রাজশাহীর মানুষ লিটনকে ফের মেয়র হিসেবে দেখতে চাই

0
863

আলিফ হোসেন, তানোর
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি. আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সাবেক সিটি মেয়র, প্রবীণ, ত্যাগী-নিবেদিতপ্রাণ ও বর্ষিয়ান রাজনৈতিক নেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে আবারো রাজশাহী সিটিকর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দেখতে চাই রাজশাহী মহানগরীর দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ। রাজশাহী মহানগরীর সাধারণের অভিমত, মহানগরীর উন্নয়সের সঙ্গে তারা সম্পৃক্ত থাকতে চাই ও দেখতে চাই মহানগরীর দৃশ্যমান উন্নয়ন। কিšত্ত বিএনপি দলীয় বর্তমান মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এক্ষেত্রে প্রায় পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ বা উন্নয়ন কাজ করাতো দুরের কথা পূর্বের মেয়র লিটনের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই তারা মনে করেন, ইতিপূর্বে তারা লিটনকে মেয়র পদে নির্বাচিত না করে যে ভূল করেছেন,এবার তাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করে সেই ভূল শোধরাতে চাই। এদিকে আওয়ামী দলীয় সূত্র জানায়, মনে করা হচ্ছে রাজশাহীতে মেয়র থাকাকালে খায়রুজ্জামান লিটনের অপ্রত্যাশিত দৃশ্যমান উন্নয়ন কর্মকান্ড এবং যেহুতু আওয়ামী লীগে তার বিকল্প নেতৃত্ব বা তেমন কোনো শক্তিশালী প্রার্থী নাই তাই তিনিই আবার দলীয় মনোনয়ন পাবেন এটা নিশ্চিত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান-এর সুযোগ্য পূত্র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন তাঁর বাবার দেখানো পথ থরেই রাজনীতি করে চলেছেন। দেশের প্রচলিত রাজনৈতিক ধারায় থাকলেও তিনি কখনই লোভ লালসার স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি। আবার অবৈধ সম্পদ অর্জনের ব্যাপক সুযোগ থাকার পরেও তিনি কখনই সেই পথে পা বাড়ায়নি। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের অনেক উঙ্খান-পতন তিনি দেখেছেন, কিšত্ত তিনি কখনই তাঁর আদর্শ থেকে বিট্যুত হননি। এমনকি ৮০.র দশকে স্বৈরাচার এরশাদ সরকার তাকে মন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়েও দলে টানতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি তার বাবার দেখানো পথে ও জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি শুরু করেছেন এখানো সেই পথেই রয়েছেন। রাজনীতিতে অনেক ঝড়-ঝাপটা ও শত প্রতিকুলতা মোকাবেলা করে তিনি এখানো আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে চলেছেন। কোনো লোভ-লালসা তাকে তার আদর্শ থেকে বিন্দুম্ত্র বিচ্যুত করতে পারেনি। লিটন দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি থেকেছেন সামনের সারিতে দিয়েছেন সফল নেতৃত্ব। দল ও জনগণের অধিকার রক্ষার তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ, কর্মী ও জনবান্ধব এবং পরীক্ষিত ও লড়াকু সৈনিক। প্রচলিত রাজনৈতিক ধারায় থাকলেও লোভ লালসার স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি। তিনি তৃণমুল নেতাকর্মীদের সঙ্গে থেকে এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন সংগ্রাম। এই সংগ্রাম রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন সূচনার সংগ্রাম। তিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগকে অর্থ নয় মেধার কাছে জিম্মি রাখতে চান। লিটন বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের উন্নয়ন ধারাকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করতে চান।
জানা গেছে, রাজশাহী সিটিকর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী মহানগরীর ড্রেন, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপ্রত্যাশিত যেসব দৃশ্যমান উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছেন। রাজশাহী সিটিকর্পোরেশনের ইতিহাসে অনেকটা বিরল তার আগে কেউ কখনই তাঁর অর্ধেক উন্নয়ন কাজ করতে পারেননি। আর বিষয়টি তার পরাজয়ের পর রাজশাহীর সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছেন। এদিকে রাজশাহী মহানগরীর উন্নয়নের স্বার্থে এবার দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ লিটনকে মেয়র দেখার অধির অপেক্ষায় রয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এব্যাপারে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাকে কাজ করতে বলেছেন। তিনি ইতমধ্যেই নানান ভাবে গণসংযোগ করছেন ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

6 + 7 =