অপরাধ

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা মূল্যের ভারতীয় কসমেটিকস উদ্ধারসহ চক্রের একজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি

ভারত হতে চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে দেশের বাজারে অবৈধভাবে বিক্রয়ের উদ্দেশে আনা প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকার বিভিন্ন ভারতীয় স্কিনকেয়ার কসমেটিকস সামগ্রী উদ্ধারসহ চোরাচালান চক্রের এক সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ডিবি-তেজগাঁও বিভাগ।

গ্রেফতারকৃতের নাম ফিরোজ আলম বাবু (৩৭)। গ্রেফতারের সময় তার হেফাজত হতে ২৫ হাজার ৪৪ পিস বিভিন্ন স্কিনকেয়ার সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। এসময় এসব চোরাচালান পণ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রি.) সন্ধ্যা ৬:০০ ঘটিকায় রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি-তেজগাঁও বিভাগের একটি চৌকস দল।

ডিবি-তেজগাঁও সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে ভারতীয় অবৈধ স্কিনকেয়ার কসমেটিকস সামগ্রী এনে একটি বাসায় মজুদ করছিল এবং পরবর্তীতে সেসব সামগ্রী স্থানীয় বাজারে বাজারজাত করে আসছিল। এসব তথ্যের আলোকে দীর্ঘদিন ধরেই চক্রটি ডিবি টিমের নজরদারিতে ছিল। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রী এলাকার উক্ত বাসায় অভিযান পরিচালনা করে চোরাচালান চক্রের অন্যতম সদস্য ফিরোজ আলম বাবুকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানকালে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাইপথে আনা মোট ২৫ হাজার ৪৪ পিস বিভিন্ন স্কিনকেয়ার সামগ্রী জব্দ করা হয় ও চোরাচালান পণ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত অবৈধ কসমেটিকস সামগ্রীর স্থানীয় বাজার মূল্য প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা। উক্ত ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ফিরোজসহ উক্ত চোরাচালান চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্যদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, উদ্ধারকৃত কসমেটিসসমূহ সরকারের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত হতে আনা হতো এবং পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন অনলাইন শপসহ বিভিন্ন কসমেটিকস দোকানের মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছে সরবরাহ করা হতো। এতে প্রতিনিয়ত সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হতে বঞ্চিত হয়ে আসছিল। অন্যদিকে চোরাচালানের মাধ্যমে আসার কারণে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পণ্যের গুণগত মান যাচাই করার সুযোগ না থাকার ফলে এসব পণ্য ব্যবহার করে ভোক্তাগণ বিভিন্ন ধরনের শারিরিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

গ্রেফতারকৃত ফিরোজসহ উক্ত চোরাচালান চক্রের সাথে অন্যান্যদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ভারতীয় পণ্য চোরাচালানের সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button