ভূঞাপুরের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ভাসছে পরকিয়ার জোয়ারে

0
863

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ ভারত উপ-মহাদেশখ্যাত শিক্ষাবিদ প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁর জন্মধন্য টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক শ্রেণীর শিক্ষক-শিক্ষিকারা পরকিয়ার জোয়ারে ভাসতে শুরু করেছে এবং এ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় বিস্তর লেখালেখির পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করায় তা’ লাগামহীনভাবে দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে চিহ্নিত শিক্ষক নামের এ মূখোশধারীদের কাছ থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কি শিক্ষা লাভ করবে আর এরা কেমন মানুষ গড়বে এ নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে চরম শঙ্কা ও হতাশা দেখা দিয়েছে।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ‘জাতির মেরুদন্ড’ হিসেবে পরিচিত এক শ্রেণির যৌন বিকৃত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাঝে পরকীয়া প্রেম উপচে পড়তে শুরু করায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘœ সৃষ্টিসহ কোমলমতি শিশুদের চারিত্রিক অবক্ষয়ের আশংকা করছেন অভিভাবক ও অভিজ্ঞ মহল। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, পরকীয়া নামের এই নোংরামিতে জড়িয়ে পড়া এসব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সিংহ ভাগই বিবাহিত ও বিবাহিতা এবং সন্তানের জনক ও জননী। শিক্ষকতার মহৎ পেশার আড়ালে যৌন বিকৃত এই মানুষগুলো সমাজে বিষ বাষ্প ছড়ালেও স্কুল কর্তৃপক্ষ কিংবা শিক্ষা বিভাগ এদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার শাস্তি মুলক ব্যবস্থা না নেয়ায় এরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে অভিজ্ঞ মহল দাবী করছেন। ঘরে স্কুল শিক্ষিকা সুন্দরী স্ত্রী ও ফুটফুটে সন্তান থাকা সত্বেও প্রায় মেয়ের বয়সী এক জুনিয়র সহকর্মী শিক্ষিকার সাথে দীর্ঘ দিন চুটিয়ে প্রেম করার পর শেষ পর্যন্ত তাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করে মূখরোচক রসালাপের জন্ম দিয়েছিলেন এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। সেই রসলাপকেও হার মানিয়ে ইতিমধ্যেই পত্র-পত্রিকায় খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন মাধ্যমিকের একজন সহকারী শিক্ষক ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিকের এক শিক্ষিকা। কাদামাটি সম কোমলমতি শিশুদের ভবিষ্যৎ ভীত রচনার গুরু দায়িত্ব যাদের কাঁধে- যারা করবেন শিশুদের প্রথম পাঠদান, জাতির মেরুদন্ড নামে আখ্যায়িত সেই প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকাদের মাঝে ভাইরাসের মত ছড়িয়ে পড়ছে পরকীয়া নামের বিষবাষ্প। যা’ দেশ ও জাতির জন্য কোন শুভ ইঙ্গিত বহন করে না, বরং এটা ভয়াভহ অশনি সংকেত বলেই অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। হর হামেশাই শোনা যায়, বিকৃত রুচির কোন না কোন শিক্ষক-শিক্ষিকার যৌন কেলেঙ্কারীর মুখরোচক রসালাপ। এই নিয়ে আবার কেউ কেউ লিখছেন গল্প, উপন্যাস ও কবিতা-
শিক্ষক নামের এক নেকা
পরকীয়ায় পটু,
শিক্ষিকা এক পটে যায়
শুনে তার চাটু।
নিজের স্ত্রী ভাল্লাগেনা
শালীস দরবার কত,
সহকর্মী পেল শেষে
তাহার মনের মত।
সম্পর্ক এলোমেলো
তাতে হবে কি,
পরকীয়ার জোয়ারে ভাসে
চাচা ভাতিজী।
পরকীয়ায় পটু চাচা
পাকা চিকন কামে,
জেলা আপিসে চিকন কাম
রাইতের বেলা জমে।
চিকন কামে ব্যস্ত চাচা
সাথে ভাতিজি,
ঘোর সন্ধায় ছোটেন জেলায়
চড়ে সিএনজি।
নানা ছুঁতায় আর কতদিন
পরকীয়ায় ভাসবি,
ভাঙবো যখন হাটে হাঁড়ি
আঁধার চোখে ফাঁসবি ॥

পরকীয়ার জোয়ারে ভেসে চলা বিবেকবান শিক্ষক শিক্ষিকারা পবিত্র শিক্ষাঙ্গনকে অপবিত্র করতেও কুন্ঠবোধ করেন না বলে এলাকায় জনশ্র“তি শোনা যাচ্ছে। নিন্দুকদের ভাষ্যমতে- গত দূর্গাপূজার ছুটির মধ্যেও এই উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা রাখা হয়েছিল। আর এই সময় শিক্ষক শিক্ষিকাদের জুটি বেঁধে পালাক্রমে ক্লাস পরিচলানার দায়িত্ব দেয়া হয়। আর এই সুযোগ কাজে লাগাতে পরকীয়ার জোয়ারে ভেসে চলা শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুল অফিস কক্ষটিকে বেডরুম হিসেবে ব্যবহার করেছেন, যা শুধু নেক্কার জনকই নয় বরং আদিম বর্বরতা সম বলে অনেকেই মনে করছেন। ইতিপূর্বে পরকীয়ার জোয়ারে ভেসে চলা এক শিক্ষক শিক্ষিকা প্রকাশ্য দিবালোকে টয়লেটে ঢুকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় ধরা পড়ে লাঞ্চিত হয়েছিলেন। সম্প্রতি আরেক প্রাথমিক শিক্ষক এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় মজে প্রেমিকার শয়ন কক্ষে রাত কাটাতে গিয়ে গণপিটুনি সহ হাজতবাসের মত নিন্দনীয় ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। আরেক  প্রাথমিক শিক্ষিকার যৌন কেলেঙ্কারী ভিডিও চিত্র নিয়ে ঘটে গেছে তুলকালাম কান্ড। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়ায় এই ভাইরাস দিন দিন বি¯তৃতি লাভ করছে। আর কতদিন চলবে মানুষ গড়ার কারিগর এই শিক্ষক শিক্ষিকাদের এহেন জঘন্যতম খেলা- আর কত বাড় বাড়বে শিক্ষক নামের এই যৌন বিকৃত মানুষগুলো, অভিভাবকমহল এটাই জানতে চায়।
পরিশেষে, আমরা চাইনা কাউকে জনসন্মুখে হেয় করতে। আর তাই এই প্রতিবেদনে সবার নাম ঠিকানাই গোপন রাখা হয়েছে। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরও যদি পরকিয়ায় জড়িতরা সর্বনাশা এ পথ পরিহার না করেন তাহলে তাদের ছবি, রেকর্ডকৃত মোবাইল আলাপন, ভিডিও চিত্র ও নামে বেনামে স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে রাত্রি যাপনের গেষ্ট হাউজের রেজিষ্ট্রার সহ যাবতীয় প্রমানাধি ধারাবাহিকভাবে অপরাধ বিচিত্রায় প্রকাশিত হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fifteen + 11 =