ভোলায় প্রবাসীর স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী ‘১কোটি বিশ লাখ টাকাসহ পলাতক’

0
1431

ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলা দক্ষিণ জয়নগর ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৌদি-আরব প্রবাসী মোঃ রিপন হাওলাদারের স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী গৃহবধু শাহনাজ পারভীন (৩৩) ১কোটি বিশ লাক্ষ টাকাসহ নিয়ে পালিয়ে গিয়ে ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দীঘলদী ইউনিয়নের জয়গুপী গ্রামের ছেলে মোঃ বিল্লাল (৩৫) এর সাথে ঘর বাধলেন প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শাহনাজ পারভীন ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দীঘলদী ইউনিয়নের চরকুমারিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ সিরাজ কাঞ্চন এর বড় মেয়ে বলে জানা যায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৭বছর পুর্বে ভোলা জেলা দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের পশ্চিম জয়নগর গ্রামের বাসিন্দা সেীদি আরব প্রবাসী। মোঃ রিপন হাওলাদারের সাথে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয় শাহনাজ পারভীন এর সঙ্গে। বিবাহের পর থেকেই শাহনাজ পারভীন তার বাবার বাড়ি বসবাস করে আসছে। এরপর প্রবাসী মোঃ রিপন তার স্ত্রীর নামে ব্যাংক এক্যাউন্ট খুলে ভোলা ইসলামি ব্যাংক, ও যুগিরঘোল জনতা ব্যাংক এ বলে জানা যায়।
এলাকাবাসী সুত্রে জানায়, শাহনাজ পারভীন মেয়ে অত্যান্ত খারাপ। ওদের পরিবারের সকল লোকজনে মিলে রিপন নামের ছেলেটির যা কিছু ছিলো সব আত্মসাৎ করছে। রিপন ওদের ফ্যমিলিতে অনেক টাকা পয়সা দিয়েছে। একেভারে ছেলেটাকে শেষ করে দিয়েছে এই মেয়েটি। যখন বিবাহ হয়েছে তখন পারভীনের বাবার আগে কিছুই ছিলো না শুধু ছোট একটা ভাঙ্গা চুরা ঘর ছিলো। তখন এই মেয়েটির বাবা জেল খানারও আসামি ছিলো। আর আজ ওদের ফ্যমিলি এই আমাদের এলাকার মধ্যে সবচেয়ে ধনাঢ্য টাকা পয়সা ওয়ালা হয়েছে। এতো টাকা কোথায় পেলো সব রিপন ছেলেটির!। আমরা দেখেছি মেয়েটি দিনে পাঁচ বার বাজারে যেতো। এই ছেলেটিকে নরম পেয়ে ওরা ভেঙ্গে চুরে খেয়েছে। সাংবাদিক ভাইরা আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ এই ছেলেটি যেনো সত্য বিচার পায় এবং টাকা পয়সা গুলো যেনো ফেরত পায়। সেই ব্যবস্থা দয়া করে আপনারা করবেন। যার কারন দেশে কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তিকে পাচঁ হাজার টাকা পকেটে দিলে বিচার মাটির সাথে মিলে যাবে। পারভীন মেয়েটি অবৈধ সম্পর্ক করে বিল্লাল নামের একটি ছেলের সঙ্গে বিবাহ বসছে পালিয়ে গিয়ে।
প্রবাসী রিপন সূত্রে জানান, আমি দীর্ঘ ২২বছর সেীদি আরবে ছিলাম। প্রথম ৫বছর পর ছুটি নিয়ে দেশে আসি। এর কিছুদিন পরে বিবাহ করি শাহনাজ পারভীনকে। বিবাহের পর থেকে আজ ২০১৭ সাল পযর্র্ন্ত যত টাকা পয়সা আয় করেছি। তা আমার স্ত্রীর এক্যাউন্ট এ জমা রেখেছি। যখন আমি বিদেশ থেকে দেশে ছুটিতে আসি তখন আমি খচর হিসেবে দুইলাক্ষ তিন লাক্ষ টাকা সঙ্গে নিয়ে আসতাম তাও আমার স্ত্রীর নিকট জমা রাখতাম। সেখান থেকে কিছু টাকা নিয়ে খচর করতাম বাকি টাকা স্ত্রী’র নিকট থেকে যেতো। আমার স্ত্রী যখন যেটা বলতো তখন আমি সেটা করতাম। আমার আপন মা বাবাকে টাকা পয়সা না দিয়েও শ^শুর বাড়ির লোকজনকে দিয়েছি। আমার  আপন ২ শালক মোঃ এমরান ও মাসুম তারা বিদেশে গিয়াছি তাও আমার টাকা দিয়ে। তারপর আমার স্ত্রী’র দুই আপন বোন মুক্ত ও খুখু তাদেরকেও আমি টাকা পয়সা আওলাত দিয়েছি। এমনকি তাদের বিবাহের খরচ পযর্ন্ত আমি দিয়েছি। আমার শ^শুরের যাবতীয় পারিবারিক খরচ গুলো আমি নিজেই বহন করতাম। আমার স্ত্রী বিভিন্ন স্থানে জমি ক্রয় করেছে তা আমার নামে রেখেছে অর্ধেক আর স্ত্রী’র নামে অর্ধেক দলিল করেছে। আমার শ^শুরের পাওয়ার টিলার, গরু, ছাগল ক্রয় করেছেন তাও আমার টাকা। এমনি কি গোয়াল ঘর সেটাও আমার টাকা দিয়ে নির্মান হয়েছে। তত্ববাধক সরকার আমলে ঢাকা শহরে জমি ক্রয় করেছে শ^শুরে সেখানেও আমার টাকা দিয়ে সব কিছু করেছে। দীর্ঘ ১৭ বছরে যে টাকা বিদেশে থেকে আয় করেছি তা সব আমার স্ত্রী’র নামে দিয়েছি। আমার বেতন ছিলো একলক্ষ টাকা ওভার টাইমসহ। এই বেতনের টাকা আমার আপন মা বাবাকেও দেয়নি। আমার স্ত্রী’র নিকট টাকা পাঠিয়ে বলতাম বাড়িতে আব্বু আম্মুকে টাকা দিও কিন্ত তাও আমার স্ত্রী দিতোনা। এভাবে ১৭টি বছর কাটিয়ে গেছে। এরপর আমি গত ১৪ ফেব্রুয়ীরর দিন স্ত্রী’র নিকট ফোন করলে তিনি আমার ফোনটা কেটে দিয়ে বন্ধ করে রাখে। তারপর আমি আমার শ^াশুরীর কাছে ফোন করে বলেছি আপনার মেয়ের কাছে একটু ফোনটা দেন কথা বলবো।তখন আমার শ^শুর শ^াশুরী বলে পারভীনে ঘুমায় পড়ে ফোন দিও ও এখন রাগ করে। এরপর আমি গত ২৫মার্চ ছুটি নিয়ে দেশে আসি। দেশে এসে শুনি আমার স্ত্রী টাকা পয়সা স্বর্ণ আলংকার নিয়ে পালিয়ে গেছে। অনেক খোজাখুজি করেও পাইনি। তার কিছুদিন পড়ে শুনি পাশ^বর্তী বিল্লাল নামের একটি ছেলের সঙ্গে পরকীয়া ছিলো তার সাথে চলে গেছে। এসময় এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বারের নিকট বিষয়টি জানিয়েছি। তারা বিচার করার কথা বলে আশ^াস দেয়।
আরো বলেন, শাহনাজ পারভীন বর্তমার যে ছেলেটির সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিবাহ হয়েছে। সেই ছেলেটি আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। তাদের গুন্ডা বাহিনী দিয়ে আমাকে খুন করবে । তার প্রমাণ রেকর্ড রয়েছে।
অবশেষে, গত ১৪-২-২০১৭ ফেব্রুয়ারী বিশ^ ভালোবাসা দিবসের দিন অন্যের ঘরে বাসা বাধেন শাহনাজ পারভীন বলে জানা যায়।
এবিষয়ে শাহনাজ পারভীনের সাথে একাধিকবার ফোন আলাপ করার চেষ্টা করলে পাওয়া যায়নি। ব্যবহৃত ০১৭০৩০৭৬৪৬১ মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে শাহনাজ পারভীনের বাবা মোঃ সিরাজ কাঞ্চন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার মেয়ে পারভীনের নামে ভোলা কোর্টে বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছি। এখন আমার মেয়ে কোথায় আছে তা আমি জানি না। আমার সাথে মাত্র কয়েকটি বিষয়ে হিসাব হয়েছে তাতে রিপন ৫লক্ষ টাকা পাবে বলে তিনি ঘটনার সততা স্বিকার করেছেন।
তবে এবিষয়ে মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে রিপন বলেন, বর্তমানে মামলা প্রস্তুতি চলছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 × one =