ভাঙলো যখন স্বপ্ন
ঘুম ভেঙে গেলো আবদুল মুত্তালিবের। ধড়ফড়িয়ে উঠে বসলেন তিনি। তার অনুভূতিজুড়ে এখনো মিশে আছে স্বপ্নের আবেশটা। বসে বসে স্বপ্নটা আগাগোড়া ভেবে নিলেন তিনি বারবার। মনের মাঝে তখন ভিড় করলো কতো প্রশ্ন!
‘কী দেখলাম আমি?
সত্যি কি সেখানে চাপা পড়ে আছে যমযম?
আমার পূর্ব-পুরুষের যমযম?
হযরত ইসমাঈল (আ.)-এর যমযম?
কী করবো এখন?
যাবো কি সেখানে?
যেতে যে হবেই!
স্বপ্ন যদি সত্যি হয়!
স্বপ্ন যদি বাস্তব হয়!
স্বপ্ন যদি ডেকে আনে আমার গৌরব ও কৃতিত্ব! স্বপ্ন যদি খুলে দেয় আমার ভাগ্যের দুয়ার!
স্বপ্ন যদি ডেকে আনে কাবার শ্রেষ্ঠ মেহমান-হাজীদের কি পানি পান করানোর শ্রেষ্ঠ সুযোগ!
আবদুল মুত্তালিব কয়েক ঢোক পানি খেলেন। চোখে-মুখে শীতল পানির ঝাপটা দিলেন। তারপর গৃহ-আঙিনায় বসে
আবার ভাবতে লাগলেন-
‘এক্ষুনি বেরিয়ে পড়বো না সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবো?
এখন যে গভীর রাত।
এতো রাতে বের হওয়া কি ঠিক হবে?
কিন্তু না গেলেই যে নয়!
স্বপ্নের কাকটা অদৃশ্য হয়ে গেলে কোথায় খুঁজবো আমি
যমযম?
না, যেতে হবে এক্ষুনি! এই মুহূর্তেই!’
সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হলো না আবদুল মুত্তালিবের। একমাত্র ছেলে হারিসকে জাগালেন ঘুম থেকে। ঘুমঘুম-চোখে হারিস তাকালো বাবার দিকে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাবা বললেন,
‘হারিস, একটা জরুরি কাজে এক্ষুনি আমাদের বেরুতে হবে। উঠো, জলদি তৈরি হয়ে নাও।’