ইসলাম ধর্ম

সুরা ইখলাস কেন ব্যতিক্রম?

সুরা ইখলাস কেন ব্যতিক্রম?

১২ টি বৈশিষ্ট্য।
নিজে জানুন। অন্যকে জানিয়ে দিন।

১. এই সূরায় আল্লাহর এমন দুটি নাম এসেছে যা কুরআনের অন্য কোথাও আসেনি। আর তা হলো ‘আহাদ’ ও ‘সামাদ’। (তাফসীরে কুরতুবি)

২. এই সূরাতে আল্লাহর এমন চারটি পরিচয় এসেছে, যার দ্বারা মাখলুক থেকে আল্লাহকে আলাদা করা যায়।

৩. এই সূরার প্রতিটি আয়াতে, ঈমানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাওহীদের আলোচনা হয়েছে।

৪. বিভিন্ন সূরার নাম সূরার ভিতরে থাকলেও এই সুরার নাম সুরার ভেতরে নেই। আর তা হলো ইখলাস।

৫. হাদিসে এই সূরাকে সম্পূর্ণ কুরআনের তিন ভাগের এক ভাগ বলা হয়েছে। (সহিহ বুখারী)

৬. তিনবার তেলাওয়াত করলে সম্পূর্ণ এক খতমের সওয়াব পাওয়া যায় মর্মে বলেছেন অনেক মুহাদ্দিস। (আব্দুল্লাহ বিন বায রহ.)

৭. দশবার যে ব্যক্তি তেলাওয়াত করবে জান্নাতে তার জন্য একটি প্রাসাদ নির্মাণ করা হবে। (সহিহ জামে)

৮. এই সূরাকে যে ব্যক্তি ভালবাসবে ও অধিক পরিমাণে তেলাওয়াত করবে সে আল্লাহ তায়ালার ভালোবাসা লাভ করবে। (সহিহ বুখারী)

৯. এই সুরা পাঠ করতে দেখে, এক ব্যক্তিকে রাসুল বলেছেন তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেলো।
(সহিহ বুখারী)

১০. এই সূরা রুকইয়ার অন্তর্ভুক্ত। যার দ্বারা যেকোনো অসুস্থ মানুষকে ঝাড়ফুঁক করা যায়। (আবু দাউদ)

১১. রাসুল ﷺ নিয়মিত ফজরের ও মাগরিবের সুন্নত নামাজের দ্বিতীয় রাকাতে এই সুরা তিলাওয়াত করতেন। (সহিহ মুসলিম)

১২. রাসুল ﷺ বিতিরের তৃতীয় রাকাতে ও তাওয়াফের দ্বিতীয় রাকাতে এই সুরা তিলাওয়াত করতেন।
(সুনান নাসায়ি)

  • আব্দুল্লাহ আল মনসুর হাফিযাহুল্লাহ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button