নবীজীর নামায
হযরত আবু দারদা (রাদ্বিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এই ইরশাদ করতে শুনেছি, যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অযু করে। অতঃপর দুই অথবা চার রাকাত পড়ে। বর্ণনাকারী এটাতে সন্দেহ করছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই রাকাত বলেছিলেন না চার রাকাত বলেছিলেন। তাতে রুকু ভালোভাবে করে, খুশুর সাথেও পড়ে। অতঃপর আল্লাহ তায়ালার নিকট মাগফিরাত কামনা করে তার মাগফিরাত হয়ে যায়।
(মুসনাদে আহমাদ, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ)
হযরত ওকবা ইবনে আমের জুহানী (রাদ্বি) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে কোন ব্যক্তি উত্তমরূপে অস্ করে, অতঃপর দুই রাকাত এমনভাবে পড়ে যে, অন্তর নামাযের প্রতি মনোযোগী থাকে এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও শান্ত থাকে তবে নিশ্চয় তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব
হয়ে যায়। (আবু দাউদ)
হযরত জাবের (রাদ্বিঃ) বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে উপস্থিত হয়ে আরজ করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ, কোন নামায সর্বাপেক্ষা উত্তম? ইরশাদ করলেন, যে নামাযে দীর্ঘক্ষণ কিয়াম অর্থাৎ
দাঁড়ায়ে থাকা হয়। (ইবনে হিব্বান)
হযরত মুগীরাহ (রাদ্বিঃ) বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (নামাযে এত দীর্ঘ) কিয়াম করতেন যে, তাঁর পা মোবারক ফুলে যেত। তাঁর খেদমতে আরজ করা হল যে, আল্লাহ তায়ালা আপনার অগ্রপশ্চাতের গুনাহ (যদি হয়েও থাকে তবু) মাফ করে দিয়েছেন। তারপরও আপনি কেন এত কষ্ট
করেন?) ইরশাদ করলেন, (এই কারণে) আমি কি শোকরগুজার বান্দা হবো না? (বোখারী)
হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাদ্বিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এই ইরশাদ করতে শুনেছি যে, মানুষ নামায শেষ করার পর তার জন্য সওয়াবের দশ ভাগের এক বাগ লেখা হয়, এমনিভাবে কারো জন্য নয় বাগের এক ভাগত, আট ভাগের এক ভাগ, সাত ভাগের এক ভাগ, ছয় বাগের এক ভাগ, পাঁচ ভাগের এক ভাগ, চার ভাগের এক ভাগ, অর্ধেক অংশ লেখা হয়। (আবু দাউদ)
ফায়দা: হাদীস শরীপের উদ্দেশ্য এই যে, নামাযের বাহ্যিক বিষয় ও অভ্যন্তরীণ অবস্থা যত সুন্নাত মোতাবেক হয় ততই আজর ও সওয়াব বেশী পাওয়া যায়। (বযলুল মাজহুদ)