মাদক ব্যবসায়ীদের প্রধান রুট আনোয়ারা

0
414

চট্টগ্রাম: মাদক ব্যবসায়ীদের প্রধান রুট হয়ে উঠেছে আনোয়ারা উপকূলীয় এলাকায়। টেকনাফ থেকে মাছ ধরার ট্রলারে করে আশঙ্কাজনকভাবে আসছে মাদক। টেকনাফের অধিকাংশ লোক এই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। নৌ-পথে আশঙ্কাজনকহারে মাদক পাচার বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি  অনুষ্ঠিত বিভাগীয় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় উঠে এসেছে। মাদক পাচার প্রতিরোধ করা প্রয়োজন বলে সভায় মত দিয়েছেন বক্তারা। জানা গেছে, বিভাগীয় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা ছাড়াও রোববার অনুষ্ঠিত বিভাগীয় কোর কমিটি ও টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠকেও মাদক, চোরাচালান ও মানব পাচারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সমুদ্র পথে মানবপাচার প্রায় বন্ধ হলেও মাদক ব্যবসার নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে নৌ-পথ। আনোয়ারা উপকূল দিয়ে মাদক ব্যবসা চলছে। তাই এখানে চলাচলরত মাছ ধরার ট্রলারে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  বিভাগীয় কমিশনার রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিভাগীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর সাহা জানান, তিনটি সভাতেই মাদক, চোরাচালান ও মানবপাচার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, মাদক ব্যবসার সঙ্গে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখতে একটি টিম কক্সবাজারে তদন্তে যায়। ওই টিমের দেওয়া তথ্যমতে মাছ ধরার ট্রলারের জেলেরা মাছ না ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। মাদক ব্যবসা বন্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা কমিটিতে আগামী ৩১ অক্টোবর ১৩২টি ইউনিয়ন পরিষদের ৩৩০টি ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ও আইন শৃঙ্খলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান শংকর সাহা।

আনোয়ারা উপকূল দিয়ে মাদক ব্যবসার বিষয়টি ডিআইজি শফিকুল ইসলামও জানিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন থেকে আনোয়ারা উপকূলে অবস্থানরত মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে নজরদারিতে রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। এদিকে মাদক, চোরাচালান, মানবপাচারের পাশাপাশি জঙ্গি ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাহাবউদ্দিন। জঙ্গি দমনে পুলিশ ও র‌্যাব সফল হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি তৎপরতা কমলেও জঙ্গি বিরোধী বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও সচেনতামূলক কার্যক্রমগুলো অব্যাহত রাখতে হবে। মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে দেশকে রক্ষা করতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোরও প্রস্তাব দেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

nineteen − 9 =