লাইসেন্স পেয়ে গেলেই ভেজাল ওষুধ উৎপাদন শুরু হয়

0
1695

chairman

এসএম মোরশেদ, জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান

বাংলাদেশে ভেজাল ওষুধ নির্ধারণ করার মতো জনবল ও কার্যকারিতা নেই৷ কোম্পানিগুলো মানসম্মত ওষুধ উৎপাদন করে লাইসেন্স নেয়, পরে নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহার করে৷ জানান জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এসএম মোরশেদ৷

ডয়চে ভেলে: আপনারা ভেজাল ওষুধ নিয়ে বহুদিন ধরে কাজ করছেন৷ বাংলাদেশে ভেজাল ওষুধের দৌরাত্ম্য এত বেশি কেন?

এসএম মোরশেদ: বাংলাদেশে ভেজাল ওষুধ নির্ধারণ করার মতো সরকারের পক্ষ থেকে যে জনবল রয়েছে, তা যথেষ্ট নয়৷ একেবারেই অপ্রতুল৷ সেজন্য ভেজাল প্রতিরোধে গত প্রায় আট বছর ধরে কাজ করছি আমরা৷ আমরা ভেজাল খাদ্যসামগ্রি ও ওষুধ তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সচেতন করার জন্য জেলায় জেলায় প্রচারণা চালাচ্ছি৷ এ সব প্রতিষ্ঠানের কাছে গিয়ে কথা বলছি৷ আসলে সব কিছুতেই তো ভেজাল৷ যে কোনো ওষুধ কোম্পানিতে গেলে দেখবেন যে, তারা যখন লাইসেন্সটা নেয়, তখন মানসম্মত ওষুধ উৎপাদন করেই লাইসেন্সটা নেয়৷ কিন্তু লাইসেন্স পাওয়ার পর, তারা আর মানসম্মত ওষুধ তৈরির দিকে খেয়াল রাখে না৷ তখন নিম্নমানের কাঁচামাল দিয়ে ওষুধ উৎপাদন করে৷ ফলে এর ভুক্তভোগী হন সাধারণ মানুষ৷ অথচ সাধারণ জনগণ পয়সা দিয়েই এই ওষুধ কিনছেন৷ অথচ তাঁদের রোগ প্রতিরোধে তা কাজে আসছে না৷ তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন৷

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × 5 =