অব্যাবস্থাপনা

খিলক্ষেত বি আর টি সি জোয়ার সাহারা বাস ডিপোর ম্যানেজার মফিজ উদ্দিন এর বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ

মো: জাকিরুল ইসলাম:
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বি আর টি সি) নিজস্ব জায়গায় কোন প্রকার সরকারিভাবে ইজারা না দিয়ে মাসিক ভাড়া চুক্তিতে খিলক্ষেত জোয়ার সাহারা সীমানার মধ্যে ক্যান্টিন স্টেশনারির দোকান সহ নানান অভিযোগ উঠেছে দায়িত্ব থাকা ম্যানেজার মফিজ উদ্দিন এর বিরুদ্ধে l স্টেশনারি দোকান সহ একাধিক দোকানপাটের ভাড়া প্রতি মাসে আনুমানিক ৫০ হতে ৬০ হাজার টাকা যা গোপন সূত্রে জানা যায় l ক্যান্টিনের মালিক মামুন অপরাধ বিচিত্রা সাংবাদিককে জানায় যে, আমরা ক্যান্টিন পরিচালনা করি না ক্যান্টিন সহ যাবতীয় দোকানপাঠ পরিচালনা করে বিআরটিসি’র ম্যানেজার মফিজ উদ্দিন সাহেব l প্রতিমাসে আমাদের দোকানগুলো হতে ভাড়া ওনার অফিসে যায় lবাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বি আর টি সি) জায়গায় ক্যান্টিন ও অন্যান্য দোকান বসানোর ইজারা ও ভাড়া সম্পর্কে অপরাধ বিচিত্রা সাংবাদিক সারা জমিনে খিলক্ষেত জোয়ার সাহারা বিআরটিসি’র ম্যানেজার মফিজ উদ্দিন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান যে, খিলক্ষেত জোয়ার সাহারা এলাকায় যা দোকানপাট বসানো হয়েছে এটি মাসিক ভাড়া হিসেবে আর দোকান গুলো যা ভাড়া দেয় তা বি আর টিসি’র হেড অফিসে জানে। আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না l তিনি আরো বলেন যে, এসব ভাড়া সংক্রান্ত বিষয় আপনি আমার সাথে আর কথা বলবেন না l আপনি হেড অফিসে যান সেখানে বিল্ডিং এন্ড এস্টেট ডিপার্টমেন্টের অফিসার গোলাম ফারুক ও মনিরুজ্জামান সাহেব আছে ওনাদের সাথে কথা বলেন আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা। ক্যান্টিন ও স্টেশনারি দোকান সহ খিলক্ষেত বিআরটিসি জোয়ার সাহারা এরিয়ায় একাধিক অভিযোগ নিয়ে অপরাধ বিচিত্রা সাংবাদিক বিআরটিসি হেড অফিসের উপস্থিত হলে এবং বিল্ডিং এন্ড এস্টেট ডিপার্টমেন্টের অফিসার গোলাম ফারুকের সাথে এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বললে তিনি অপরাধ বিচিত্র সাংবাদিককে জানান যে, খিলক্ষেত বিআরটিসি জোয়ার সাহারা ক্যান্টিন স্টেশনসহ নানান দোকানপাট এবং অন্যান্য অভিযোগের বিষয়টি হেড অফিসের না। এটি খিলক্ষেত বিআরটিসি’র জোয়ার সাহারার ম্যানেজার মফিজ উদ্দিন সাহেবের বিষয়। এ অভিযোগের বিষয়টি ম্যানেজার মফিজ উদ্দিন সমাধান করতে পারবে। এটি ম্যানেজার মফিজ উদ্দিন এর ব্যাক্তিগত বিষয় অতএব এ অভিযোগের ব্যাপারে আমরা বিআরটিসি হেড অফিস কতৃপক্ষ কিছু জানি না। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বি আর টি সি ) চেয়ারম্যান তাইজুল ইসলাম দুর্নীতির বিরুদ্ধে বর্তমানে সংগ্রাম করে যাচ্ছে l যাতে বিআরটিসি বাস সহ অন্যান্য সেক্টরে কোন প্রকার দুর্নীতি না হয়। ইতিপূর্বে বিআরটিসি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান বিআরটিসি’র অবস্থা অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল। এখন তা স্বাভাবিকভাবে উন্নতির পথে এগোচ্ছে। অন্যদিকে রাজধানী সহ সারা বাংলাদেশে বি আর টি সির জোয়ার সাহারার জায়গাগুলি বিভিন্নভাবে দখল করে আছে বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় দোকান পাট ও ক্যান্টিন যা বিআরটিসি হেড অফিস কতৃপক্ষ জানে না। এসব অবৈধ দোকানপাট হতে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ভাড়া নেয় জোয়ার সারার বিআরটি ম্যানেজার সহ অনেকে। সরকারি প্রতিষ্ঠান বিআরটিসি হেড অফিস কতৃপক্ষকে ফাঁকি দিয়ে মাসের পর মাস লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বিআরটিসি জোয়ার সাহারার ম্যানেজারগন। খিলক্ষেত বি আর টি সির জোয়ার সাহারা দোকানপাট ভাড়া নিয়ে স্বীকার হচ্ছে না দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার মফিজ উদ্দিন। রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিআরটিসি রাষ্ট্রীয় সম্পদের প্রতি অযত্ন-অবহেলা সরকারি এ প্রতিষ্ঠানে জেগে থাকা গাফিলতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির এটিই একমাত্র। কয়েক বছর আগে অনিয়ম দুর্নীতির জের এ বিআরটিসি এখনো সংকট টেনে চলছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে তার মূল লক্ষ্য যাত্রী সেবা। (পর্ব ১ ) চলবে……………

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button