প্রযুক্তি

সার্ভার জটিলতার কারনে ভূ’মির নামজারি হচ্ছেনা, ভোগান্তিতে সাধারন মানুষঃ সরকার হারাচ্ছে শতকোটি টাকার রাজস্ব ।

মইনুল ইসলাম মিলনঃ রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সহকারী কমশিনার(ভূমি) এর র্কাযালয় গুলোতে শুধুমাত্র র্সাভার জটিলতার কারনে বিগত এক মাসেরও বেশী সময় অতিক্রম করার পরও এখন পর্যন্ত সঠিক ভাবে জমি ক্রয়ের পর তা নামজারি করাতে পারছেনা সাধারন মানুষ – দেশের বিভিন্ন এসিল্যান্ড অফিস সুত্র তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার জন্য জাতীয় সাপ্তাহিক ”অপরাধ বিচিত্রার ”একটি অনুসন্ধানী দল রাজধানী ঢাকা ও মুন্সিগঞ্জ জেলার এসিল্যান্ড অফিসে অনুসন্ধান চালায় । নাম না প্রকাশ করার শর্তে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান ২০২৪ ইং সালের পুরো ডিসেম্বর মাস ব্যাপি ভূমির নামজারির জন্য এসিল্যান্ড অফিসে ঘুরছি কিন্তু নামজারি করাতে পারছিনা। অফিস কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন কি?- এমন প্রশ্নের জবাবে ভুক্তভোগীরা বলেন : আমারা যোগাযোগ করেছি বহুবার , সেখান থেকে শুধু একটি উত্তরই দেয়া হয়েছে যে র্সাভার জটিলতার কারনে নামজারি আপাতত সম্ভব হচ্ছেনা । কবে নাগাদ র্সাভার জটিলতা দুর হবে সেটিও ঠিক করে কেও বলতে পারছে না ।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে আমরা এসিল্যান্ড অফিস (মতিঝিল সার্কেল) এ যাই । কিন্তু সেখানে এসিল্যান্ডকে না পাওয়ায় আমরা মতিঝিল সার্কেল এর এসিল্যান্ড সৈয়দা সালেহা নূর এর সাথে মুঠোফোনে কথা বলি । তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এটি একটি সাময়িক সমস্যা।বিষয়টি আমি ব্যাক্তিগতভাবে মন্ত্রনালয়ে জানিয়েছি । অচিরেই জনগন এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে বলে তিনি জানিয়েছেন। কবে নাগাদ র্সাভার সক্রিয় হবে – তা সঠিক করে বলতে না পারলেও তিনি বলেন জানুয়ারীর মাঝামাঝি (২০২৫ ইং) সময়ের মধ্যে ঠিক হতে পারে ।
জনভোগান্তির এই গুরুত্বর্পূণ বিষয়টি অধিকতর অনুসন্ধানরে জন্য আমরা কথাবলি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোঃ জুবায়ের হাবিবের সাথে । তিনি অপরাধ বচিত্রিাকে বলেন ” আমাদের ভুমি অফিসের র্সাভার বেশ কিছুদিন কোন কমান্ড নিচ্ছেনা ।র্সাভার সক্রিয় না থাকায় আমরা জনগনকে যথা সময়ে নামজারি প্রদান করতে পারছি না । তবে এ সমস্যা অচিরেই দুর হয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করনে । অপর এক প্রশ্নরে জবাবে তিনি বলেন আমার মতে দেশের সকল এসিল্যান্ড অফিস সার্ভার এক মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকলে সম্ভবত সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাতে পারে ।
ভুক্তভোগী গ্রাহকদের সাথে কথা বলে জানা যায় জমির দলিল থাকলেও নামজারি না থাকায় সকল প্রকার ক্রয়- বিক্রয় বন্ধ থাকে । এমতাবস্থায় জমি বিক্রি করে কাউকে বিদেশে জরুরী চিকিৎসার জন্য পাঠানো সম্ভব হচ্ছেনা কিংবা নামজারি না থাকার কারনে মানুষ জমি বিক্রি করে ব্যাক্তিগত অতীব জরুরী প্রয়োজন মেটাতেও পারছেনা । কারন যে জমির নামজারি নেই তার রেষ্ট্রি দেশের কোন সাব- রেজিস্টার করেন । এ কারনে সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে যত দ্রুত সম্ভব সকল এসিল্যান্ড অফিস গুলোর সার্ভার জটিলতা নিরসনে সরকার র্কাযকর পদক্ষেপ গ্রহন করবেন- এমনটাই দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী জনগন ।

মতিঝিল সার্কেলের এসিল্যান্ড গত ০২/০১/২০২৫ তারিখ মুঠোফোনে অপরাধ বিচিত্রাকে জানান আমাদের অনলাইনে নামজারি হচ্ছে। কিন্তু হোল্ডিং নাম্বার এবং খতিয়ান নাম্বার পড়ছে ১ লক্ষের উপরে যা একটি বিস্ময়কর ও অসম্ভব ব্যাপার বটে। তাই নামজারি করতে আসা কাব্যের আমি বলতে চাই আপনারা আরো কিছুদিন অপেক্ষা করুন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button