শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে রৌমারী ও রাজিবপুরের ঈদ বাজার ,পুরষদের চেয়ে নারী ক্রেতাদের কেনাকাটায় বেশি দেখা যায়

0
1242

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুরের ঈদ মার্কেট ততই জমে উঠছে। অন্যান্য বছর যেমন রমজানের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাজারে কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়, এ বছর তার ব্যাতিক্রম ঘটেছে। ১৫/১৬ রমজানেও রৌমারী ও রাজিবপুরের ঈদ মার্কেটে ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। তবে ২০/২২ রমজান থেকে মার্কেটগুলোতে প্রচ- ভিড় লেগে গেছে। তবে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হওয়াতে কিছুটা বিড়ম্বনা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া পুরষদের তুলনায় নারীদের ভিড় সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে বিপণী বিতান গুলোতে। ব্যবসায়ীরা বলছেন ক্রেতার সংখ্যা বেশি থাকলেও বিক্রি কম। গত বছরের তুলনায় এবার কাপড় জুতাসহ সব রকমের আইটেমের দাম বেশি বলে ভুক্তভোগী ক্রেতারা বলছেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের ক্রেতাদের ভিড় বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর উপজেলা শহরের ক্রেতা সাধারণ ইফতারীর পর থেকে মধ্যরাত এবং কোন কোন দোকানে সারারাত কেনাকাটা করছেন। এ বছর বাজারে শাড়ি, থ্রি-পিস, সালোয়ার, কামিজ, জিন্?স প্যান্ট, টি-শার্ট প্রভৃতি কাপড়ের আইটেমসহ রকমারী জুতা স্যান্ডেলের সমাহার হয়েছে। বাচ্চাদের কাপড়ের মধ্যে গতবছরের আকর্ষণীয় ডিজাইন ও বাহারি কাপড়ের সমাহার যেমন রয়েছে তেমনি নিত্য নতুন নামেও এবার রয়েছে বাচ্ছাদের অনেক আইটেমের কাপড়। তবে দাম বেশি হওয়ায় এই সব পোশাক সব ধরনের ক্রেতা কিনতে পারছেন না বলে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন।তবে দাম বেশি হওয়ায় ফ্যাশন পাঞ্জাবী ও রেডিমেট ফ্যাশন পোষাকের বিক্রি কম হচ্ছে। শুধু কিরণ মালা আইটেমের পোষাক দিতেই দোকানদাররা হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানা গেছে।এবার পাঞ্জাবী নিম্নে ৪’শ থেকে ওপরে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের মধ্যে দেখা গেলো কুড়িগ্রামের উপজেলা প্রেসক্লাবের একসঙ্গে ৭ সাংবাদিক ইদ উপলক্ষ্যে একই কালারের পাঞ্জাবী ক্রয় করার জন্য রৌমারী মার্কেটে প্রবেশ করলে তাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, দাম বেশি হওয়ার জন্য পছন্দ হওয়া সত্ত্বেও মনের মতো পোষাক কেনা পাচ্ছে না দরিদ্র পরিবারগুলো। শাড়ি কাপড়ের দোকানে বেশি ক্রেতার ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে এখানেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। রৌমারী ও রাজিবপুরসহ দুইটি উপজেলায় প্রতিটি দোকানেই বেশ ভিড় লক্ষ্য করা যায়, ক্রেতা মোস্তাফিজুর রহমান তারা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও শওকত আলী মন্ডল সাধারন সম্পাদক, মাজহারুল ইসলাম সাংগঠনিক সম্পাদকসহ তারা বলেন, অনান্য শোরুমের চেয়ে উপজেলা যুব লীগ সভাপতি হারুন অর রশিদ এর শোরুমে মেয়েদের পোষাক ভালো মানের, দামও কম। তাছাড়া ও রচিশীল পোষাকও পাওয়া যায়। এসটি ফ্যাশন এর বিক্রেতা যুবলীগ নেতা বলেন, পাইকারীর মোকামেই বেশি দামে এবার ঈদ মার্কেটের কেনাকাটা করতে হয়েছে। নূন্যতম লাভেই আমরা বিক্রি করার চেষ্টা করছি। এবার রৌমারী ও রাজিবপুর বাজারে ক্রেতাদের মধ্যে তরণ-তরণীদের ভিড়ই বেশি লক্ষ্য করার যাচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় তরনীরা দল বেধে দোকান গুলোতে কেনাকাটা করতে উপছে পড়া ভিড় করে মনের মতো করে পোষাক ক্রয় করছেন প্রায় সব ধরনের জনসাধারনরা

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

twenty + twelve =