মুখ জ্বালাপোড়া করলে

0
2108

ক্রাউন ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর-১, ঢাকা
বার্নিং মাউথ সিনড্রোম মুখের ব্যথাযুক্ত অবস্থা যার কারণে জিহ্বা, ঠোঁট, তালু অথবা পুরো মুখেই জ্বালাপোড়া ও ব্যথা হতে পারে। নারী এবং পুরুষ উভয়েরই বার্নিং মাউথ সিনড্রোম পরিলক্ষিত হয়। মেয়েদের মেনোপজের সময় বা মেনোপজের পরে বার্নিং মাউথ সিনড্রোম বেশি দেখা যায়। এ রোগটি অল্প বয়সেও হতে পারে।
লক্ষণ
* মুখ, গলা, ঠোঁট ও জিহ্বায় জ্বালাপোড়া অনুভব হওয়া।
* মুখের অভ্যন্তরে পুড়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি হতে পারে।
* শুষ্ক মুখ।
* তিক্ত বা ধাতব স্বাদ।
* জিহ্বার স্বাদে পরিবর্তন।
* খাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন।
যে কারণে এ সমস্যা হতে পারে
* মেনোপজের সময় হরমোনের তারতম্যের কারণে।
* হরমোনের তারতম্যে লালার উপাদানের পরিবর্তন।
* ডায়াবেটিস।
* আয়রন, জিংক, ফলেট, থিয়ামিন, রিবোফ্লোভিন, পাইরিডক্সিন, কোবালামিন এসব উপাদানের অভাবে রক্তশূন্যতা হতে পারে।
* ক্যান্সার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি বা রেডিও থেরাপির পর বার্নিং মাউথ সিনড্রোম হতে পারে।
* শতকরা ৭০ ভাগ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয় না।
* শুষ্ক মুখ।
* ওরাল ক্যান্ডিডোসিস (একটি ফাঙ্গাল সংক্রমণ)।
* দাঁত কামড়ানো।
* যেসব স্নায়ু ব্যথা ও স্বাদ নিয়ন্ত্রণ করে তা কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে।
* কৃত্রিম দাঁত বা ডেনচার ঠিকভাবে স্থাপন করা না হলে।
* অ্যালার্জিজনিত সমস্যা যেমন কোনো রোগীর খাবার বা মেটালিক ডেনচারের প্রতি এলার্জি থাকতে পারে।
* পেটিক এসিড উদগীরণের কারণে।
* দুশ্চিন্তা বা হতাশার কারণে অর্থাৎ যে কোনো ধরনের মানসিক সমস্যা।
যা করা প্রয়োজন
* অল্প অল্প করে প্রচুর পানি পান করতে হবে।
* গলায় কোনো সমস্যা না থাকলে পরিমিতভাবে বরফ কুচি চোষা যেতে পারে।
* গরম ও মশলাযুক্ত খাবার গ্রহণে বিরত থাকতে হবে।
* চিনিবিহীন টুইঙ্গাম চোষা যেতে পারে।
* কৃত্রিম দাঁত ও ডেনচার (যদি থাকে) তবে তা সোডা ও পানি দিয়ে ব্রাশ করতে হবে।
* টুথপেস্টের ব্র্যান্ডের পরিবর্তন প্রয়োজন হতে পারে।
* কোল্ডড্রিংকস, কফি, চা ১৫ দিনের জন্য বন্ধ করে দেয়া যেতে পারে।
* অ্যালকোহল এবং ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
* উচ্চ রক্তচাপ যদি থাকে তাহলে ওষুধের পরিবর্তন প্রয়োজন হতে পারে।
বার্নিং মাউথ সিনড্রোমের চিকিৎসা করতে হয় রোগের লক্ষণ এবং কারণ অনুযায়ী। অনুমানভিত্তিক চিকিৎসা ফলপ্রসূ হয় না। বর্তমানে এ সিনড্রোমের জন্য উন্নত ওষুধ ব্যবহার হয়ে থাকে। মুখের জ্বালাপোড়া রোগে দুশ্চিন্তা না করে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ থাকুন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

twenty + 20 =