সাবের হোসেন চেীধুরী আর্শীবাদ পুষ্ট ওসি এনামুলের শেল্টারে কাউন্সিলর আব্দুল বাসিত খান বাচ্চুর বিরুদ্ধে ধর্ষন সহ প্রাননাশের হুমকির অভিযোগ নারীরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে, প্রশাষনের শাসন নেই

0
1481

ঈগল টিমঃ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যে মুহুর্তে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য আপোষহীন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন, ঠিক সে মুহুর্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভীষন ক্ষুন্ন করার জন্য এক শ্রেনীর বন্ধুবেশী কুচক্রি মহল আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে নারীর সম্ভ্রম হানী, জীবন হানীর হুমকি, দাপট দেখানো নানা অপকর্মে থেকে নিজেদের হীন স্বার্থসিদ্ধি হাসিল করে চলেছে। পুলিশের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে থাকা ডিসিসি দক্ষিন ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল বাসিত খান বাচ্চু’র বিরুদ্ধে ধর্ষন, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ভয়ভীতি ও দাপট দেখিয়ে প্রানে মেরে ফেলার হুমকির বিষয়ে আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষন ও প্রতিকার চেয়ে এই সংবাদ। আমি ইয়াসমিন রহমান স্বামী মোঃ মাহফুজুর রহমান সাং-৭৮/১ এ মিয়াজান লেন মানিক নগর, থানা: মুগদা ঢাকা-১২০৩। আমার স্বামী ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির সহ সভাপতি ছিলেন। প্রায় ৩ বছর যাবৎ প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে শয্যাসায়ী আছেন, তার একটা পা কেটে ফেলা হয়েছিল। আমাদের প্রতিবেশি আব্দুল বাসিত খান বাচ্চু বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ১৯৯৬ সালে তিনি ছিলেন সাবেক ৩০ নং ওয়ার্ড (বর্তমানে ৭ নং ওয়ার্ড) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি তার দল পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। আব্দুল বাসিত খান বাচ্চু প্রতিবেশি এবং পরিচিতির মাধ্যমে আমার প্রতি তার লোলুপ দৃষ্টি পরে। বাচ্চু আকার ইঙ্গিতে পরে সরাসরি ও মোবাইল ফোনে আমাকে কু-প্রস্তাব দিতে থাকে।  আমি বিরক্ত ও ভীত হয়ে আমাদের এলাকার (ঢাকা ৯ আসন) সাংসদ সাবের হোসেন চেীধুরীকে লিখিত ও মৌখিকভাবে বিষয়টি জানাই এবং আমাকে মোবাইলে কু-প্রস্তাব দেওয়ার রেকর্ডকৃত কথা গুলো শুনাই। কিন্তু তার কাছ থেকে কোন ধরনের সহযোগীতা পাইনি। বাচ্চুর বিরুদ্ধে মুগদা থানায় ৩/৪/২০১৬ তারিখে একটি সাধারণ ডায়েরী করি যার নং-১৩৩। বাচ্চু আমাকে কিছু না করতে পেরে স্বপনা নামের এক মহিলাকে কৌশলে আমার বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে প্রবেশ করায়। ওই মহিলা বাচ্চুর রক্ষিতা। এই মহিলার সাথে যোগয়োগ করে আমার নামে একটি মিথ্যা মামলায় ফেলে আমাকে জেল খাটানোর ভয় দেখিয়ে এবং কাউন্সিলর হিসেবে মুগদা থানায় প্রভাব বিস্তার করে পুলিশের মাধ্যমেও আমাকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। পুলিশের হয়রানি এবং কাউন্সিলরের ভয়-ভীতি চলতে থাকা অবস্থায় ৬/১২/২০১৬ ইং তারিখে মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হকের উপস্থিতিতে  স্বপনাকে দিয়ে একটা আপোষ মিমাংসার কথা বলে, কাউন্সিলর বাচ্চু আমাকে তার কার্যালয়ে ডেকে নেয়, তার পরে একথা ওকথার পরে বাচ্চু আমাকে জড়িয়ে ধরে। আমি চিৎকার করলে বাচ্চু আমার মুখ চেপে ধরে এবং জোড়পূর্বক আমার পরণের কাপড় টেনে ছিড়ে খুলে ফেলে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ভয়ে আমি আমার হিতাহিত জ্ঞানশুন্য হয়ে  প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলি। ধর্ষণের পরে বিভিন্ন প্রকারের হুমকি-ধামকি দিয়ে তার কার্যালয় থেকে আমাকে বের করে দেয় এবং বলতে থাকে আমার বিরুদ্ধে জিডি করার স্বাদ মিটিয়ে দিলাম। এই কথা কাউকে বললে প্রানে মেরে ফেলবো। আমি বিধ্বস্ত অবস্থায় বাসায় যাওয়ার পর আমার স্বামী কিছু আচ করতে পেরে চিৎকার-চেচামেচি করতে থাকে, বিষয়টি আমি আমাদের এলাকার ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি হাজী এ বি এম শরিফকে ফোনে জানাই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহম্মেদ ইকবালের সহযোগীতায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি হই এবং চিকিৎসা গ্রহণ করি। বাচ্চু কাউন্সিলরের হুমকি এবং দাপটের কারণে মামলা করতে ভয় পাচ্ছিলাম। ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টার কর্তৃপক্ষের পরামর্শে গত ৮/১২/২০১৬ ইং তারিখে আমি ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে মুগদা থানায় কাউন্সিলর আব্দুল বাসিত খান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে  মামলা দায়ের করি মামলার নং-০৪ তারিখ ৮/১২/২০১৬।  মামলা করার পরে দীর্ঘ দিন ধরে মুগদা থানা পুলিশের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে থাকে। থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার তো করেনইনি উল্টো তার সাথে আপোষ করার জন্য চাপ দিতে থাকে। বাচ্চু হাইকোর্টের মাধ্যমে ৮ সপ্তাহের জামিনে এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য সে নিজে এবং বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে হুমকি-ধামকি প্রদান করতে থাকে। আমাকে যে কোন দিন গুম করা এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করতে থাকে। আমার প্রাণ নাশের চিন্তায় প্রতিটা দিন রাত আমি উৎকন্ঠায় রয়েছি, আমার অসুস্থ পঙ্গু স্বামী ব্যতিত আমাকে সাহায়্য করার মতো আমার পাশে কেউ নেই। এই হুমকি-ধামকির ব্যাপারটা পুলিশকে জানিয়ে বাচ্চুর বিরুদ্ধে একটি জিডি করি যার নং-২০৬ তারিখ ০৪/০৫/২০১৭। রাতে বাচ্চু তার ভাগিনা মোঃ খোরশেদ এবং তার বিভিন্ন অপকর্মের সহচর ঢাকা জজ কোর্টের পেশকার হিসেবে কর্মরত গোলাম মোস্তফা এবং অজ্ঞাত নামা আরো ৩/৪ জন মিলে আমার বাড়িতে জোড় পূর্বক ঢুকে আমাকে প্রানে মারার ভয় দেখিয়ে কয়েকটি লিখিত ষ্টাম্প ও কয়েকটি সাদা কাগজে আমাকে সহি করতে বাধ্য করে এবং মোবাইলে আমার কয়েকটি ছবি তুলে নেয়। মুগদা থানায় একটি জিডি করি যার নং-৯০২ তারিখ ১৮/০৫/২০১৭। আমার সাথে সমঝোতা করার ও আমার স্বামী তখন জীবিত আছে যেনেও আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। আমার স্বামী ২৭-৫-১৭ ইং তারিখে মুগদা হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। ঘটনার জের ধরে বেশ কয়েকবার কাউন্সিলরের অপসারনের দাবিতে এলাকাবাসী মিছিল করেছে। শুধু নারী ঘটিত ব্যাপারই নয়, বাচ্চু অর্থলীপ্সু নরপিচাশ কাউন্সিলর এমন কোন ঘটনা নাই যা করে নাই। বাচ্চু আমাদের ওয়ার্ডের ঐ সময়কার চলমান সাধারণ সম্পাদক সরদার সফিকুল ইসলামকে তার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে তার কার্যালয়ের ভিতর ডেকে নিয়ে অমানুষিক মারধর করার পর রাস্তায় বের করে তার দুই হাঁটুতে কয়েকটি গুলি করে তাকে চিরতরে পঙ্গু করে দেয়। ১৭/০৪/২০১৬ ইং তারিখে কৃষিবীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস শুক্কুরকে জায়গা জমি সংক্রান্ত ঝামেলায় ফেলে তার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে মেরে হাত পা ভেঙ্গে দেয়। ১৯/০৪/২০১৬ ইং তারিখে হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মামলার এক আসামী ধরা পরার পর তার দেওয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে কাউন্সিলর বাচ্চুর নাম উঠে আসে। এলাকায় কয়েকশত বাড়ীতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করে সরকারকে ঠকিয়ে নিজে লাভবান হয়েছে। যে কোন ধরনের রোড কাটিং এর জন্য তাকে টাকা দিলেই সব কিছু করা যায়। স্যুয়ারেজ, পানি ইত্যাদি যে কোন ধরনের কাজ করতে তার বাহিনী কাউন্সিলরের জন্য টাকার দাবিতে পথরোধ করে দাঁড়ায়। যে কোন ধরনের বিচার-সালিশ, জায়গা-জমির ঝামেলার ফয়সালায় তাকে টাকা দিলেই সেই ব্যক্তির পক্ষে রায় চলে যায়। বিভিন্ন মাদক, জুয়ার স্পট পরিচালনা করে নিয়মিত বখরা নেয়। ২০১৭ সালে মার্চ মাসের ৫ তারিখ তার ধর্ষন মামলার ৮ সপ্তাহের জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তার কু-কর্মের সহচর জজ কোর্টের পেশকার গোলাম মোস্তফার মাধ্যমে প্রভাব খাটিয়ে নিন্ম আদালতে আত্মসর্মপন না করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দেয়। পরে জজ কোর্ট তাকে নিন্ম আদালতে হাজির হওয়ার জন্য আদেশ প্রদান করেন। আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহলে তদবিরসহ হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে, বিষয়টি কিছুদিন আগে মহানগর পুলিশ কমিশনারকে মৌখিক ভাবে জানাই। তিনি আমার সামনে ফোন করে ডিসি আনোয়ার হোসেন ও ডিবিকে ব্যাবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু বাস্তবে এর কোন সু-বিচার আমি পাইনি। মুগদা থানার ওসির সাথে তার সু-সম্পর্ক ও আর্থিক লেনদেনের কারণে ধরাকে সরা জ্ঞান করছে। কাউন্সিলর হওয়ার পুর্বে নিজের বাসায় তার কাজের মেয়ের ঝুলন্ত লাস পাওয়া যায় যা এলাকাবাসীর সবাই অবগত। কাউন্সিলর বাচ্চুর দ্ধারা সে প্রেগনেন্ট হয়। কোন মামলা ছাড়াই দাফন কার্য্য সম্পন্ন হয়। এভাবেই নানা অপকর্মে দীর্ঘদিন যাবৎ বাচ্চু লিপ্ত। একজন নারীর ইজ্জত সম্ভ্রমই তার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ। আজ আমি ইজ্জত সম্ভ্রম মান-সম্মান, সামাজিক মর্যাদা সব কিছু হারিয়ে নিরুপায় হয়ে আপনাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, দেশবাসী এবং প্রশাসনকে জানিয়ে এর আশু প্রতিকারের আশা নিয়ে আপনাদের কাছে বিচার প্রার্থী। লম্পট বাচ্চুর মতো ধর্ষকরা যেন টাকার জোরে বা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আইনের হাত থেকে কোনো ভাবেই যেন বাঁচতে না পারে। আমি এর ন্যায় বিচার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

19 + twenty =