মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে গভীর রাতে অপরিচিত দুই ব্যাক্তিকে আটক করেছে বিজিবি। গতকাল মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১.৩০ ঘটিকার সময় বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে লগ্নে আন্তজার্তিক মেইন পিলার ১০৬৭ নিকট দুই অপরিচিত ব্যাক্তিকে আটক করে বড়াইবাড়ি ক্যাম্পের টহলরত সদস্যারা।
আটকৃত ব্যাক্তিরা হলেন, উপজেলার বড়াইবাড়ী গ্রামের আব্দুল ছাত্তারের ছেলে শহর আলী (৩০) ও পুড়ান চুলিয়ার চর গ্রামের মৃত কলফেজ উদ্দিনের পুত্র নুরুজ্জামান (৩২)।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সীমান্তে গভীর রাতে অপরিচিত ভেবে দুই ব্যাক্তিকে আটক করে বিজিবি। কিন্তু তারা কোন মাদক ও চোরাকারবারীর সঙ্গে যুক্ত না। তবে জানাগেছে, রাতে ভারতীয় সীমান্তের কাঁটাতার কাটার সন্দেহেতীত ভাবে আটক করে বিজিবি।
সীমান্তে আটক হওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে রৌমারী (বিজিবি) ক্যাম্পের সুবেদার হাসনাইন জানান, “ভারতীয় বিএসএফ আমাদেরকে কাঁটাতারের বেড়া বাংলাদেশি চোরাকারবারিরা প্রতিরাতে কেঁটে দেয়ার অভিযোগ করে। পরে রৌমারী থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১.৩০ ঘটিকার সময় আমাদের টহল দল বড়াইবাড়ী সীমান্ত লগ্ন এলাকায় তাদের অপরিচিত দুই ব্যাক্তিকে দেখতে পায়। পরে তাদের সীমান্তে আসার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তারা নানান কথা বলে পাশকাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের টহল দল তাদেরকে কাঁটাতার কাঁটার সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। পরে জিজ্ঞাসার এক পর্যায়ে তাদের স্বীকাররক্তি অনুযায়ী গরু পাচারের সঙ্গে জরিত রয়েছে বলে আমাদের জানান। পরে তাদের বিরুদ্ধে রৌমারী থানায় মাদক ও চোরাচালান আইনে মামলা করা হয়।”
তবে আটককৃত দুই ব্যাক্তিকে জিজ্ঞাস করলে তারা জানান, “আমরা কোন চোরাচালানের সাথে জরিত নই। তবে আমাদের বাড়ির পাশের সীমান্তে গরু ব্যবসায়িদের সাথে বিজিবির হৈ চৈ এর শব্দ পেলে আমরা সেখানে যাই। পরে চোরাকারবারিদের অন্যকাউকে আটক করতে না পেরে আমাদেরকে ক্যাম্পে আটক করে নিয়ে আসে।”
এ প্রসঙ্গে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি সাজেদুল ইসলাম জানান, “আটকৃত দুই ব্যাক্তিকে থানা সোর্পদ ও মাদক ও চোরাচালান আইনে একটি মামলা করে বিজিবি। পরে তাদেরকে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।”