে পারে। এছাড়া আবাদি জমি বসত বাড়িসহ লক্ষাধিক মৎস্য ঘের ও হাজার হাজার পুকুরের মাছ এবং গবাদি পশু ভেসে গিয়ে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির আশংকা রয়েছে। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের ১ কিঃমিঃ জয়ালভাঙ্গা গ্রাম থেকে তেঁতুলবাড়িয়া বাজার পর্যন্ত পাউবো বাঁধ ইতিমধ্যে পায়রা নদী গ্রাস করেছে। ওই এলাকার প্রায় ১০ হাজার পরিবার এখন ঝুঁকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এদিকে উপজেলার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের ২ কিঃমিঃ মৌপাড়া গ্রাম ও দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ছোটবগী বাজার বেড়িবাঁধ পায়রা নদী গ্রাস করেছে। আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে ৩ কিঃমিঃ বালিয়াতলী গ্রাম, পশুড়বুনিয়া বাজার ও আড়পাঙ্গাশিয়া লঞ্চঘাট পর্যন্ত পায়রা নদী গ্রাস করেছে এবং চাওড়া ইউনিয়নের ২ কিঃমিঃ গিলাতলী গ্রাম আঙ্গুলকাটা বাজার লঞ্চঘাট, আমতলীর পশ্চিম ঘটখালী গ্রামের ২০০০ ইং সালের কুয়েত সরকারের ৮ লাখ টাকায় নির্মিত হাওলাদার বাড়ি জামে মসজিদটি পায়রা নদী গ্রাস করেছে। বরগুনা সদর উপজেলার লতাকাটা ১ কিঃ মিঃ, আমতলী-তালতলীতে ২ কিঃ মিঃ, চালিতাতলা ২ কিঃ মিঃ, গোলবুনিয়া ১ কিঃ মিঃ, বুড়িরচর ২ কিঃ মিঃ, জাঙ্গালিয়া ২ কিঃ মিঃ, পুরাকাটা ১ কিঃ মিঃ। এসব এলাকার প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ এখন ঝুঁকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এইসব এলাকার জামে মসজিদ, সরকারী বিদ্যালয়, বাজার, লঞ্চঘাট এবং লাখ লাখ টাকা পাউবোর সøুইজ পায়রা নদী গ্রাস করেছে। ওই স্থানগুলো যে কোন মূহূর্তে সম্পূর্ণ ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে ৩ লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে। সূত্রে জানা যায়, জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে রেহাই পেতে পাকিস্তান সরকারের আইয়ুব খান আমলের পায়রা নদীর তীরে বঙ্গোপসাগর ঘেঁষা বরগুনা সদর উপজেলা এবং তালতলী থেকে পটুয়াখালী শহর পর্যন্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। গত কয়েক দিনের বষর্ণ ও পায়রা নদীর তীব্র স্র্রোতে বাঁধগুলো ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। অবিলম্বে এর মেরামত এবং নতুন বেড়িবাঁধের কাজ শুরু না করা হলে এলাকার প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষের জীবনে নেমে আসবে মহাবিপর্যয়। কিছু কিছু স্থানে নিম্নমানের মাটির কাজ ও ব্লক ফেললেও তাতে কোন কাজ হচ্ছে না। এবং নতুন বেড়িবাঁধ গুলো নিচু ও নিম্নমানের নির্মানের পর পরই অধিকাংশ বড় বড় ফাটল ধরে। পাউবোর এস ও শাহ আলমের সাথে মোবাইলে বেড়িবাঁধের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলে যে সব স্থানে ফাটল নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে কিন্তু এলাকাবাসীরা জমি একোয়ার করার জন্য বললে তারা জমি দিতে রাজি নন তারা নদীর পাড়দিয়ে বেড়িবাঁধ করতে বললে এসও বলেন, কোটি কোটি টাকার কাজ ১/২ মাসের মধ্যে আবার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে আমি সরকারের এত টাকা নষ্ট করে দিতে পারি না।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

9 − three =