বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানের দুর্নীতি
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন এর বিভিন্ন প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি, বিএসইসি ভবনের বিভিন্ন রিনোভেশন ও অধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানের অফিস-অতিথি ভবন ও সার্ভিস সেন্টার নির্মান কাজ, বিজ্ঞাপন ও বিক্রয় সম্প্রসারণ কার্যক্রম প্রশিক্ষন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং হিসাব ও অর্থ ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন ইত্যাদি নানান ক্ষেত্রে দুর্নীত-অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল অংকের রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় ও নিজের পকেট ভারি করার অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো: মুনিরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে। সাবেক আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে তিনি দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা উপার্যন করেছেন বলে প্রতিষ্ঠানটির অসংখ্য কর্মকর্তা-কর্মচারির নিকট থেকে জানা গেছে। ১৫ ই আগষ্ট/২৪ ধানমন্ডি ৩২ নং সড়কে শেখ মুজিবের বাড়িতে শোক দিবস পালন করতে গিয়ে তিনি গাড়ি (প্রাইভেট কার নং ঢাকা মেট্রো-গ-২০-৮১৪৮) নিয়ে ছাত্র জনতার রোষানলে পড়েন এবং গাড়ি ভাংচুর হয়। এই মর্মে মো: মোখলেচুর রহমান (মোবাইল নং ০১৬৪০-৮৯৮৫৩৩) এর জিডি এই প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে। দুমড়ে মুচরে যাওয়া গাড়িটি মেরামত করার জন্য তিনি কর্পোরেশনের ১০ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। সৈরাচারি সরকারের দোসর হিসেবে বঙ্গবন্ধুর গুণ কির্তন করে যে কবিতা লিখেছেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার ও অভিযোগ নিষ্পত্তি অধিশাখার স্মারক নং ৩৬. ০০. ০০০০. ০৯৩. ২৭. ০০৭. ১২ (অংশ-১).২১ তারিখ ১২-০২-২০২৪ ইং থেকে প্রকাশ তার বিরুদ্ধে বিএসইসি এর কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ অভিযোগ দাখিল করেন যা তদন্ত করার জন্য ২০ কর্মদিবস সময় নির্ধারণ করা হয়। মো: মুনিরুজ্জামান এপ্রিল ২০২৩ থেকে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। বিএসইসি ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল ও বঙ্গবন্ধু কর্নার নির্মানে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। আওয়ামীলীগ সরকারকে তৈল মালিশ করে তিনি সকল প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি অবাধে করে গেছেন। তিনি নিজ এলাকা বৃহত্তর ময়মনসিংহ, এবং আওয়ামীলীগ অধ্যুষিত বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চলের কয়েকজন চিহ্নিত কর্মকর্তাকে বেছে নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে একটি দুর্নীতির সিন্ডিকেট তৈরি করেন। এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রতারণা, জালিয়াতি ও অনৈতিকতা প্রমানিত হয়েছে। বিএসইসির বর্তমান সিপিও মোহাম্মদ সারোয়ার জাহান এর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ কয়েক মাস আগে শিল্প মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করা হয়েছিল। উক্ত অভিযোগাগের প্রেক্ষিতে শিল্প মন্ত্রণালয় হতে পত্র মারফত তদন্ত পূর্বক শিল্প মন্ত্রণালয়কে জানানোর জন্য বলা হয়েছিল। কিন্ত বিএসইসির চেয়ারম্যান মো: মনিরুজ্জামান টাকার বিনিময়ে সিপিওকে স্ব পদে বহাল রেখে তার অধিনস্ত একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত না করে একটি মাত্র প্রতিবেদন মন্ত্রনালয়ে প্রেরন করেছেন। এছাড়াও একাধিক অভিযোগ ও তার সংশ্লিষ্ট প্রমাণ এই প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।