দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ২১ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট
দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ২১ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একই সঙ্গে তাঁদের ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি এসব সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে বিএফআইইউ। সংস্থাটির চিঠিতে বলা হয়েছে, উল্লেখিত ২১ সাংবাদিকের স্বামী বা স্ত্রী এবং পুত্র-কন্যাসহ তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্যাদি যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, লেনদেনের বিবরণীসহ আনুষঙ্গিক তথ্য পাঠাতে হবে।
বিএফআইইউ যে ২১ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হাসান জাহিদ তুষার, ইনডিপেনডেন্ট টিভির প্রধান সম্পাদক ও সিইও এম শামসুর রহমান, ইনডিপেনডেন্ট টিভির বার্তাপ্রধান মামুন আবদুল্লাহ, ইনডিপেনডেন্ট টিভির অনিমেষ কর ও ডিবিসি নিউজের প্রণব সাহা।
তালিকায় আরও রয়েছেন একুশে টিভির অখিল কুমার পোদ্দার ও রাশেদ চৌধুরী, একাত্তর টিভির ঝুমুর বারী, মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী, এসএ টিভির মাহমুদ আল ফয়সাল ও রাশেদ কাঞ্চন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের মো. রুহুল আমিন রাসেল ও মাহমুদ হাসান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বা বাসসের শাহনাজ সিদ্দিকী, সমকালের রামা প্রসাদ, দৈনিক কালবেলার আঙ্গুর নাহার মন্টি, খোলা কাগজের জাফর আহমেদ, আমাদের সময় ডটকম ও আমাদের অর্থনীতির দীপক চৌধুরী, দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির এমজি কিবরিয়া চৌধুরী এবং একুশে সংবাদ ডটকমের সম্পাদক জিয়াদুর রহমান।
এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর আরও ১২ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছিল বিএফআইইউ। উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীসহ অনেক পেশাজীবীর ব্যাংক হিসাব তলব ও জব্দ করা হয়।