মোঃ রাসেল ঃ
সত্য, ন্যায় আর অপরাধীদের বিরুদ্ধে নিভীর্ক পথচলার শপথ নিয়েই পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য এই মহান পেশায় যোগদান করে। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্যিটা অনেকটাই আলাদা। কতিপয় পুলিশ সদস্য এই মহান পেশাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে। তারাই হয় অপরাধীদের পথ চলার সঙ্গী। কিন্তু এত প্রতিকুলতার মাঝেও পুলিশ বাহিনীর হাল ধরে রেখেছেন যিনি তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অহংকার ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) মোঃ শহীদুল হক। তার কৃতিত্বের বর্ণনা যতই করিনা কেন সবই কম মনে হবে। সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, মাদক, চাঁদাবাজি তথা সকল অপরাধমূলক কর্মকান্ড বাংলাদেশ থেকে সমূলে উৎপাটন করতে একের পর এক সাফল্য তার হাত ধরেই এসেছে। তিনি পুলিশ বাহিনীর প্রধান হিসেবে যোগদানের পর থেকেই বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে একটি আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলেছেন। এর ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী এখন কোন দলীয় ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় বরং জনগনের কল্যাণে সর্বদা নিয়োজিত। আইজিপি শহীদুল হক যোগদানের পর থেকেই তিনি পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের শিখিয়েছেন কিভাবে সাধারণ জনগনের দুঃখ-দুর্দশায় নিজের জীবন বাজি রেখে কাজ করে যেতে হয়। তার দেখানো পথে হাটতে শুরু করায় পুলিশ বাহিনীর উপর জনগনের হারানো আস্থা ফিরে এসেছে। তারই প্রচেষ্টায় “পুলিশই জনতা জনতাই পুলিশ” এই কথাটি জনতা বিশ্বাস করতে শুরু করছে। যেই পুলিশ বাহিনী নিজের জীবন বাজি রেখে জনকল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন সেই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে তিনি নিজের পরিবারের সদস্য হিসেবেই মনে করেন। তার প্রমান পাওয়া যায় গুলশান সহ বিভিন্ন জঙ্গী হামলায় নিহত শহীদ পুলিশ সদস্যদের দেখে তিনি অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েছেন। শুধু তাই নয় পুলিশ সদস্যদের দাবি-দাওয়া পূরন করতে পুলিশ প্রধান সরকারের সাথে আলাপ-আলোচনা করে তার ব্যবস্থা করেন। পুলিশ সদস্যদের একঘেয়েমি দূর করতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেও তার জুরি মেলা ভার। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে মানুষের জান-মাল নিরাপত্তার লক্ষে তিনি পুলিশ সদস্যদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন। সার্বিক দিক বিবেচনায় তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর মর্যাদা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাড়িয়ে তুলেছেন। কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার সাথে আলাপকালে তারা বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর প্রধান (আইজিপি) শহীদুল হক স্যার আমাদের পথ চলার আদর্শ। স্যার জনকল্যানে কুসুমের মত কোমল তেমনি অপরাধ নির্মূলে পর্বতের ন্যায় কঠিন। তিনি পুলিশ বাহিনীর জন্য রোল মডেল। অপরাধ নির্মূলে আমরা সমগ্র পুলিশ বাহিনী সর্বদা স্যারের নির্দেশ পালনে বদ্ধপরিকর। আমরা স্যারের সাফল্য, সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি। নারায়নগঞ্জ অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ মতিয়ার রহমান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্য হিসেবে আমি যতটা গর্বিত তার চাইতেই বেশী গর্বিত স্যারের মত একজন মহান মানুষকে আমাদের পুলিশ বাহিনীর প্রধান হিসেবে পেয়ে। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত স্যার এর সকল নির্দেশ পালন করে যাবো ইনশাআল্লাহ, স্যার পুরো বাংলাদেশের গর্ব অহংকার। এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশ হেড কোয়াটারের (ইনটেলিজেন্ট ক্রাইম) এর এএসপি আলাউদ্দিন বলেন, শুরুতেই স্যারকে আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা এবং সালাম। স্যারের পদাঙ্ক অনুসরন করে যদি সমগ্র পুলিশ বাহিনী নির্ভীকভাবে কাজ করে যায় তাহলে অপরাধমুক্ত বাংলাদেশ খুব বেশী দূরে নেই। নারায়রগঞ্জ বন্দর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ হারুনুর রশিদ বলেন, স্যার এর মহানুভবতা আর কৃতিত্ব বর্ননা করার মতো কোন ভাষা নেই। শুধু এইটুকুই বলবো, স্যার এর দিকনির্দেশনার ফলেই বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী বিশ্ব দরবারে সম্মানিত। সিলেট জেলার ঝকিগঞ্জ সার্কেল অফিসের পুলিশ ইন্সপেক্টর মোঃ রজিউল্যাহ বলেন, সকলের সঙ্গে কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে আমি ও চিৎকার করে বলতে চাই স্যার আমাদের পুলিশ বাহিনীর অহংকারের মূর্ত প্রতীক। বিধাতার কাছে এই প্রার্থনা, আজীবন যেন স্যারের দেখানো আদর্শেই পথ চলতে পারি। আইজিপি স্যার আমাদের গর্ব, অহংকার এবং এগিয়ে চলার পথপ্রদর্শক। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের দাবি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ ( আইজিপি) শহীদুল হক স্যারের হাত ধরেই একদিন বাংলাদেশ সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ এবং মাদকমুক্ত সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ।