পিজি হাসপাতালে সুপারভাইজার জুলফিকার আলম রাসেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকার শাহাবগে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পিজি হাসপাতালে জাল সার্টিফিকেট জালিয়াতির মাধ্যমে গত ১-২-২০০৫ইং সালে চতুর্থ শ্রেণীতে ফ্ল্যাবোটমিষ্ট পদে চাকরি নিয়েছেন মো: জুলফিকার আলম রাসেল ল্যাবরেটরী সার্ভিস সেন্টারে। একাধিক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। ল্যাবরেটরি সার্ভিস সেন্টার কর্মরত কর্মচারীরার ৯১ জনের স্বাক্ষরসহ একটি লিখিত অভিযোগ রয়েছে এর প্রতিবেদকের কাছে। অভিযোগ থেকে জানায়ায় গত ২৬-১০- ২০২২ইং সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে চাকরি ও পদোন্নতি প্রসঙ্গে নিয়ে উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন সাধারণ কর্মচারীরা। উল্লেখ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরী সার্ভিস সেন্টারে অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া মো: জুলফিকার আলম রাসেল সার্টিফিকেট জাল করে চাকরি নিয়েছেন এবং কর্তৃপক্ষ তাহার কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাওয়ার পরও সে সার্টিফিকেট জমা দিতে পারে নাই। বাংলাদেশর এত বড় প্রতিষ্ঠানে কিভাবে জাল জালিয়াতের মাধ্যমে চাকরি করে জুলফিকার আলম রাসেল তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ও চাকুরিচ্যুত করার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ কর্মচারীরা। আরো জানান জুলফিকার নামে বেনামে একাধিক বাড়ি ফ্লাট করেছেন। জমি কিনেছেন এবং ব্যাংকে নিজে ও স্ত্রীর নামে প্রচুর টাকা রয়েছে। সিরিঞ্জ, নিডেল, অ্যালকোহল, প্যাড, স্নাইড, ওয়ান টাইম, কার্বন কপি, স্টিকার, মানি রিসিট, বই ইত্যাদি থেকে প্রতিমাসে কমিশন নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত ৪ অক্টোবর ২০২৪ দেখা যায়? জাল সনদে চাকরি করা সেই ৬৭৭ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ জাল সনদে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন এমন ৬৭৭ জনকে শনাক্ত করে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)। পরে তাদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এসব শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বন্ধ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এবার তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গভর্নিং বডিকে নির্দেশ দিয়েছে অধিদপ্তর। জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি নেওয়া বিষয় কর্মরত কর্মচারীদের কাছে জানাতে চাইলে তারা বলেন রাসেল জাল জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি নিয়েছে ঘটনা সত্য। জাল সনদ দিয়ে চাকরি নেয়া জুলফিকার আলম রাসেলের বিরুদ্ধে ও জাল সনদধারীর নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের একটি মামলা করার কথা জানিয়েছেন কয়েক জন কর্মচারী। বিগত দিনে অবৈধভাবে গ্রহণকৃত বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরত প্রদানের দাবি সাধারণ কর্মচারীদের। তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের দায়ের করা অভিযোগের কপি এ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে। এ ব্যাপারে তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য এ প্রতিবেদক তার কার্যালয়ে গিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তিনি তার কোন বক্তব্য প্রদান করেননি।