বড় দু’টি পদ শুন্য চেয়ারম্যানদের দন্দে মুখ থুবরে পড়েছে প্রশাসনিক কাঠামো

0
1404

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বড় দুটি পদ শুন্য হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মধ্যে সর্বক্ষণ দেখা যাচ্ছে দন্দ। পড়ে আছে বিভিন্ন দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকান্ড ও সমন্বয় মিটিংয়ের অভাবে হচ্ছে না ব্যাংকে পরে থাকা রাজস্ব খাতের ৮৮ লাখ টাকার উন্নয়ন।
গত মার্চ এপ্রিল মাসে শুন্য দুটি পদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এ্যসিল্যান্ড না থাকায় উপজেলা পরিষদে কোনো মাসিক সভা হয়নি। ফলে জুন পার হলেও বাৎসরিক রাজস্ব উদ্বৃত্ত (উন্নয়ন তহবিলের) ৮৮ লাখ টাকা উপজেলার উন্নয়ন কর্মকান্ডে ব্যয় করা যাচ্ছে না।
জানা গেছে বছরের প্রথম দিকে উপজেলার ৬ ইউপি চেয়ারম্যান ২ ভাইস চেয়ারম্যান মিলে ২৯টি পয়েন্টে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থার অভিযোগ আনেন। পরে জেলা প্রশাসকের মধ্যস্থতায় এই অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেন ৬ ইউপি চেয়ারম্যান ও মহিলা ভইস চেয়ারম্যান। কিন্তু প্রত্যাহার করেন নি ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাশেম। বিধি বাম, জেলা পরিষদের মধ্যস্থতার সফলতার বিন্দু মাত্র ঠিক হয়নি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান এর অনিয়ম দুর্নীতির কর্মকান্ড।
গতকাল ৮ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ১১ ঘটিকায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতার ৬ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সমাজ সেবা কর্মকর্তা কর্মচারি নিয়ে যাছাই বাছাই আলোচনা বৈঠকে এ সকল আলোচনা হয়। আলোনার এক পর্যায়ে বয়স্ক ও বিধবা ভাতার কাগজ পত্র দেখা দেখি সময় সদর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন আমার বরাদ্দের বেশির ভাগ লোকের নাম কাটা কাটি করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের উপরে জুতা তোলে ও সমাজ সেবা কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান এর সামনে তার অফিসের ইউনিয়ন সমাজ সেবা কর্মকর্তা আব্দুল্যাহ হেল কাফিকে শহিদুল ইসলাম শালু ও তার ছোট ভাই খোকা উপর্যপুরী চোর থাপ্পর মারে। এতে অফিসে একটি উত্তেজনা বিরাজ করলে উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবর রহমান রৌমারী থানা ইনচার্জ এবিএম সাজেদুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে তাকে ডেকে এনে উত্তেজনাকে থামিয়ে ঐ মুহুর্তে মাপ মুক্তির মাধ্যমে সমাধান করে দেন।
রৌমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু বলেন, আমার সদর ইউনিয়নে লোক সংখ্যা বেশী। এতে আমার যতগুলি নাম তার মধ্যে বেশীর ভ্গা নাম কেটে দিয়েছে। কাফিকে থাপ্পর মারার কথা বললে তিনি বলেন, কাফি ও উপজেলা চেয়ারম্যান দু’জনে মিলে এই নাম গুলি বিভিন্ন এলাকার মানুষের টাকার মাধ্যমে দিয়ে থাকে। বিভিন্ন সময় আমি ওদের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে থাকি। এতো দিন আমি ওদের কিছু বলিনি—–।
উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবর রহমানকে জিজ্ঞাস করলে তিনি জানান, বিধবা ও বয়স্ক ভাতার সদর চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম তার ইউনিয়নের বয়স্ক ও বিধবা ভাতার নামের তালিকা দিয়েছে। তার মধ্যে বেশীর ভাগ নামের বয়স কম। এ কারনে অনেক কয়েকটি নাম কেটে সংসেধন করার জন্য বলা হয়েছে। এতে উত্তেজিত হয়ে আমার অফিস কক্ষে একটি খারাপ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। ঐ মুহুর্তে উপায়ন্তর না পেয়ে ওসি সাহেবকে ডেকে উত্তেজনাকে শান্তিতে ফিরিয়ে আনি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × one =