দেড় থেকে দুই কোটি মানুষকে টিসিবির পণ্য দেওয়া সম্ভব: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে দেড় থেকে দুই কোটি মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রি করা সম্ভব বলে মনে করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। সে ক্ষেত্রে পণ্যগুলোর বিদ্যমান মূল্য সমন্বয় করতে হবে। মূল্য সমন্বয়ের মানে হচ্ছে মূল্য কিছুটা বাড়ানো।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি আয়োজিত ‘শ্বেতপত্র এবং অতঃপর: অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামের প্রথম অধিবেশনে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ও সিটিজেনস প্ল্যাটফর্ম ফর এসডিজিস, বাংলাদেশের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে এতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন ছিলেন আরেকজন সম্মানিত অতিথি।
তবে এখন মূল্য সমন্বয় করা হলে ব্যাপক সমালোচনা হবে বলেও আশঙ্কা করেন শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন টিসিবির পণ্যের মূল্য সমন্বয় করা হয়নি। এটা রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল হতে পারে। আমরা রাজনীতিবিদ নই; সাহসের সঙ্গে তা করতে হবে।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা কি দীর্ঘ মেয়াদে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায় ভোজ্যতেল কিনে ১০০ টাকায় বিক্রি করব? নাকি মূল্য সমন্বয় করে ১০০ টাকার বদলে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় নিয়ে ১ কোটির জায়গায় দেড় কোটি বা ২ কোটি মানুষ পর্যন্ত এই সেবা প্রসারিত করব? এই চিন্তাগুলো আমাদের সাহসের সঙ্গে করতে হবে; তা না হলে আমরা একই বৃত্তে থেকে যাব।’
টিসিবির পণ্য এক কোটি মানুষের কাছে সরবরাহের এখতিয়ার রয়েছে উল্লেখ করে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ডিজিটালাইজড করার পর ৩৭ লাখ ভুয়া কার্ডধারী পাওয়া গেছে। মোট কার্ডধারীর সংখ্যা এক কোটিতে উন্নীত করার কাজ চলছে। বিভিন্ন জেলায় সরেজমিনে গিয়ে তিনি দেখছেন। কিছুদিন পর একই উদ্দেশে তিনি খুলনায় যাবেন।