এই স্নিগ্ধ প্রভাতে হাসবে কি যমযম?
“””””””””””””””‘””‘””””””””””””””'””””””””””’
পরদিন ভোরে আবার শুরু হলো মাটি-খোঁড়া। এ-দিনটা ছিলো খুব কষ্টের। কষ্টে কষ্টে ঘেরা সারাটা দিনই কেটে গেলো। কিন্তু যমযমের কোনো হদিসই মিললো না।
শুরু হলো কষ্টঘেরা ও ঘামঝরা আরেকটি দিন। কষ্ট, কষ্ট আর কষ্ট।এতো কষ্টের পরও কি মিলবে না যমযমের সন্ধান?
কেনো মিলবে না!
অবশ্যই মিলবে!
মিলেছেও!!
সেদিন খনন করতে করতে খানিকটা গভীরে যেতেই ঠাৎ পাওয়া গেলো পাথর। স্তূপীকৃত পাথর। যেই-না তা রানো হলো অমনি ঝিলমিল করে হেসে উঠলো যমযম! ভাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে এলো তার বেগবান স্বচ্ছধারা!!
খুশিতে-আনন্দে-উত্তেজনায় চিৎকার করে উঠলেন আবদুল মুত্তালিব! তার হর্ষ-ধ্বনি শুনে ছুটে এলো আশপাশের লোকজন। সবার চোখে বিস্ময়! সবার চোখে আনন্দ! সবার চোখে কৃতজ্ঞতা!
কিন্তু পরে বিপত্তি দেখা দিলো কূপের অধিকার নিয়ে।
‘মহামান্য সরদার, আমাদেরও এই কূপের অংশীদার করতে হবে। এই কূপে আমাদেরও অধিকার আছে। এই কূপ আমাদের পূর্ব-পুরুষের কূপ। নবী ইসমাঈল (আ.)-এর কূপ।
আবদুল মুত্তালিব কিন্তু রাজি হলেন না। বললেন,
‘না, এটা কী করে হয়! আল্লাহ আমাকেই এই কূপ পুনঃখননের দায়িত্ব দিয়েছেন। তোমরা তো জানো- হাজীদের পানি পান করানোর দায়িত্বটাও আমিই পালন করি। সুতরাং আমি অন্য কাউকে অংশীদারত্ব দিতে পারি না। তোমরা ইচ্ছে করলে সালিশ বসাতে পারো।’
‘তা-ই করবো আমরা। ফায়সালার জন্যে আমরা একজনকে সালিশ মানবো।’