ব্যাংক ও বীমা

ব্যাংক এশিয়ার খেলাপি প্রতিষ্ঠান এ এইচ বিল্ডার্স লিমিটেড, ডিএস জুট মিলস লি: এবং এস জুট ইন্ডাসিট্রজ লি:

মো: আবদুল আলীম:

ব্যাংক এশিয়া পিএলসি ধানমন্ডি শাখা, ঢাকা এর শত কোটি টাকার ওপর খেলাপি প্রতিষ্ঠান তিনটি হচ্ছে এ এইচ বিল্ডার্স লিমিটেড, ডিএস জুট মিলস লি: এবং এস জুট ইন্ডাসিট্রজ লি:। অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লোপাট হয়েছে ব্যাকটির বিভিন্ন শাখা থেকে। বিতরণকৃত টাকা আদায় করার জন্য অর্থঋন আদালতে মামলা করেও ব্যাংক টাকা আদায় করতে পারছে না। বরং মামলা করার পর ব্যাংকের কস্ট অব ফান্ড বেড়েই যাচ্ছে। ব্যাংকটির বিভিন্ন শাখার প্রচুর সংখ্যক অসৎ ঋনগ্রহিতা প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা বিশালাকারের ঋন আদায় হচ্ছে না। এসব টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে বলেও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করা হচ্ছে। এসব অসৎ গ্রাহকদের সাথে যোগসাজস করে ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা টাকা লোপাট করেছে মর্মে অভিযোগ রয়েছে। তাদেরেকে খুঁজে বের করে এবং ঋনখেলাপির সম্পদ জব্দ করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং পাওনা টাকা আদায়ে আইনের কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনরা। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দীর্ঘ দিন ধরে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সহযোগিতা হিসেবে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জান। তিনি বলেছেন, দেশের ব্যাংক খাতকে যেভাবে খাদের কিনারায় ঠেলে দেওয়া হয়েছে তার জন্য মূল দায়ী প্রতিষ্ঠান দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, যারা ব্যাংকের টাকা নিয়ে ফেরত দেননি তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে কার কাছে কত টাকা আছে এর সুনিদ্রিষ্ট তালিকা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দিতে হবে। ব্যাংক এশিয়া পিএলসি, ধানমন্ডি শাখা, ঢাকা এর ঋনগ্রহিতা মো: আবুল হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এ এইচ বিল্ডার্স লিমিটেড, কনকর্ড রয়েল কোর্ট, বাড়ী নং-৪০, রোড নং ১৬, ধানমন্ডি, ঢাকা সহ (১) ডিএস জুট মিলস লি: এবং (২) এস জুট ইন্ডাসিট্রজ লি এর কাছে ব্যাংকটির পাওনা ১০২,২৫,৬০,০০০ (একশত দুই কোটি পচিশ লাখ ষাট হাজার ) টাকা। খেলাপি এই গ্রাহক তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে উক্ত ব্যাংক হতে ঋন নিয়ে আর ফেরত দিচ্ছেন না বলে সূত্রে জানা গেছে। ব্যাংকের নথিপত্র তলব করলে এর প্রমাণ পাওয়া যাবে। ব্যাংক পাওনা টাকা আদায় করার জন্য অর্থঋন আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

মামলা দায়ের করার পরও ব্যাংকের পাওনা টাকা আদায় না করতে পেরে তার সম্পত্তি নিলামে বিক্রির জন্য প্রথম আলো নামক পত্রিকায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এই টাকা আদায় নিয়ে সংকটাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। উল্লিখিত গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে এত বৃহৎ আকারের ঋন প্রদানে ঋন প্রস্তাব থেকে শুরু করে বোর্ড সভায় কোন কোন কর্মকর্তা জড়িত তা তদন্ত করে এবং ঋনগ্রহিতার সম্পদ জব্দ করে সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অর্থ মন্ত্রনালয় ও বাংলাদেশে ব্যাংকের নির্দেশনা রয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশ। উল্লেখ্য, ব্যাংক এশিয়া পিএলসির খেলাপি ঋনগ্রহিতা (১) মো: আবুল হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এ এইচ বিল্ডার্স লিমিটেড, কনকর্ড রয়েল কোর্ট, বাড়ী নং-৪০, রোড নং ১৬, ধানমন্ডি, ঢাকা (২) ডিএস জুট মিলস লি: এবং (৩) এস জুট ইন্ডাসিট্রজ লি: এর কোটি কোটি টাকার খেলাপি ও অনাদায়ী ঋনের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ইতোপূর্বে দুর্নীতি দমন কমিশন ও বাংলাদেশ ব্যাংকে জনস্বার্থে অপরাধ বিচিত্রা হতে লিখিতভাবে অনুরোধ করা হয়েছে যার প্রমাণ অপরাধ বিচিত্রার কাছে রয়েছে। লিখিত অনুরোধের বিষয়টি খেলাপি গ্রাহক মো: আবুল হোসেন কোনভাবে জানতে পেরে অক্রোশের বসবর্তি হয়ে ও নিজের অপকর্মকে আড়াল করার অভিপ্রায়ে তার লোকজন দিয়া ঢাকার মতিঝিল ও যাত্রাবাড়ি এলাকায় পর পর দুইবার শারীরিক আক্রমন করেন ও সেখান থেকে তুলিয়া নিয়া যাওয়ার ভয়ভীতি দেখান। তার সন্ত্রাসি বাহিনী এই প্রতিবেদককে শারীরিক আক্রমনের সময় জানায় ঢাকা শহরের সকল স্থানে মো: আবুল হোসেনের লোকজন রয়েছে। অধিকন্ত তিনি লোক মারফত এই প্রতিবেদককে ভবিষ্যতে তার প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋনের বিষয়ে কোন দপ্তরে কোন লিখিত চিঠি দাখিল করতে বা তার অপরাধ বিচিত্রা নামক পত্রিকায় কোন সংবাদ প্রকাশ না করতে হুমকি প্রদান করেন। এই কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এই প্রতিবেদক ঢাকা মহানগরির পুলিশ কমিশনার বরাবার তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করিতে বাধ্য হয়েছেন। উক্ত ব্যাংক এশিয়া পিএলসিতে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান খেলাপি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। তবে মো: আবুল হোসেনের তিনটি প্রতিষ্ঠানের শত কোটি টাকার ওপর ঋন অনাদায়ী হওয়াতে প্রতিষ্ঠানগুলো টিকে থাকবে কি না তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে শংকা রয়েছে।

এই ব্যাপারে আগামি সংখ্যায় আরও তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশিত হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button