৭৩ কোটি টাকা আতœসাৎ মামলায় সাত মাসেও তদন্ত শেষ করতে পারেনি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জামিন না নিয়েই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও গ্রেফতার হয়নি কোনো আসামি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা কোনো কথা বলতে রাজি হননি। দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল বলেছেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। চেষ্টা চলছে সংশ্লিষ্ট আসামি গ্রেফতারেরও। সময় মতো সব দেখতে পাবেন।
দুদক সূত্র জানায়, ‘পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লি:’ থেকে ‘মেসার্স নাহার ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং কোম্পানি’ নামক কাগুজে প্রতিষ্ঠান ঋণ নেয়। সুদে-আসলে আতœসাতকৃত অর্থেও পরিমাণ দাঁড়ায় ৭২ কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা । বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিএফআইএম সার্কুলারসহ ভঙ্গসহ বিধিবহির্ভুতভাবে অর্থ নিয়ে আতœসাতের অভিযোগে গতবছর ২১ আগস্ট রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করে দুদক। এতে নাহার ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং কোম্পানির মালিক মোহাম্মদ সোলায়মান রুবেলকে আসামি করা হয়। দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-১ এর উপ-পরিচালক শেখ আব্দুস সালাম চলতিবছর জানুয়ারি থেকে মামলাটির তদন্ত শুরু করেন। তদন্ত প্রক্রিয়ায় চলতিবছর ২৮ ফেব্রুয়ারি পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লি:সহ ৯টি প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্য ও রেকর্ডপত্র চেয়ে তিনি চিঠি দিয়েছেন। তবে এক মাসেও প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র দুদক হাতে পায়নি। চিঠিতে তদন্ত কর্মকর্তা ২০০৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শেয়ার লোন ও প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোহাম্মদ সোলায়মান রুবেলের নামে বিতরণকৃত ব্যক্তিগত ঋণের আবেদনপত্র, মঞ্জুরি, চুক্তিপত্র, বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো প্রতিবেদনসহ চার ধরণের রেকর্ডপত্র চান। চিঠিতে ৯ মার্চের মধ্যে রেকর্ড সরবরাহের অনুরোধ করা হয়।
দুদকের উপ-পরিচালক শেখ আব্দুস ছালাম মামলাটি তদন্ত করছেন।