আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা-বিশ্বাস ও তাঁর প্রতি সর্বদা সুধারণা পোষণ করা মুমিনের অনন্য বৈশিষ্ট্য।
হযরত আইয়ুব (আ:) কেন ধৈর্য ধরে ছিলেন?
হযরত মরিয়ম (আ:) কেন শিশুসন্তান নিয়ে মানুষ থেকে দূরে চলে গিয়েছিলেন?
হযরত ইব্রাহীম (আ:) কেন আগুনে নিক্ষেপ হতে ভয় পাননি?
হযরত ইউনুস (আ:) কেন মাছের পেটে থেকেও হতাশ হননি?
কারণ— উনারা আল্লাহ’র সম্পর্কে সর্বদা সুধারণা রাখতেন।
আর আল্লাহ সম্পর্কে সুধারণা রাখার সবচেয়ে বড় আলামত হচ্ছে জবাব আসতে দেরি হলেও আল্লাহর কাছে দোয়া অব্যাহত রাখা।
আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা-বিশ্বাস ও তাঁর প্রতি সর্বদা সুধারণা পোষণ করা মুমিনের অনন্য বৈশিষ্ট্য। কারণ আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও সুধারণা পোষণের মাধ্যমেই একজন মুমিন তার জীবনের সব ক্ষেত্রে স্থিরতা ও প্রশান্তি অনুভব করতে পারে। আল্লাহর রাসুল (সা.) মৃত্যুর আগে উম্মতকে উত্তম এই বৈশিষ্ট্য অর্জনের ব্যাপারে বিশেষ অসিয়ত করেছিলেন।
সাহাবি জাবির (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মৃত্যুর তিন দিন আগে তাঁকে আমি এ কথা বলতে শুনেছি যে তোমাদের সবাই যেন আল্লাহর প্রতি উত্তম ধারণা পোষণরত অবস্থায় মারা যায়।মুসলিম, হাদিস : ৭২২১
এক হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেন, আমার সম্পর্কে আমার বান্দার ধারণার মতো ব্যবহার করে থাকি। (বুখারি, হাদিস : ৭৫০৫)
আমাদের সব কল্যাণের মালিক একমাত্র তিনিই। তিনি কখনো আমাদের ওপর জুলুম করেন না।তিনি যা করেন, আমাদের কল্যাণের জন্যই করেন।
তিনি যা করেন, আমাদের কল্যাণের জন্যই করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘অবশ্যই আল্লাহ মানুষের প্রতি কোনো জুলুম করেন না, কিন্তু মানুষ নিজেদের প্রতি জুলুম করে থাকে।’
(সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৪৪)
মহান আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর যদি তাদেরকে অপছন্দ করো, তবে হয়তো তোমরা এমন এক জিনিসকে অপছন্দ করছ, যাতে আল্লাহ, অনেক কল্যাণ রেখেছেন।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৯)
এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মুমিনের অবস্থা বিস্ময়কর। সব কাজই তার জন্য কল্যাণকর। মুমিন ছাড়া অন্য কেউ এ বৈশিষ্ট্য লাভ করতে পারে না। তারা সুখ-শান্তি লাভ করলে শোকর গুজার করে আর অসচ্ছলতা বা দুঃখ-মুসিবতে আক্রান্ত হলে সবর করে, প্রত্যেকটাই তার জন্য কল্যাণকর। (মুসলিম, হাদিস : ৭৩৯০)
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে আমৃত্যু আল্লাহর প্রতি সুধারণা রাখার তাওফিক দান করুন।