ফের এক তরফা নির্বাচনের শঙ্কা

0
1415

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল সংঘাতময় ও বিতর্কিত। তাই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি বয়কট করেছিল বিএনপি নেতৃতাধীন ২০ দলীয় জোটসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক অঙ্গনে আবার একাদশ সংসদ নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছে। পোস্টার লাগানো ও লিফলেট বিতরন শুরু হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের তকমা থেকে সরকার এখনও বের হতে পারেনি। দেশ-বিদেশে এখনও বিতর্কিত হয়ে আছে বিরোধী জোটের অংশগ্রহনবিহীন ওই নির্বাচন। তাছাড়া ওই নির্বাচনে ১৫৩ টি আসনে কোন ভোটার ছাড়াই নির্বাচনের ঘটনা দেশ-বিদেশে এখনও আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছে। সেই অপবাদ থেকে বের হয়ে আসার জন্য এবারের নির্বাচনে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার সব ধরনের চেষ্টা করবে সরকার। ইতিমধ্যে বিএনপি নির্বাচনে না আসলে তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে বলে ভয় দেখানো হচ্ছে। বিএনপি বলছে নিবন্ধন বাতিলের ভয়ে তারা ভীত নয়। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার অবস্থানে অটল রয়েছে দলটি। বিশেষ করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচনে দলটি অংশ নেবে না এমন ভাবনাই জোরাল হচ্ছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক নেতার সাম্প্রতিক বক্তব্য নতুন করে আন্দোলনের পথকেই প্রশস্ত করছে। পত্রিকান্তরে প্রকাশ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলনে নামার ছক করছে বিএনপি। তবে নির্বাচনের ছয় মাস আগে চুড়ান্ত আন্দোলনে নামবে বিএনপি। দলটি নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের যে রুপরেখা তুলে ধরবে তার মূল বিষয় হচ্ছে নির্দলীয় সরকার অথবা সর্বদলীয় সরকার। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন সরকার নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। যদি ফের ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো গায়ের জোরে নির্বাচনের নামে তামাশা ও প্রহসন করে জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায় তবে জনগন আর বরদাশত করবে না। যখন জনগন রাস্তায় নামবে তখন সরকারের পরিনতি কী হবে তা সময়েই বোঝা যাবে বলে মন্তব্য করছেন দলটির উচ্চ পর্যায়ের নেতারা। সরকারের প্রতিপক্ষ দলটি আরও বলছে সরকার সমঝোতার পথে না হাটলে বিএনপি রাস্তায় নেমেই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সব দলের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনের দাবি আদায় করবে। বিশ্লেষকরা বলছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং সরকার বিরোধী বিএনপি জোট যদি শেষ পর্যন্ত নিজ নিজ অবস্থানে অটল থাকে তবে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে আরেকটি একতরফা নির্বাচনের ঝুঁকিতে পড়তে হতে পারে। এর কুপ্রভাবে দেশ আবারও এক সংঘাতময় গন্তবে চলে যেতে পারে যার লাগাম টেনে ধরা কারও পক্ষে সম্ভব হবে না বলে রাজনীতি বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করছেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

13 − two =