শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটামের মুখে ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই অধিভুক্ত সাত কলেজের ফলাফল ঘোষণার আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। ভিসির আশ্বাসে আলটিমেটাম থেকে সরে এসে আন্দোলন স্থগিত করেছে কলেজ শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার ভিসির দফতর সংলগ্ন লাউঞ্জে সাত কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সাথে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন ভিসি অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের এ আশ্বাস দেন। এ সময় অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ৩০ নভেম্বর মধ্যে ফলাফল দেয়ার ডেডলাইন দিচ্ছি। এর আগেও হয়ে যেতে পারে। নভেম্বরের মধ্যে যে ফল প্রকাশ করবো শুধু তা নয়। এটা একটি ডেডলাইন। আমরা এটা অতিক্রম করবো না। তবে যদি ফলাফল ঘোষণার সময়টা কাছে আনতে পারি তবে আমরা আরো খুশি হব। অক্টোবরের মধ্যে যদি পারি তবে সেটা আরো ভালো। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমাবদ্ধতার কারণেই এ বিলম্ব হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এজন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনিক্যাল টিমের সহায়তায় ফলাফল তৈরির কাজ করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যে প্রক্রিয়ায় ফলাফল দেয়, উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে, ফলাফল সংরক্ষণ করে, টেবুলেশন শিট তৈরি করে, এর সাথে প্রযুক্তিগত যে কলাকৌশল জড়িত সেই বিষয়টির সাথে আমাদের প্রকৌশলী টিম অভ্যস্থ না। আমাদের সিস্টেম ভিন্ন। আমাদের একটা সিস্টেমস আছে। একটা দির্ঘমেয়াদী ফরমেটে আমরা চলে আসছি। হঠাৎ করেই যখন এটা নিলাম তখন ওই কলাকৌশলীর কারিগরি সহায়তা আমাদের সক্ষম হয়নি। তবে তিন-চার মাসের মধ্যে এটা আমাদেরও হয়ে যাবে। তখন আর কারো ওপর আমাদের নির্ভর করতে হবে না। অধ্যাপক আখতারুজ্জমান বলেন, শিক্ষার্থীদের কল্যাণার্থে আমরা দু’টি কাজ করছি। একটি হলো- তোমাদের ঠেস দেয়া (ব্যবস্থা নেয়া), আর ভবিষ্যতে কারো সহায়তা নেয়া না লাগে সে সক্ষমতা তৈরি করা। আমি এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিগরি টিমের সহযোগিতা নিচ্ছি। এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সাথে কথা বলেছি। তিনি সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে হঠাৎ করেই অধিভুক্তির বিষয়টিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একধরনের ভুল সিদ্ধান্ত মন্তব্য করে তিনি বলেন, সবচেয়ে উত্তম ব্যবস্থাপনা হবে ২০১৭-১৮ এর পর। যদি তখন থেকে আমরা এ কলেজগুলোকে গ্রহণ করতাম তবে ওইটা হতো উত্তম ব্যবস্থা। তাহলে এতো জটিলতা, এতো সমস্যা তোমাদের জীবনে আসতো না। এদিকে ভিসির সাথে আলোচনা শেষে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখপাত্র এবং সরকারি কবি নজরুল কলেজের শেষ বর্ষের ফলপ্রার্থী ফয়জুর মেহেদী। তিনি বলেন, ভিসির দেয়া ডেডলাইনের (সময়সীমা) পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। তবে এর পরেও না হলে আমরা আমাদের পরবর্তী করণীয় নিধারণ করবো। তিনি বলেন, যেহেতু ভিসি স্যার মাত্র এক মাসের মতো সময় দায়িত্বে আছেন, তাই উনার গুছিয়ে উঠতে সময় লেগেছে, তিনি আমাদের প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক ছিলেন। শুধু ফল ঘোষণাই নয়, ভিসির সাথে পাঁচ দাবির সবগুলো নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানান তিনি। ফয়জুর বলেন, ডিগ্রিসহ অনার্সের সব বিভাগ ও বর্ষের পরীক্ষার সূচি ও ফল প্রকাশ এবং দ্রুত একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়নের আশ্বাস দিয়েছেন ভিসি।