মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
রৌমারীতে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষাপেল লাভলী খাতুন।ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলাধীন দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের দাঁতভাঙ্গা গ্রামে। গতকাল জামালপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলার ব্রীজপাড় এলাকার তিন সন্তানের জনক মৃত আব্দুস সালামের পুত্র আব্দুর রশিদ (৫২) এর সাথে দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের দাঁতভাঙ্গা গ্রামের বাবলু মিয়ার সপ্তম শ্রেণীর স্কুল পড়–য়া কন্যা লাভলী পারভীন(১৩) সাথে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে রৌমারী উপজেলা প্রেসক্লাবের উদ্দ্যোগে প্রশাসন ও শিশু বিষয়ক কলসেন্টার ১০৯৮ নাম্বারে বাল্য বিয়ের বিষয়ে হস্তক্ষেপ কামনা করলে তাদের তরিৎ হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষা পায় স্কুল ছাত্রী লাভলী পারভীন (১৩)। সে দাঁতভাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী । বাল্যবিবাহের বিষয়টি প্রশাসন নিশ্চিত হয়ে সেখানে হাজির হয়ে বাল্য বিবাহ বন্ধ করে। তবে এসময় বর বা বর পক্ষের কাউকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বর ও বর পক্ষের লোকজন সটকে পড়ে।
রৌমারী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম মুঠোফোনে জানান, বাল্য বিবাহের খবর পেয়ে বিয়ে বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ বিয়ে বন্ধ করে চলে আসার পরে আবারো বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করে কনে পক্ষ। পরে আজ শুক্রবার (১৮ আগষ্ট) রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফাউজুল কবীর ১০৯৮ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে সরাসরি ঘটনাস্থলে এসে বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়। এদিকে বিয়ে বাড়িতে আসার খবর পেয়ে বরপক্ষ বিয়ে বাড়ি ত্যাগ করে। তবে একটি ব্যবহিত সিএনজি গাড়ী রেখে পালিয়ে যায়। পরে গাড়িটি উদ্ধার করে থানা নেয়া হয়।
নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে স্কুল ছাত্রী লাভলীকে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না এবং )আবারো স্কুলে পাঠাবেন এমন মুছলেকা প্রদান করেন কনের দরিদ্র পিতা বাবলু মিয়া। এ বিষয় রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম জানান, বৃহস্পতিবার বাল্যবিয়ে বিষয় তথ্য দিলে তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশের খবর শুনার পর বর পালিয়ে যায়।কিন্তু বড়পক্ষের লোকজন দাপটে ঐ বিয়ের বাড়িতে আবার বিয়ের কার্যক্রম চেষ্টা চালায়। কিন্তু থানা পুলিশ বড়পক্ষের লোকজনের সঙ্গে বাল্য বিবাহ সর্ম্পকে জিজ্ঞাসা করলে তারা স্বীকার করে। এক পর্য্যায় বড়পক্ষের লোকজন পুলিশের কাছে ক্ষমা চেয়ে পরে মেয়ের বাবা বাবুল মিয়া তার নাবালীকা মেয়েকে তাদের (বড়পক্ষ) বড় বিয়ে করবে না মর্মে পুুলিশের কাছে মুছলেকা দেন।এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাউজুল কবীর সাংবাদিকদের জানান, বাল্যবিয়ে বন্ধ হওয়ার মেয়ের পরিবারকে কিছু আর্থিক সহযোগিতার কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাল্য বিবাহের সাথে যারা জরিত তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ি ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে ধন্যবাদ জানান শিশু বিষয়ক কলসেন্টার ১০৯৮ কে।