দারিদ্র বিমোচন, কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতি ও সুফলা স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে ন্যাশনাল ব্যাংকের জুরি নেই

0
2441

মোঃ আবদুল আলীমঃ
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে যেভাবে লোপাট ও দুর্নীতির সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে তা ব্যাংক, বিনিয়োগকারী, ব্যাবসায়ী ও দেশের ব্যাবসা-বাণিজ্য কোন ক্ষেত্রেই শুভ নয়। এর পরও কিছু ব্যাংক সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে সুনামের সাথে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হচ্ছে। ন্যাশনাল ব্যাংক এগুলোর মধ্যে অন্যতম। সূত্রে জানা যায় গত ২৩ মার্চ, ১৯৮৩ ইং তারিখে দেশের ব্যাংকিং জগতে ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রথম সূর্য্য  ওঠে। সেই থেকে গ্রাহক সেবা ও দেশের আর্থিক খাতকে মজবুত করার অঙ্গিকার নিয়ে ক্রমশ: সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বেসরকারী এই ব্যাংকটি। ঢাকার প্রধান কার্য্যালয় থেকে শুরু করে প্রতিটি শাখায় গিয়ে দেখা যায় অত্যন্ত ছিমছাম পরিবেশে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। নেই কারও অভিযোগ, নেই কোন ধীর গতি। ব্যাংকটির এমন সুন্দর পরিবেশ এক দিনে হয়নি। সর্বোচ্চ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সর্ব নিম্ন পদ পর্যন্ত সকলের ঐকান্তিক পরিশ্রম ও আন্তরিকতার বহি:প্রকাশ ন্যাশনাল ব্যাংকটির আজকের এই সফল অবস্থান। দারিদ্র বিমোচন, মাত্র ৪% রেয়াতী হারে সুদে ঋন প্রদান, ৫% সুদে কৃত্রিম প্রজনন ও দুগ্ধ উৎপাদনে ঋন প্রদান, সুজলা সুফলা স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে এনবিএল কৃষি ঋন ও দেশের প্রান্তিক ও নিন্ম আয়ের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ এর সহায়ক জামানতবিহীন সহজ শর্তে ঋন প্রকল্প দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত গ্রাম ভিত্তিক অর্থনীতি ও কৃষি ভিত্তিক শিল্পকে যেভাবে আগলিয়ে রেখেছে তা তুলনাহীন। দারিদ্র মুক্তি: দেশের অনগ্রসর, প্রান্তিক ও নিন্ম আয়ের মানুষের দিকে তাকিয়ে ন্যাশনাল ব্যাংক বার্ষিক ৫% সরল সুদে যে ধরনের ঋন  দিয়ে থাকে তার সাথে কিছু পরিচয় নিন্মে উল্লেখ করা হলো:
১। মেয়াদী (কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য) ঋনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৪ মাস।
২। মেয়াদী (এককালীন পরিশোধযোগ্য) ঋনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১২ মাস।
৩। আবর্তনশীল ঋনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১২ মাস (নবায়নযোগ্য)।
ঋন সীমা: সর্বোচ্চ ১,০০,০০০ টাকা।
ঋন প্রাপ্তি একক/যৌথভাবে।
সহায়ক জামানত: জামানতবিহীন।
ন্যাশনাল ব্যাংকের দারিদ্র মুক্তি কর্মসুচি ১০ টাকার হিসাবধারী, প্রতিবন্ধী ও মহিলা উদ্যোক্তা, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, প্রাকৃতিক ও মানব সৃষ্ট দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাক্তি ইত্যাদি সকলকে অন্তর্ভুক্ত করছে। এর দ্বারা সমাজের হাজার হাজার লোক শুন্য অবস্থা থেকে সাবলম্বি হয়েছে ও হচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংকের বিশেষ অবদান। ৪% রেয়াতি হার সুদে ঋন প্রদান: আন্তর্জাতিক বানিজ্যে বংলাদেশ বছরের পর বছর প্রতিকুল লেনদেনের অর্থাৎ রপ্তানীর চেয়ে আমদানী বেশীর আঘাতে জর্জরিত। এ অবস্থা থেকে উত্তোরনের জন্য ন্যাশনাল ব্যাংক লি: একটি বিশেষ কর্মসুচি হাতে নিয়েছে। তা হচ্ছে আমদানী নির্ভরতা কমানোর জন্য ১৮১ টি শাখার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ডাল, তৈলবীজ, মসলা, ভুট্রা, লবন ইত্যাদি  উৎপাদনের জন্য ৪% রেয়াতী হার সুদে ঋন প্রদান করছে। ক্ষুদ্র চাষী থেকে বড় খামাড় সৃষ্টি করেছে এমন অসংখ্য চাষী এ ঋনে নিজের পায়ে দাঁড়াতে স্বক্ষম হয়েছে। সুফলা স্বনির্ভর বাংলাদেশ গঠনে এনবিএল কৃষি ঋন: বাংলাদেশের কৃষকরাই দেশের উন্নয়নের প্রথম ধাপ। জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষির অবদান অনস্বীকার্য। দেশের কৃষক সমাজকে প্রয়োজনীয় মূলধন যোগানে কার্যকরী ভুমিকা রাখতে ন্যাশনাল ব্যাংক এনবিএল কৃষিঋন প্রকল্প চালূ করেছে। পল্লী অঞ্চল হতে সংগৃহীত সঞ্চয় পল্লী অঞ্চলেই কর্মসংস্থান ও আয় বর্ধক খাতে বিনিয়োগ করে গ্রামীন জনগোষ্ঠির দারিদ্র বিমোচন করোই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। উচ্চ সুদ আদায়কারী দালাল ও ফড়িয়া থেকে পল্লী জনগোষ্ঠিকে উদ্ধার করাও এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। এ প্রকল্প শহর ও গ্রামের অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস করে গ্রামীন অর্থনীতিকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করতে স্বক্ষম হয়েছে। এ ঋন প্রকল্প শস্য, মৎস ও পশু সম্পদ খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋন বিতরন করে। পাশাপাশি কৃষি ও পল্লী ঋন বিতরনের ক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তাদেরকে অগ্রাধিকার প্রদান করে। এককভাবে, গ্রুপ ঋন ও ক্ষুদ্র আর্থিক নির্দেশনার মাধ্যমে এনবিএল কৃষি ঋন সুবিধা পাওয়া যাবে। উদ্যোগী, কর্মঠ, আন্তরিক, সৎ ও নিষ্ঠাবান ২১ বছর থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত কৃষক এ ঋন সুবিধা পাবেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দারিদ্র মুক্ত ঋন প্রকল্পের আওতায় শরীয়তপুর অঞ্চলে দরিদ্র কৃষকদের মাঝে পাওয়ার টিলার ও গাভী বিতরন কর্মসুচির শুভ উদ্বোধন করা হয়। ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ এর চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নুল হক সিকদারের নির্দেশনায় এ প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের পচিালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন মিসেস পারভীন হক সিকদার। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএফএম শরিফূল ইসলাম, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী মোস্তাক আহমেদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম বুলবুল ও শাহ সৈয়দ আব্দুল বারী। প্রধান অতিথি কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরন করেন। দেশে বিরাজিত আর্থিক খাতগুলোর মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংকের ভূমিকা ও অবস্থান তুলে ধরা স্বল্প সময়ে সম্ভবপর নয়। আগামী সংখ্যায় এ নিয়ে আরও বিস্থারিত থাকছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

5 × four =