আইটি রপ্তানিতে নগদ আর্থিক সহায়তা দিবে সরকার -বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ

0
1480

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, তথ্য প্রযুক্ত(আইটি) রপ্তানিতে নসদ আর্থিক সহায়তা দিবে সরকার। আইটি সেক্টরে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। এ সেক্টরে বিপুল সংখ্যক দক্ষ জনশক্তি তৈরী হয়েছে। অভ্যন্তরিন চাহিদা মিটিয়ে আইটি সেক্টরের রপ্তানি বেড়েই চলছে। মন্ত্রী বলেন, দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধির জন্য সে সকল সেক্টরকে উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে আইটি এর মধ্যে অন্যতম। দেশের ৫০ বছর পূর্তিতে ২০২১ সালে দেশকে মধ্য আয়ের দেশে রুপান্তরিত করার জন্য আই সেক্টর থেকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ২০১৭ সালেই বাংলাদেশের আইটি সেক্টরে রপ্তানি ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। আইটি সেক্টরের উন্নয়ন ইতোমধ্যে বিশ^বাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও বাংলাদেশের এ ক্ষেত্রের উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন। সরকারের ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দেশের আইটি সেক্টরকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল হবার দ্বারপ্রান্তে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকায় ‘সাইবার সিকিউরিটি: দি অনলি ওয়ে টু ফ্লাই’ শ্লোগান নিয়ে এ্যালিফেন্ট রোডস্থ কম্পিউটার সিটি সেন্টার(মাল্টিপ্লান্ট) দোকান মালিক সমিতি আয়োজিত “ডিজিটাল আইটি ফেয়ার-২০১৬” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে দু’টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। একটি হলো- ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা, অপরটি হলো- দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা। ডিজিটাল বাংরাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। দেশের মানুষ এখন ৫ হাজারেরও বেশি ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ২০০ ধরনের নাগরিক সুবিধা ভোগ করছে। ডিজিটাল সেন্টারের সুবিধা এখন সবার জন্য উন্মুক্ত। দেশের শিক্ষিত ও মেধাবি যুব সমাজ এখন আই সেক্টরে কাজ করতে বেশি পছন্দ করেন। সে কারনেই দ্রুত উন্নতি হচ্ছে আইটি সেক্টরে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ এখন দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এক সময় দেশের জিডিপিতে কৃষি সেক্টরের অবদান ছিল ৭০ ভাগ, এখন তা ১৫.৯৬ ভাগ। শিল্প ক্ষেত্রে ৩০.৪২ ভাগ এবং সার্ভিস সেক্টরে ৫৩.৬২ ভাগ। মানুষের গড় আয়ু ৭০ বছরের বেশি, স্বাক্ষরতার হার ৬২.৩ ভাগ। দেশের রপ্তানি এখন ৩৪.২৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং এ বছর হবে প্রায় ৩৭ , ২০২১ সালে তা হবে ৬০ এবং ২০৪১ সালে হবে ৩৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৩ শতাংশের নীচে নেমে আসবে। ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি অর্জন করে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
কম্পিউটার সিটি সেন্টার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি তৌফিক এহ্সোন-এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা মহসিন মন্টু, বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অফ সফ্টওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস(বেসিস)-এর সভাপতি মোস্তফা জব্বার, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি আলী আশরাফ, এফবিসিসিআই-এর পরিচালক মো. আবু মোতালেব।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 × four =