স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল শাখার কেরানী হিসাব রক্ষক আফজল এত সম্পদের মালিক?

0
1538

নজির আহাম্মদ ঃ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল শাখার কেরানী/হিসাব রক্ষক ১৯৯৩ সালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ উন্নয়ন প্রকল্পে চাকুরী নিয়েছেন জোট সরকারের আমলে, নিজেকে অনেক জাহির করে কলে কৌশলে ডাঃ জাহিদের ছোট ভাই জাকির হোসেন এর সাথে সম্পর্ক করে পুরো ডিপাটমেন্ট তার আয়ত্বে নিয়ে আসে। এই ভাবে ধরাকে স্বরা জ্ঞান করে নিজের আখের গোছানোর জন্য পুরো মেডিকেল ডিপাটমেন্টকে তার আয়ত্বে নিয়ে আসে। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে মেডিকেল শাখায় যদিও একজন কেরানী/কাজ করে হিসাব রক্ষক পদে, তার কক্ষটি এসি-শিততাপ নিয়ন্ত্রিত, যদিও সরকারী চাকুরীর ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম কানুন থাকলেও তার বেলায় এখন সব প্রযোজ্য। তার বাড়ী ফরিদপুরে এখানে শেষ নয়, মহা-পরিচালকের সাথে কয়েক বার বিদেশ যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে। আবার মাঝে মধ্যে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরও যায়, এবং তার সিঙ্গাপুর একটি বাড়ি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এডুকেশন শাখায় চাকুরী করে তার এমন ভাগ্য খুলেছে যে সারা দেশে মেডিকেল কলেজ থেকে শুরু করে বদলী, পদন্নতি উন্নয়ন, টেন্ডারবাজি, ঠিকাদার সব কিছু আবজালের নিয়ন্ত্রনে যাহা জোট সরকারের  সাবেক আরেক কর্মকর্তা মশিউরকেও হারমানিয়েছে। তবে মশিউর শেষ পর্যন্ত সব ক্ষমতা হারিয়েছে। তাই আফজাল প্রকল্প থেকে এই পর্যন্ত এসেছে তার সামান্য সম্পদের খতিয়ান দেওয়া হলো। ঢাকার উত্তরায় নিকুঞ্জ এলাকায় স্ত্রীর নামে একটি ফ্লাট সেখানে থাকেন, মিরপুর পল্লবীতে ৬ শতাংশ জমির উপর একটি প্লট ক্রয় করেছেন, ঢাকার মানিকদি এলাকায় একটি বাড়ি ক্রয় করছেন, সেই বাড়িতে থাকে তার শ্যালক। আরো জানা গেছে একটা আলিশান গাড়ী সে গাড়ীতে করে অফিসে আসেন, দুটি মাইক্রো বাস শ্যালকের নামে, তার আত্মীয় স্বজনের নামে রয়েছে ২৫/৩০ টির মত সিএনজি, যা ঢাকায় চলে, আরো শুনা যাচ্ছে অনেক কিছু রয়েছে ২০১২ সালে তার অনৈতিক কার্যক্রমের উপর দুদকে একটি অভিযোগ এসেছে সেখানে দুদক আক্রমন করতে পারেনি। দুটি পোষ্ট একই ব্যক্তির তাই দুদককে ম্যানেজ করতে সক্ষম হয়েছে। আরো একটি সূত্রে জানা যায় স্বাস্থ্য খাতে বাৎসরিক ৫০ লাখ টাকার একটা এডভোকেসি ফান্ড আছে সেই ফান্ড আফজালরা ভূয়া বিল বানিয়ে খেয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই আফজালের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে পরবর্তীতে খোঁজ খবর নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। (চলবে)

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

8 − seven =