‘২০২০ সালের মধ্যে রেমিট্যান্স হবে ২৫ বিলিয়ন ডলার’

1
1053

‘২০২০ সালের মধ্যে রেমিট্যান্স হবে ২৫ বিলিয়ন ডলার’

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বিশ্বের রেমিট্যান্স প্রবাহে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই অবস্থার আরো উন্নতি হবে। বিশেষ করে প্রশিক্ষিত জনশক্তি রপ্তানি নিশ্চিত করতে পারলে খুব শিগগির আমরা এর সুফল পাব। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে এই খাতের বিকাশে। আশা করছি, বাংলাদেশ আগামী পাঁচ বছর পর অর্থ্যাৎ ২০২০ সালের মধ্যে ২৫ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আয় করবে। বুধবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘সেফগার্ডিং ইন্টারেস্ট অব বাংলাদেশ মাইগ্রান্ট ওয়ার্কার্স ইস্যু অব ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যান্ড সোশ্যাল প্রোটেকশন’ শীর্ষক ডায়ালগে এসব কথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ শাখার প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন, আইএলও বাংলাদেশ অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিভাস বি রেড্ডি। শুরুতে অনুষ্ঠানের ‘কি নোট’ উপস্থাপন করেন সেন্ট্রাল ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান। আয়োজক সিপিডি ও ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অভিবাসী শ্রমিকেরা সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। এ কারণে প্রতিবছরই বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ। আগামী ২০২০ সালের মধ্যে এটি ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমানে রেমিট্যান্স আয়ের পরিমাণ ১৫ বিলিয়ন ডলার। ১১ দশমিক দুই মিলিয়ন মানুষ বিদেশে কাজ করছেন। আগামীতে এ সংখ্যা আরো বাড়বে। তিনি বলেন, শুধু ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার অভাবে দেশের অভিবাসী শ্রমিকেরা অন্য দেশের চেয়ে বৈদিশিক মুদ্রা কম আয় করছেন। এটি আমাদের বড় একটি সমস্যা। এ ছাড়া কারিগরি দক্ষতা বাড়াতে হবে। কেননা একজন দক্ষ শ্রমিক যে পরিমাণ বৈদিশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবেন তার চেয়ে অনেক কম বৈদিশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবেন অদক্ষ শ্রমিকেরা। এ বিষয়ে আমাদের যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে হবে। বক্তব্যের শুরুতে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উদাহরণ টেনে বলেন, আমেরিকা, মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোকে কিন্তু অভিবাসীরাই বিশ্বের বুকে উন্নত করে তুলেছেন। এসময় মন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এলিট শ্রেণিতে প্রবেশ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। মন্ত্রী বলেন, বৈদিশিক মুদ্রা অর্জনে কৃষি অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে চায়না উদাহরণ হিসেবে সবার কাছে স্বীকৃত। তাই প্রতিটি বিষয় প্রাধান্য দিয়ে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fifteen − eight =