রাজশাহী

বগুড়া শহরে অটোরিকশা ইজিবাইক ও সিএনজির দাপটে থামছে না যানজট

মুহাম্মদ মতিন বগুড়াঃ বগুড়া শহরে অটোরিকশা ইজিবাইক ও সিএনজির দাপটে থামছে না যানজট। এসব যানবাহনের সংখ্যা দিন দিনে বেড়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। জেলাজুড়ে প্রায় ১২ লাখ ইজিবাইক, মোটা চাকার অটোরিকশা, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও সিএনজিসহ তিন চাকার অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে। এসব যানবাহনের দাপটে ভয়াবহ যানজট কিছুতেই কমছে না শহরে। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। ১০ মিনিটের রাস্তা পার হতে সময় লেগে যাচ্ছে এক ঘণ্টা। জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের জেলা শহরের মধ্যে বগুড়া সবচেয়ে জনবহুল। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক শহর বলে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসা, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ নানা কাজে মানুষ বগুড়ায় আসেন।ফলে শহরে মানুষের সমাগম বেড়ে যায়। একদিকে যেমন মানুষের সমাগম অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অবৈধ যানবাহনের সংখ্যা। শহরে চলাচলরত ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক ও সিএনজির চালকরা ট্রাফিক আইন মানছেন না। ইচ্ছামতো যেখানে সেখানে আটোরিকশা, ইজিবাইক ও সিএনজি স্ট‍্যান্ড বসিয়ে যানজটের সৃষ্টি করছেন। অবৈধ অটোরিকশার জটে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ। ফলে শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে দীর্ঘ যানজটে পড়তে হয়। দিনভর শহরের সাতমাথা, কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, ঝাউতলা, বড়গোলা, টিনপট্টি, দত্তবাড়ি, কাঁঠালতলা, ফতেহ আলী মোড়, শেরপুর সড়ক, ইয়াকুবিয়া মোড়, গোহাইল সড়ক, জলেশ্বরীতলা, কালিবাড়ি, পিটিআইলেন, এক নম্বর রেলঘুমটি, চকযাদু সড়ক, পৌর পার্ক রোড, বাদুড়তলা ক্রসলেনসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ হিমশিম খাচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশের নিয়ম অমান্য করে বহু যানবাহন সাতমাথায় প্রবেশ করে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি করছে।  

বগুড়া ট্রাফিক বিভাগের ইনচার্জ (টিআই) মো. সালেকুজ্জামান খান জানান, ট্রাফিক পুলিশ যানজট ও ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে কাজ করছে। শহরের সাতমাথা, স্টেশন সড়ক, চাঁদনী বাজার, থানা মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে যানজট নিয়ন্ত্রণ ও ফুটপাত দখলমুক্ত করা হচ্ছে। বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সুমন রঞ্জন সরকার জানান, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শহরের যানজট নিরসনে কাজ করা হচ্ছে। যানজটের মূল কারণ হচ্ছে ইজিবাইক, অটোরিকশা ও সিএনজি বেড়ে যাওয়া। এছাড়া শহরের রাস্তার ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি যানবাহন চলাচলের কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। প্রায় ৯০ হাজার থেকে এক লাখ যানবাহন চলে এ শহরে। সে তুলনায় রাস্তা নেই। উপজেলাগুলো থেকেও নতুন নতুন যানবাহন এসে শহরে ঢুকে পড়ছে। ফলে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ট্রাফিক পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button