মোস্তফা কামাল মজুমদারঃ
জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে মানুষের মনোভাব জানতে কুমিল্লায় গণসংযোগ করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
৮ জানুয়ারি দুপুর ২টার পর কুমিল্লা পুলিশ লাইনসের সামনের সড়ক থেকে গণসংযোগের এই কর্মসূচি শুরু হয়।
কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারিকুল ইসলামসহ জেলার নেতারা উপস্থিত আছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বলা হয়, কান্দিরপাড়সহ শহরের ঈদগাহ, মোগলটুলি, রাজগঞ্জ ও সোনালী ব্যাংক এলাকায় তারা এই কর্মসূচি চালাবেন।
গত শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৬ থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই গণসংযোগ কর্মসূচি চলবে।
ওই সংবাদ সম্মেলনে আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি বিশ্বাস করে এই প্রোক্লেমেশন অব রেভ্যুলেশন বাস্তবায়ন ও ঘোষণা জাতীয় এবং ঐতিহাসিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এই অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। আমাদের প্রত্যাশা এই ঘোষণাপত্রে জনমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।’
হাসনাত আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা কী, তারা কী দেখতে চায় এ প্রক্লেমেশনে, সেটা শোনার জন্য আমরা মানুষের কাছে ছুটে যাব। আগামী সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রতিটি জেলায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় ছাত্র- নাগরিক-কৃষক-শ্রমিক, সর্বস্তরের মানুষের মাঝে একযোগে গণসংযোগ চালাব।’
বাংলাদেশের ইতিহাসের গতিপথ বদলে দেওয়া ২০২৪ সালের শেষ দিন গত ৩১ ডিসেম্বর ‘মার্চ ফর ইউনিটি কর্মসূচি’ ঘোষণা করে জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন। শহীদ মিনারের ওই কর্মসূচি থেকেই ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের কথা ছিল।