সাসটেইনিবিলিটি কম্প্যাক্টের সভায় যোগ দিতে ব্রাসেলসে তোফায়েল আহমেদ

22
1878

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ “সাসটেইনিবিলিটি কম্প্যাক্টের ৪র্থ পর্যালোচনা সভা এবং রিসপনসেবল পারচুয়িং প্রাকটিসেস” বিষয়ক কর্মশালায় যোগদিতে আজ (২৪ জুন সকালে) ব্রাসেলস-এর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। বেলজিয়ামের ব্রাসেলস-এ ২৫ জুন সাসটেইনিবিলিটি কম্প্যাক্টের ৪র্থ পর্যালোচনা সভা এবং ২৬ জুলাই রিসপনসেবল পারচুয়িং প্রাকটিসেস বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর তৈরী পোশাক খাতে নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ৮ জুলাই বাংলাদেশ, ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন(ইইউ), কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা(আইএলও) কর্তৃক সাসটেইনিবিলিটি কম্প্যাক্ট গৃহীত হয়।

এর প্রথম পর্যালোচনা সভা ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালের ২০ অক্টোবর। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সভা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি এবং ২০১৭ সালের ১৮ মে তারিখে। সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৪র্থ পর্যালোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে। সভায় ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, আইএলওসহ দাতাসংস্থা, উৎপাদনকারী, ক্রেতা, ট্রেড ইউনিয়ন ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থাকবেন।

তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল এ পর্যালোচনা সভায় যোগদান করছে। প্রতিনিধি দলে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু, বাণিজ্যসচিব শুভাশীষ বসু, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম, বিজিএমই-এর প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল মো. হাবিবুর রহমান খান, বিকেএমই-এর প্রতিনিধি, বাংলাদেশ এ্যামপ্লয়ার্স ফেডারেশনের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সিনিয়র কর্মকর্তাগণ এ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন। ব্রাসেলসে নিযুক্ত বাংরাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সাহাদাত হোসেন বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন।

এবারের পর্যালোচনা সভা বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সভায় শ্রমিকদের অধিকার, বিল্ডিং সেপটি, পেশাগত ও স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা এবং মানসম্মত বাণিজ্য পরিবেশ পর্যালোচনা করা হবে। ক্রেতাগোষ্ঠি ও শ্রম সংস্থার চাহিদা মোতাবেক সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণ করে বাংলাদেশ বিষয়গুলোর উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেছে এবং আন্তর্জাতিক ভাবে গ্রহনযোগ্য পর্যায়ে সফলভাবে পৌছে গেছে। বিশে^র কাছে বিষয়গুলো এখন গ্রহনযোগ্য। বর্তমানে বাংলাদেশে তৈরী পোশাক কারখানার কাজের পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং শ্রমিকদের অধিকার বিগত যেকোন সময়ের চেয়ে অনেক ভালে এবং বিশ^মানের। একের পর এক বাংলাদেশে গ্রীণ ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে। আশা করা হচ্ছে, শ্রমিকদের অধিকার, কর্মবান্ধর পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশ সন্তোষজন অবস্থানে থাকবে। কর্মশালায় বিশ^বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের সরবরাহ চেইনের প্রতিবন্ধকতা দূরকরণসহ পণ্যের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করণ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে এবং সুপারিশমালা গ্রহণ করা হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আগামী ২৭ জুন দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

14 + 7 =