রাজউকের দুর্নীতির লাগাম ধরতে হবে

0
990

সিটি ডেভলাপম্যান্ট এজেন্সি হিসেবে রাজউক একটি গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্টান। তবে এ প্রতিষ্টানটির কাজকর্মের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বছরের পর বছর এ প্রতিষ্টানটি জনসেবার পরিবর্তে জন হয়রানির প্রতিষ্টানে পরিনত হয়েছে। সেবা গ্রহনকারীদের নিকট রাজউক এক অতংকের নাম। ঘুষ, দুর্নীতি ও জনহয়রানি এখন নিত্য দিনের ব্যাপার। সমপ্রতি পত্রিকান্তরে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় ঢাকা শহরে রাজউকের নিয়ম বহির্ভুত যেসব ভবন নির্মিত হচ্ছে তা রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, ইমারত পরিদর্শক সকলের সাথে যোগসাজসে হচ্ছে। অনিয়মিত ভবনের কারনে ঢাকা বসবাসের অযোগ্য শহরে ও ভূমিকম্প ঝুঁকির দিকে চলে যাচ্ছে। ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হলে যে ক্ষয়ক্ষতি হবে তা মোকাবেলা করার মত কোন কর্তৃপক্ষ নেই বলে মন্তব্য করছেন পরিবেশবিদ ও নগর বিশেষজ্ঞগন। অভিযোগ রয়েছে রাজউকের ইমারত পরিদর্শক, অথারাইজড অফিসার ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন অনিয়মিত ও ঝুঁকিবহুল ভবন নির্মানে ইন্ধন দেয়ার কারনে। এদিকে রাজউকের পূর্বাঞ্চল সেল হচ্ছে বর্তমানে সবচেয়ে দুর্নীতির আখড়া। এখানকার পরিচালক প্রধানমন্ত্রীর আতœীয় বলে সেবা গহনকারীদেরকে সর্বদা আতংকের মধ্যে রাখেন ও প্রতিটি কাজের জন্য মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। সহকারী পরিচালক (ভূমি ও এস্টেট-ত) মেহেদউজ্জামান সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা চালান তার সহকর্মীদের নিয়ে। এধরনের আচরনের কারনে তার বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় জেনারেল ডাইরি পর্যন্ত দায়ের করা হয় একটি পত্রিকা থেকে। পূর্বাঞ্চল সেলে গ্রাহকদের হয়রানি ও সেখানকার কর্মকর্তাদের সাথে বাকবিতন্ডা নিত্যদিনের ব্যাপার। প্লটের আকার অনুযায়ী টাকা অর্থাৎ ঘুষ না দিলে চলে জুলুম ও নির্যাতন। রাজউকের এই সেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একেকজন বিশাল সম্পত্তি ও বাড়ি গাড়ির মালিক। দুর্নীতিকে বৈধ করার জন্য তারা একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরি করে ফেলেছে। এ সিন্ডিকেটের কাছে অনেকেই জিম্মি। ইতিমধ্যে অনেক কর্মকর্তাকে দুদক ধরে নিয়ে গেছে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে। পূর্বাঞ্চল সেলের কর্মকর্তা কর্মচারীরা দুদকের কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালায় বলে মতিঝিল থানা পর্যন্ত খবর পৌঁছে গেছে। মতিঝিল থানা থেকে দুদক কর্মকর্তাদেরকে বলা হয়েছে থানা পুলিশের সহযোগিতা না নিয়ে রাজউকের পূর্বাঞ্চল সেলে যেন না যায়। অবস্থা কতটা নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে এমন অবস্থা হতে পারে তা সহজে অনুমেয়। নিজেদের অপকর্ম ও দুর্বিত্তায়নকে রক্ষা করার জন্য রাজউকের পূর্বাঞ্চল সেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বেপরোয়া হয়ে গেছে। এর আশু প্রতিকার করতে না পারলে পরিস্থিতি সম্পূর্নরুপে নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

six + 15 =