মুসলিম হয়েও জাহান্নামে যাবে যারা
১) যে হারাম খাবার খায়:
যে দেহ হারাম খাদ্য দ্বারা লালিত-পালিত হয়েছে, তা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (সিলসিলাহ আল-হাদিস আস-সাহিহাহ/২৬০৯)
২) আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী:
আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবেন না।
(মুসলিম/৬২০০)
৩) প্রতিবেশীকে কষ্টদাতা:
যার অত্যাচার (আচরণ) থেকে প্রতিবেশীরা নিরাপদ নয়, তিনি জান্নাতে প্রবেশ করবেন না।’
(মুসলিম/৭৪)
৪) অবাধ্য সন্তান ও দাইয়ুস:
তিন শ্রেণির লোক জান্নাতে যাবেন না—মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান, দাইয়ুস (অর্থাৎ যে ব্যক্তি তার স্ত্রী-বোন প্রমুখ অধীনস্থ নারীকে বেপর্দা চলাফেরায় বাধা দেন না) এবং পুরুষের বেশ ধারণকারী নারী।
(আহমাদ/৬০২২); হাসান।
৫) অসৎচরিত্র ও উগ্রমেজাজি:
অসৎচরিত্র ও উগ্র মেজাজি লোক জান্নাতে যাবেন না।
(আবু দাউদ/৪৮০৮); সাহিহ।
৬) প্রতারণাকারী শাসক:
মুসলমানদের ওপর প্রতিনিধিত্বকারী শাসক যদি এ অবস্থায় মারা যায় যে, সে তার অধীনস্তদের ধোকা দিয়েছে। তাহলে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।
(বুখারি/৭১৫১)
৭) অন্যের সম্পদ আত্মসাৎকারীঃ
যে ব্যক্তি কসম করে কোনো মুসলমানের সম্পদ আত্মসাৎ করে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব করে দেন এবং জান্নাত হারাম করেন। এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! যদি সামান্য কোনো জিনিস হয়? তিনি বললেন, পিপুল গাছের একটি ছোট ডাল হলেও।
(মুসলিম/২৫২)
৮) খোঁটাদাতা, অবাধ্য সন্তান ও মদ্যপী:
উপকার করে খোঁটা দানকারী, মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান, সর্বদা মদপানকারী—এই তিন শ্রেণির মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবেন না।
(নাসায়ি/৫৬৭২); সাহিহ)
৯) চোগলখোরঃ
যারা মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশে কুৎসা রটায় (চোগলখোর) তারা জান্নাতে প্রবেশ করবেন না।
(মুসলিম/১৮৯)
১০) অন্যকে নিজের পিতা পরিচয়দাতা:
যে ব্যক্তি জেনে শুনে নিজেকে অন্য পিতার সঙ্গে সম্পর্কিত করে—অর্থাৎ নিজেকে অন্য পিতার সন্তান বলে পরিচয় দেয়, তার জন্য জান্নাত হারাম।’
(মুসলিম/১২১)
১১) দাম্ভিক ও অহংকারকারী:
যার অন্তরে অণু পরিমাণ অহংকার রয়েছে সে জান্নাতে প্রবেশ করবেন না।’
(মুসলিম/১৬৬)