শূন্য রানে আউট হয়েই রেকর্ডে মালিক

1
2402

রত্যাবর্তনটি স্মরণীয় করে রাখার সব বন্দোবস্তই করে ফেললেন শোয়েব মালিক। পাঁচ বছর পরে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ফিরেই দ্বিশতক। তবে এই ডাবল সেঞ্চুরিটি নয়, তাঁকে টেস্ট ইতিহাসে সংক্ষিপ্ত এক তালিকায় জায়গা করে দিল দ্বিতীয় ইনিংসের শূন্যটাই। মাত্র ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে একই টেস্টে দ্বিশতক এবং শূন্য রানের বিপরীতমুখী স্বাদ পেলেন এই পাকিস্তানি।
খেলার জগতে দান পাল্টাতে সময় লাগে না। মালিকের ক্ষেত্রে সময়টি মাত্র তিন দিন ছিল। প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা ২৪৫ করার পর আজ আবুধাবি টেস্টের শেষ দিনে চার বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই জেমস অ্যান্ডারসনের শিকার। তাঁর আগে একই টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি ও ডাক ​মারার ‘কীর্তি’ ছিল ডাডলি নোর্স, ইমতিয়াজ আহমেদ, সেইমুর নার্স, ভিভ রিচার্ডস ও রিকি পন্টিংয়ের। পন্টিংয়ের ঘটনাটি ২০০৩ সালে। গত এক যুগে একই টেস্টে হিরো আর জিরোর যুগপৎ​ ইনিংস খেলার অভিজ্ঞতা মালিকেরই হলো প্রথম।
১৯৫৫ সালে লাহোর টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানেরই ইমতিয়াজ প্রথম ইনিংসে ২০৯ রান করেছিলেন, দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য। পরের ঘটনাটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের নার্সের, দশ বছর পর। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ২০১ রানের ইনিংস খেলে পরের ইনিংসে গোল্লা। আরেক ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি রিচার্ডস ১৯৮৪ সালে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই একই ভাগ্য বরণ করেছিলেন। ক্ষুদ্র এই তালিকার পরবর্তী সদস্য হতে ১৯ বছরের অপেক্ষা। ভারতের বিপক্ষে ২০০৩ অ্যাডিলেড টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২৪২ রানের অসাধারণ এক ইনিংসের পর শূন্য মেরে এই তালিকায় যোগ দেন পন্টিং। দ্বিতীয় ইনিংসে পন্টিংয়ের পাওয়া শূন্যটি অস্ট্রেলিয়ার পরাজয়ে ভূমিকা রেখেছিল।
এ তো গেল ‘হিরো থেকে জিরো’দের গল্প। এর উল্টোটিও আছে। ‘জিরো থেকে হিরো’র তালিকায় কেবল একজনই। আজ থেকে ৮০ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকান নোর্স প্রথম ইনিংসে শূন্য হাতে ফেরেন। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসেই ২৩১ রানের এক ইনিংস খেলে দলকে বাঁচিয়েছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × 1 =