ভুয়া ফেসবুক আইডিতে সাংবাদিকের সহ বিভিন্ন নাম ও ছবি ব্যাবহার এবং অনেকের নামে মিথ্যা খবর রটিয়ে বিভ্রান্তি ও প্রতারণা

0
1277

স্টাফ রির্পোর্টা’স,  কিশোরগঞ্জ, নীলফামারীঃ
গ্রামে একটি কথার প্রচলন আছে,
কুকুরের  কাজ না থাকলে আইলে-আইলে দৌড়ায়। আমাদের সমাজেও এমন লোকের উৎপত্তি বেড়েছে বৈকি। তা না হলে প্রতারক চক্রের ঐ সমস্ত বখাটেরা ভুয়া ফেসবুক আইডিতে সাংবাদিকের সহ বিভিন্ন নাম ও ছবি ব্যাবহার করে এবং অনেকের নামে বিভিন্ন মিথ্যা খবর রটিয়ে বিভ্রান্তি ও প্রতারনা করছে কেন। এরা নিজেদের জীবনকে তো নস্ট করেছে সমাজের ভদ্র লোকদেরকেও ব্যাপক ভাবে বিব্রত করছে। আর এই চক্রের সবচাইতে সিনিয়র বখাটের নাম হচ্ছে প্রভাষক নামের প্রতারক রউফুল । এই প্রতারক রউফুলের বাবাকে কেউ মুজিবর ডাকাত বা কেউ মুজিবর ডাক্তার নামে জানে । তার গ্রাম-দঃ বড়ভিটা পাইকারটারী (এতিমখানা মাদ্রাসার পার্শ্বে), ইউ.পি- বড়ভিটা, উপজেলা- কিশোরগঞ্জ, জেলা- নীলফামারী। এই প্রতারক নিজে থাকে বাবার হোটেলে আর স্ত্রী নিজেই চাকরী করে বাবার বাড়িতে থাকে। তার মানে এই প্রতারকের কোন কাজ নেই। তাই বিভিন্ন জনের মতো অপরাধ বিচিত্রার রিপোর্টার মোজাহারুল ইসলাম, জাকির হোসেন সুজন, আবু সুফিয়ান ও এস এম মশিয়ুর রহমানের নাম ও ছবি ব্যবহার করে বেশ কিছু ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে সেগুলোতে আজব সব ভুয়া, মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত খবর লিখে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। শুধু তাই না বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকের ব্যক্তিগত ও প্রত্রিকা অফিসের ইমেইলেও অন্যের নাম দিয়ে বিভিন্ন ভুয়া রিপোর্ট সেন্ট করিতেছে। এসবের কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে তার কিছু কু-প্রস্তাবে সায় না দেওয়া ও গত  ৯মে ২০১৬খ্রিঃ জাতীয় সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রায় বর্ষ-২০, সংখ্যা-৫০ এ ৪৬নং পৃষ্ঠায় “নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মোটর সাইকেল চোর রউফুল ও জাহাঙ্গীর অপরাধ বিচিত্রার ভুয়া সাংবাদিক ” শিরোনামে প্রকাশিত হয়। এতে তাঁর মোটর সাইকেল চুরি ও প্রতারনার সঠিক তথ্য তুলে ধরায় প্রভাষক নামের প্রতারক রউফুলের আসল মুখোশ খুলে যায়। এই মোটর সাইকেল চোর ও প্রতারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বড়ভিটা পশ্চিম পাড়ার মোঃ আজহারুল ইসলাম বলেন, গত ২০১৩ সালের ২৫শে রমজান কিশোরগঞ্জ উপজেলাধীন বড়ভিটা বাজারে মন্টুর দোকানের সামনে তাহার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি রাখিয়া বড়ভিটার মরহুম এমপি সাহেবের বাসায় ইফতারি করতে যান। ফিরে এসে দেখেন তাহার মোটর সাইকেলটি নাই । খোঁজ করলে তখন মন্টুর পাশের কাপরের দোকানদার বলেন যে, মোটর সাইকেলটি রউফুল নিয়ে গিয়েছে। রউফুলকে জিজ্ঞাসা করলে সে অস্বীকার করে। এই মোটর সাইকেল চোর রউফুল বড়ভিটা ইউ.পি চেয়ারম্যান সাহেবের খাস লোক হওয়ায় চেয়ারম্যান সাহেব ও অন্যান্য আরো কয়েক জনের  মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করলে ২৭ শে রমজান রাত্রি আনুমানিক ১২.০০ টার সময় বড়ভিটা মেলাবর ক্যামেরার বাজার সাইড-ক্যানেলে মোটর সাইকেলটি ফেলিয়া রাখে এবং পরে চোর রউফুল ফোনে আজহারুল ইসলামকে জানাইলে তিনি উক্ত স্থান হইতে তাহার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটিস্থানীয় লোকজন সহ উদ্ধার করেন। এই রউফুলের মোটর সাইকেল চুরির ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হইলে বড়ভিটা ইউ.পি তে জনসম্মুখে তাঁর বিচার হয় এবং উক্ত মজলিশেই বড়ভিটা হইতে যত মোটর সাইকেল চুরি হয়েছে তা উদ্ধার করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এছাড়া এই প্রতারক ছিনতাই, চুরি সহ বিভিন্ন মামলার আসামী। সে এসব মামলায় একাধিক বার হজত খেটেছে। যাহার একটির মামলা নং- ৯১/১৩(ক) স্বারক নং-১৩১৩/২০১৩, তারিখ-২২/০৮/২০১৩ খ্রিঃ ধারা-৩৭৯/২১৫/৫০৬(২) দঃ বিঃ (বিচারাধীন)। এসব ছাড়াও তার অপরাধ মূলক কর্মকান্ড গুলোর মধ্যে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের এ এস পি সার্কেল সাহেবের নামে উদ্ভট ও বানোয়াট তথ্য সহ মিথ্যা সংবাদ নিজের নাম গোপন করে মোবারক হোসেনের নাম দিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করে। অনুরূপ ভাবে কিশোরগঞ্জ থানার এসআই আবু বক্কও সিদ্দিকের নামে দুনীর্তির ভুয়া তথ্য প্রকাশ করে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করে। এছাড়াও মোবারক হোসেনের অপর মোটর সাইকেল চুরির মামলাটিকে হেনস্তা করার জন্য মোবারক হোসেনের নামেও বিভিন্ন পত্রিকা ও ভুয়া ফেসবুক আইডিতে অবাস্তব সব খবর রটাচ্ছে। (চলবে…)
ভুয়া ফেসবুক আইডিতে সাংবাদিকের সহ বিভিন্ন নাম ও ছবি ব্যাবহার এবং অনেকের নামে মিথ্যা খবর রটিয়ে বিভ্রান্তি ও প্রতারণা

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × four =