আমি ফারজানা মোনালিসা ল‘ পড়ছি। মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি সিলেট ২৯ বেচ, রোল:১৫১১১৩০১২। আমার নির্যাতনকারী পাষন্ড স্বামী জাকিরুল ইসলাম রিপন ল’ পড়ছে। একই ইউনিভার্সিটি ২৯ বেচ. রোল:১৫১১১৩০৪০ পিতা :হাজি আব্দুল হক মাতা:শাহেনা বেগম.বাসা হক ভিলা বাদামবাগিচা ২০/২ এয়ারপোর্ট রোড সিলেট। আমার সাথে ইসলামী শরিয়ত মতে হাজি আব্দুল হক সাহেবের ছেলের সাথে ২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারিতে বিয়ে হয়। আমাদের প্রেম এর সম্পর্ক থাকায় দু‘জন এর ইচ্ছাতে বিয়ে হয়েছিলো। জাকিরুল ইসলাম রিপন আমাকে বিয়ের ৪ মাসের মাথায় শারিরিক নির্যাতন করে একটা পা সম্পূর্ণ ভেঙে দেয়। তিনটি লোহার রট লাগিয়ে আমার পা জোড়া লাগানো হয়। অপারেশন করে পায়ের জোড়া থেকে রটের টুকরো গুলো বাহির করার জন্যে এখন আমি আমার বাবার বাসা ঢাকায় আশ্রয় নিয়েছি। যৌতুক লোভী স্বামী সব সময় আমাকে যৌতুকের জন্যে মারধর করতো। আমার মা বাপ এতোটা সচ্ছল না। আমার শশুর শাশুড়ীর সামনেই আমাকে শারীরিক ভাবে প্রতিনিয়ত অকথ্য নির্যাতন করেছে। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য শশুর শাশুড়ী এ জঘণ্য অন্যায়ের প্রতিবাদ করেননি। ৫ ভরি স্বর্ণ সহ আমার ব্যবহারিক সকল মূল্যবান জিনিসপত্র স্বামী আটকে দিয়েছে। বাপের বাড়ি এসেও আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। আমার জীবন ও মানষিক নিরাপত্তার জন্যে থানায় জিডি করে রেখেছি। স্বামী জাকিরুল ইসলাম রিপন আমাকে মেরে পা
ভেঙে দেয়ার পর থেকে আমি পঙ্গু হয়ে ঘরে বন্দী জীবন যাপন করছি। এখন আমি মেডিকেলের চিকিতসার উপর নির্ভরশীল। আমি একজন ল‘র ছাত্রী। আমার লেখাপড়া বন্ধ প্রায়। বর্তমান সরকার প্রধান দেশ নেতৃ শেখ হাসিনা ও তার প্রশাসনের কাছে আমার আকুল আবেদন। যৌতুক লোভী স্বামী জাকিরুল ইসলাম রিপনকে অতি সত্তর গ্রেফতার করে নারী নির্যাতন আইনের ধারায় যেন ওর শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।