ভোলা মহাসড়ক যেন মরণ ফাঁদ!

0
386

আল-আমিন এম তাওহীদ ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলা টু চট্টগ্রাম মহাসড়টি বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। ভোলার অংশটি সড়ক নয় যেন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ক্ষোভে আর দুঃখে এমনটিই জানালেন এ রুটে চলাচলকারী যানবাহন শ্রমিক ও স্থানীয়রা। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার সাথে বন্দর নগরী চট্টগ্রামেরসহ বিভিন্ন জেলার এক মাত্র সহজ যোগাযোগ মাধ্যম এ রুটটি। এ রুটের ভোলা অংশের সড়কের গুপ্তমুন্সি এলাকা থেকে ইলিশা ফেরীঘাট পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বড় বড় গর্ত হয়ে ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই ৪-৫টি মালবাহী ছোট-বড় ট্রাক আটকে গিয়ে রাস্তাটি বন্দ হয়ে যাচ্ছে। এতে করে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ রুটে চলচলকারী শত শত ট্রাক ও লড়ি শ্রমিকদের। তবে অতিরিক্ত মাল বোঝাই করার কারনে এ সড়কটি দ্রুত নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
এক সময় ফেরীর জন্য যানবাহনের অপেক্ষা করতে হলেও এখন দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে এ তিন কিলোমিটার রাস্তা পার হতে। তবে সড়ক ও জনপথের লোকজন বড় বড় গর্তে ইট ও বালু ফেললেও তা কোনো কাজে আসছে না। ট্রাক শ্রমিকদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কটি সংস্কার না করায় এখন ব্যবহারের অনুযোগী হয়ে পড়েছে।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, ইলিশার গুপ্তমুন্সি এলাকা থেকে জংশন বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ৪-৫টি ট্রাক আটকে রাস্তা বন্ধ হয়ে আছে। দুই পাশে আরও প্রায় শতাধীক ট্রাক যাওয়ার অপেক্ষা করছে। কিন্তু কখন যেতে পারবে তা বলতে পারছে না কেউ। এরই মধ্যে আরেকটি ট্রাকের স্কেল ভেঙে পিছনের একটি চাকা ছুটে যায়। এতে পুরো রাস্তা বন্ধ হয়ে দূর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। চালকারা বলছে এ ট্রাক সরাতে ২/১ দিন লাগতে পারে।
খুলনা থেকে আসা চট্টগ্রামগামী ট্রাকের ড্রাইভার এনায়েত হোসেন জানান, দূর পাল্লার সড়কগুলোর মধ্যে ভোলা-চট্টগ্রাম রুটের ভোলা অংশের এ রাস্তাটির মত খারাপ রাস্তা বাংলাদেশের কোথাও নেই। দ্রুত সময়ে যাওয়ার জন্য আমরা এই রুটটি ব্যবহার করি। কিন্তু এখন যে অবস্থা ৩/৪ দিনের আগে গন্তব্যে পৌছানো সম্ভব হবে না।
ঢাকা থেকে আসা ট্রাক ড্রাইভার নুরে আলম জানান, রাস্তাটি খারাপ থাকার কারনে ড্রইভারদের অনেক দুঃখ দুর্দশা পোহাতে হচ্ছে। একবার গাড়ি আটকিয়ে গেলে ৪/৫ দিনেরও বেশী সময় রাস্তাই থাকতে হয়।
ট্রাক শ্রমিক ইউছুফসহ ৪-৫ জানান, রাস্তার যে অবস্থা হয়েছে এতে চলাচলের অনুপযোগী। যদি রাস্তা সংস্কার করতে না পারে তাহলে রাস্তাটি বন্ধ রাখুক। শুধু শুধু আমাদেরকে কষ্ট দেয়ার কি দরকার?
গুপ্তমুন্সি এলাকার নুরে আলমসহ স্থনীয় কয়েকজন জানান, দীর্ঘ তিন মাস ধরে ভোলার এ জনগুরুত্বপূর্ন সড়কটি মেরামত না করায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি দিয়ে দৈনিক দূর পাল্লার প্রায় সহ¯্রাধিক যানবাহন চলাচল করে। এতে করে যাবাহন চলাচলে যেমন বিগ্ন ঘটে, তেমনি মানুষ চলাচলেও দূর্ভোগ পোহাতে হয়। সড়কটি দ্রুত মেরামত করার জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ভোলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, শুধু ভোলাতে না, বাংলাদেশের অনেক জেলাতে রাস্তা খারাপ রয়েছে। এটা হচ্ছে একদিকে বর্ষা অন্যদিকে ট্রাকগুলো অতিরিক্ত মাল বোঝাই করার কারনে রাস্তাগুলো আরও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে ভাঙা অংশগুলো মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। বর্ষমৌসুম শেষ হলে পরানগঞ্জ থেকে ইলিশারহাট পর্যন্ত রাস্তাটির ১৪ কেটি টাকার একটি প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

nineteen − 12 =